somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ, এবং আমাদের কিছু আশাবাদ

০৮ ই অক্টোবর, ২০১১ রাত ১২:০৭
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী,
শুরুতেই আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়কে অন্যান্য পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো সরকারি আর্থিক সহযোগিতা দেয়ার আশ্বাস দেয়ায়। সেইসাথে সাধুবাদ জানাই আপনার এই আশ্বাসে যে শুধু জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ই নয়, বরং কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় এবং জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয় আইনের অর্থায়নসংক্রান্ত ধারাগুলোতো সংশোধনী আনার ইচ্ছা প্রকাশ করায়। আমরা শুরু থেকেই দাবি করে আসছিলাম যে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের ন্যায্য অধিকারের এই আন্দোলন শুধু জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিচ্ছিন্ন কোন আন্দোলন না, বরং সারা বাংলাদেশের খেটে খাওয়া সাধারণ জনতার উচ্চশিক্ষার অধিকারের পক্ষের আন্দোলন। একিসাথে এই ৩টি বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থায়নসংক্রান্ত আইনের ধারায় সংশোধনী আনার ঘোষনা দিয়ে আপনি প্রকারান্তরে আমাদের এই দাবির সাথে সহমত ব্যক্ত করেছেন বলেই আন্দাজ করছি। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাম্প্রতিক আন্দোলনে দেশের সচেতন নাগরিক হিসাবে আমরা ব্লগাররাও সংহতি জানিয়েছিলাম তাদের দাবির পক্ষে। অথচ জনগণের এই নৈতিক এবং যৌক্তিক দাবির প্রতি সংহতি জানানোয় আইন প্রয়োগকারি প্রশাসনের কাছ থেকে লেখালেখি বন্ধ করার হুমকি আমরা পেয়েছি্‌, আমাদের বলা হয়েছে রাষ্ট্রের নাকি কোন নৈতিকতা নাই, রাষ্ট্র বুঝে শুধু পক্ষ এবং বিপক্ষ, রাষ্ট্র যাকে বিপক্ষের মনে করবে তার উপরই নাকি নির্যাতন নেমে আসবে। গনপ্রজাতন্ত্রী এই বাংলাদেশ জনতার রাষ্ট্র বলেই আমরা জানি, গনতান্ত্রিক এই সরকার ব্যবস্থায় জনতার পক্ষে কথা বলায় যখন রাষ্ট্রযন্ত্রের কাছ থেকে এই ধরণের বক্তব্য শুনতে হয় তখন রাষ্ট্রের নীতিনির্ধারকদের প্রতি আমাদের অবিশ্বাস জন্ম নেয়। আপনাকে ধন্যবাদ যে, আপনার সাম্প্রতিক বক্তব্যে আমরা অন্তত বিশ্বাস করার চেষ্টা করতে পারি যে বাকস্বাধীনতা এবং জনস্বার্থকে রাষ্ট্রের বিপক্ষ শক্তি গণ্য করে নির্যাতনের এই হুমকি হয়তো ব্যক্তি বিশেষের হুমকি, পুরা রাষ্ট্রযন্ত্রের না। আমরা আশা করবো যে আমাদের এই বিশ্বাসের মর্যাদা আপনি রাখবেন।

তবে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, শুধুমাত্র সাধুবাদ জানানোর জন্যে এই লেখা লিখতে বসিনাই, শ্রেফ প্রশংসা করাও আমার উদ্দেশ্য না। আপনার এই ঘোষনার পরে ছাত্রলীগ জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে আনন্দ মিছিল করেছে, নানান প্রশংসার ঝুলি এবং স্তুতিবাক্যে আপনাকে মহিয়ান করেছে। অথচ দেখেন, এই ছাত্রলীগই জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীদের এই ন্যায্য আন্দোলনে তাদের পাশে ছিলনা, বরং সামিল হয়েছিল নির্যাতনে, আবির্ভুত হয়েছিল জনস্বার্থ বিরোধী সন্ত্রাসীর ভুমিকায়। শুধুমাত্র প্রশংসা অথবা স্তুতিবাক্য যে একধরণের অসততা সেইটা আশা করি আপনি বুঝতে পারবেন। সেইরকম কোন অসৎ উদ্দেশ্য নিয়া এই লেখা লিখতে বসিনা। তার চেয়ে আপনাকে দুইটা গল্প শুনাতে চাই, গল্পের পরে কিছু দাবিও রাখতে চাই।


প্রথম গল্পটা মাত্র কয়েকদিন আগের। বিগত ৪ অক্টোবর জাতীয় শহীদ মিনারে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ন্যায্য দাবির পক্ষে ছাত্র, শিক্ষক, সাংবাদিক, লেখক, শিল্পী, বুদ্ধিজীবীদের যেই সংহতি সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়ে গেলো তার খবর আপনি জানেন কিনা আমার জানা নাই। যদি জানা থাকে তাইলে হয়তো জানেন যে সেইদিন ছাত্র, শিক্ষক, লেখকদের বাইরেও একজন বিশেষ ব্যক্তি এই সংহতি সমাবেশে বক্তব্য রেখেছিলেন। তাকে কেউ দাওয়াত দেয় নাই, পরন্ত বিকালে সারাদিন রিকশা চালিয়ে ক্লান্ত এই মানুষটি শহীদ মিনারের পাশে রিকশা রেখে বিশ্রাম করছিলেন, সমাবেশের বক্তাদের কথা কানে যাওয়ায় তিনি নিজেই এগিয়ে আসেন কিছু কথা বলার জন্যে। আপনার অবগতির জন্যে জানাতে চাইযে, এই রিকশা চালক জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন ছাত্রের পিতা। বাংলাদেশের একজন রিকশা চালক সারাদিন হাড়ভাঙা পরিশ্রম করে কত টাকা কামান আশা করি সেই বিষয়ে আপনার ধারণা আছে। তিনি জানালেন, তার ছেলেটি যেহেতু পড়াশোনায় ভালো, তাই শত কষ্টের মাঝেও তিনি তার ছেলের পড়াশোনার খরচ যুগিয়ে যাচ্ছেন। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার ব্যায়ভার তুলনামূলকভাবে বাংলাদেশের বেশিরভাগ পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের চেয়ে বেশি। এই বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি বাবদ একজন শিক্ষার্থীর খরচ হয় সব মিলিয়ে ১৬ থেকে ১৮ হাজার টাকা, প্রতি বছর খরচ হয় ৬ থেকে ৮ হাজার টাকার মতো। ২৭/৪ ধারা’র বাস্তবায়ন করতে গিয়ে যেই স্বিদ্ধান্ত এই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের উপর চাপিয়ে দেয়া হচ্ছিল তাতে প্রতি সেমিস্টারেই তাদের খরচ দাঁড়াতো ২০ হাজার টাকা। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, প্রতি সেমিস্টারে ২০হাজার টাকা কেনো, ৫ হাজার টাকাও যদি খরচ করতে হয় তাইলে উল্লেখ্য রিকশাচালকের সন্তান প্রয়োজনীয় মেধা থাকা সত্ত্বেও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়াশোনা চালাতে পারবেনা। উচ্চশিক্ষার স্বপ্নে তাকে ক্ষান্ত দিতে হবে। আমরা আশা করবো এই মেধাবী তরুনের উচ্চশিক্ষার স্বপ্ন এবং তার পিতার রক্ত পানি করে হলেও সন্তানকে উচ্চ শিক্ষিত করার অবিচল নিষ্ঠার প্রতি আপনি সম্মান দেখাবেন। এইরকম আরো বহু মেহনতি খেটে খাওয়া মানুষের সন্তান জগন্নাথসহ দেশের আরো বহু পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র, যারা নিজের পিতার হাড়ভাঙা শ্রম, দুইটা টিউশনি আর অবিচল নিষ্ঠার মাধ্যমে নিজেদের উচ্চশিক্ষার স্বপ্ন বাচিয়ে রেখেছে, বাচিয়ে রেখেছে শিক্ষিত, সুন্দর, স্বনির্ভর বাংলাদেশের স্বপ্ন। তাই শুধু সংশোধন না, জাতীয় স্বার্থবিরোধী এইসব কালো আইন বাতিল করার দাবি রাখছি আমরা। আমরা আশা করবো যে আপনি সংশোধনের নামে এইসব কালো আইন লঘু করে খেটে খাওয়া মানুষের স্বপ্ন আর পরিশ্রমের প্রতি অসম্মান করবেন না। বর্তমান খরচেই যেখানে খেটেখাওয়া জনসাধারণের পক্ষে শিক্ষার ব্যয় নির্বাহ করতে গলদঘর্ম হতে হয় সেইখানে এই খরচের সামান্য বৃদ্ধিও তাদের স্বপ্ন এবং পরিশ্রমের সাথে বেইমানী করা হবে।

এইবার দ্বিতীয় গল্পটা বলি। এই গল্প এক বড় ভাইয়ের গল্প। বাংলাদেশের একটি শির্ষস্থানীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের মেধাবী শিক্ষার্থী ছিলেন এই বড় ভাই। প্রায়ই তার কাছে একটা গল্প শুনতে পেতাম। দেশের নামকরা পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সুযোগ পেয়েছেন এই খবরে অত্যন্ত আনন্দিত হয়েছিলেন তার কৃষক পিতা। আজকাল অনেকেই বলেন যে বাংলাদেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের বেতন এবং ভর্তি খরচ নেহায়েতই নামমাত্র। অথচ এই নামমাত্র ভর্তির খরচের টাকাটাই কোথা থেকে আসবে এই চিন্তায় উদ্বিগ্ন ছিলেন তার পিতা। সবশেষে নিজের আদরের একমাত্র গরুখানা বিক্রি করে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির টাকাটা তিনি তুলে দিলেন ঐ বড় ভাইয়ের হাতে। ঐ বড় ভাই সফলভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা সমাপ্ত করেছেন। প্রায়ই তিনি একটা প্রশ্ন করতেন যে, ‘আমার বাপের নাইলে গরু আছিল, কিন্তু যার বাপের গরু নাই সে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হইবো কেমনে”? মাননিয় প্রধানমন্ত্রী, ইতিহাস থেকে খোজ নিলে জানা যায়যে বাংলাদেশের বহু জ্ঞানি গুনি সনামধন্য ব্যক্তি যারা এই দেশকে সমৃদ্ধ করেছেন, এই জাতিকে সমৃদ্ধ করেছেন, তাদের অনেকেই এইরকম গরু বেচা টাকায় নিজেদের শিক্ষার অধিকার কিনেছিলেন। বাংলাদেশ দরিদ্র রাষ্ট্র সন্দেহ নাই, এই রাষ্ট্রে সব শ্রেণীর মানুষের জন্যে সহজ সুলভ শিক্ষার ব্যবস্থা করা সম্ভব না, তাও মানি। শিক্ষা আমাদের অধিকার বললেও এই দেশের খেটে খাওয়া মানুষকেও রিকশা চালিয়ে, গরু বেচে সন্তানদের ব্যয় নির্বাহ করতে হয়, এইটা যাজ্যল্যমান সত্য। কিন্তু শিক্ষা আমাদের অধিকার, এই ঘোষনা দিয়েও ক্রমাগত বেসরকারিকরণের জোয়ার আর শিক্ষাখাতে বরাদ্দ কমিয়ে দিয়ে শিক্ষা নামক অধিকারকে পন্যে পরিণত করার ফলাফল বাংলাদেশের মতো উন্নয়নশীল রাষ্ট্রের জন্যে কোন সুফল বয়ে আনবে কি? বাংলাদেশ স্বাধীনতা লাভ করার পরে ৭২/৭৩ সালের অর্থবছরে তৎকালিন ভঙ্গুর অর্থনীতির মাঝেও শিক্ষাখাতে বরাদ্দ দেয়া হয়েছিল মূল বাজেটের ২১.১৪ শতাংস। তারপর থেকে এই বরাদ্দ কমতে কমতে বিগত ২০০৯/২০১০ অর্থ বছরে তা নেমে দাঁড়িয়েছে ১৩.৫৪ শতাংসে। ২০১১/২০১২ তে এসে আরো কমে তা দাঁড়ালো ১২.১৩ শতাংস। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, এইভাবে যদি শিক্ষাখাতে বরাদ্দ কমতে থাকে তাইলে গরু বেচা আর রিকশা চালানো টাকায় শিক্ষার অধিকার কেনা মানুষের সন্তানেরা বিলুপ্ত হতে হতে বাংলাদেশের উচ্চশিক্ষার অঙ্গন থেকে একসময় নাই হয়ে যাবে।

আমরা এও জানি যে নানান সাম্রাজ্যবাদী শক্তি, তাদের মোড়ল বিশ্বব্যাংক ইত্যাদির প্রতিনিয়ত চাপের মধ্যে আপনাদের নানা ধরণের স্বিদ্ধান্ত নিতে হয়। ২০২০ সালের মধ্যে বাংলাদেশের সবগুলো পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়কে ভর্তুকি বন্ধ করে দেয়ার নির্দেশ তার মধ্যে অন্যতম। আমরা বলতে চাই যে নিজেদের ভালো মন্দের বুঝ আমাদের আছে, সেইসাথে আমাদের অধিকার আছে জাতীয় স্বার্থে কোন আগ্রাসী শক্তির সামনে মাথা না নুইয়ে নিজেদের ভালো মন্দের বুঝ অনুযায়ী স্বিদ্ধান্ত নেয়ার। জনতার বুঝ যদি আপনার বুঝ হয় তাইলে সাম্রাজ্যবাদের মোকাবেলায় জনগণ আপনার সাথে থাকবে, অথবা আপনি জনগণের সাথে থাকবেন। আর বিশ্বব্যাংকের বুঝ যদি আপনার বুঝ হয় তাইলে সাম্রাজ্যবাদের মোকাবেলায় জনগণের সংগ্রাম আপনার বিরুদ্ধে সংগ্রাম একাকার হয়ে যাবে। আমরা বিশ্বাস করতে চাইযে জনতার বুঝই আপনার বুঝ, বিশ্বব্যাংকের বুঝ আপনার বুঝ না।

আপনার আশ্বাসে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা আন্দলন স্থগিত করেছে। আজকের দেয়া প্রেস বিজ্ঞপ্তীতে তারা পূর্ব ঘোষিত ৮ তারিখের কর্মসূচী প্রত্যাহার করেছে। এবার সরকারের দায়িত্ব দ্রুত ব্যবস্থা নেয়ার। ন্যায্য অধিকারের জন্যে শিক্ষার্থীদের যেনো আবারো রাজপথে নামতে না হয় সেই ব্যবস্থা গ্রহণ করুন। আসন্ন সংসদ অধিবেশনেই জনস্বার্থ বিরোধী আইনসমূহ বাতিল করুন। সেইসাথে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলাসমূহ তুলে নেয়ার দাবি জানাচ্ছি।

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, আবারো আপনাকে সাধুবাদ জানাই, সেইসাথে আশাবাদ ব্যক্ত করি যে আপনি বিশ্বব্যাংকের লাঠির বদলে গরু বেচা এবং রিকশা চালানো জনগণের শ্রম, অধিকার এবং ভালোবাসার প্রতি সম্মান দেখাবেন।
সর্বশেষ এডিট : ০৮ ই অক্টোবর, ২০১১ রাত ১২:২৯
৭৯টি মন্তব্য ১৫টি উত্তর পূর্বের ৫০টি মন্তব্য দেখুন

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

জাতির জনক কে? একক পরিচয় বনাম বহুত্বের বাস্তবতা

লিখেছেন মুনতাসির, ০২ রা নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ৮:২৪

বাঙালি জাতির জনক কে, এই প্রশ্নটি শুনতে সোজা হলেও এর উত্তর ভীষণ জটিল। বাংলাদেশে জাতির জনক ধারণাটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ, যেখানে একজন ব্যক্তিত্বকে জাতির প্রতিষ্ঠাতা হিসেবে মর্যাদা দেওয়া হয়। তবে পশ্চিমবঙ্গের... ...বাকিটুকু পড়ুন

আত্মপোলব্ধি......

লিখেছেন জুল ভার্ন, ০২ রা নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ১০:৫১

আত্মপোলব্ধি......

একটা বয়স পর্যন্ত অনিশ্চয়তার পর মানুষ তার জীবন সম্পর্কে মোটামুটি নিশ্চিত হয়ে যায়। এই বয়সটা হল পঁয়ত্রিশ এর আশেপাশে। মানব জন্মের সবকিছু যে অর্থহীন এবং সস্তা সেটা বোঝার বয়স... ...বাকিটুকু পড়ুন

জীবন থেকে নেয়া ইলিশ মাছের কিছু স্মৃতি !

লিখেছেন হাসানুর, ০২ রা নভেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৫:৩২



হঠাৎ ইলিশ মাছ খেতে ইচ্ছে হল । সাথে সাথে জিভে ..জল... চলে এল । তার জন্য একটু সময়ের প্রয়োজন, এই ফাঁকে আমার জীবন থেকে নেয়া ইলিশ মাছের কিছু স্মৃতি... ...বাকিটুকু পড়ুন

ট্রাম্প ক্ষমতায় আসছে এটা ১০০% নিশ্চিত। আমেরিকায় ইতিহাসে মহিলা প্রেসিডেন্ট হয়নি আর হবেও না।

লিখেছেন তানভির জুমার, ০২ রা নভেম্বর, ২০২৪ রাত ৯:৩৩

আর এস এস সহ উগ্র হিন্দুদের লিখে দেওয়া কথা টুইট করেছে ট্রাম্প। হিন্দুদের ভোট-আর ইন্ডিয়ান লবিংএর জন্য ট্রাম্পের এই টুইট। যার সাথে সত্যতার কোন মিল নেই। ট্রাম্প আগেরবার ক্ষমতায়... ...বাকিটুকু পড়ুন

ট্রাম্প জিতলে কঠোর মূল্য দিতে হবে ইউসুফ সরকারকে?

লিখেছেন রাজীব, ০২ রা নভেম্বর, ২০২৪ রাত ১০:৪২

ডোনাল্ড ট্রাম্পের এক মন্তব্যে বাংলাদেশের মিডিয়ায় ঝড় উঠেছে। ৫ তারিখের নির্বাচনে ট্রাম্প জিতলে আরেকবার বাংলাদেশের মিষ্টির দোকান খালি হবে।

আমি এর পক্ষে বিপক্ষে কিছু না বললেও ডায়বেটিসের রুগী হিসেবে আমি সবসময়... ...বাকিটুকু পড়ুন

×