উদ্বেগ এবং আমি
পরস্পর মুখ চাওয়াচাওয়ি করি
বিচলতার এক চিলতে পর্দা নড়েচড়ে ওঠে
এই বুঝি শোনা যাবে আসন্নপ্রসবা চিৎকার
-তোমার কোনও চিহ্ন নেই!
আশায় আশায় আঙুলের দিন গোনা সংখ্যাক্রম
পরিণত হয় ক্রমশ শঙ্কার কালবোশেখিতে,
বয়সী বটের নিচে ইতস্তত ধূসরতা পড়ে থাকে
বুট তলার মর্মরে গুটিসুটি কাঠবেড়ালের মতো,
বিরহের বেয়নেট আর আর্তির রক্ত জমাট চোখ
তাক করে রাখে মগজের মহিমা মিনার,
এখানে পরাধীনতা যেনো কিশোরীর বইচাপা বুক
তবু, বেড়ার ফাঁকে বাড়ন্ত গুল্মের উদ্ধত ডগা
সব বারণ, সান্ধ্য আইন অমান্য করে
প্রতিবেশী ঘাসের উঠোনে বেড়াতে আসে
এটা ওটা গল্পের পর ধার করে নিয়ে যায় প্রার্থিত প্রজ্ঞা
অথচ তুমি সবার জন্য হতে পারতে কী রকম উন্মুক্ত অভয়
আমার উৎফুল্লতার থরেবিথরে জীবন্ত কাগজের ফুল!
বোঝো না।
যখন তুমি নিজেও নিজেকে বুঝতে পারো না
দুর্বোধ্য কবিতা সহজে বোঝার নিয়ম
তখন আমার সান্ত্বনার ভাষা; তখন ভাবি
অভিমানে অথবা আগ্রহে, স্বচ্ছলতায় কিংবা সংগ্রামে
প্রত্যেক পুরুষই কবি, প্রতিটি নারীই কবিতা;
কবিতা মানে আবেগ, কবে হুট করে আসে
আর চলে যায় অনায়াসে।