ইস্যুটা কোন সাধারন ইস্যু নয়। আমরা কিছুদিন আগে রাজপথে নেমেছিলাম, আমাদের বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপর আরোপিত ভ্যাটের প্রতিবাদে। অনেকের কাছেই সেটা হয়তো ৫দিনের সড়ক অবরোধ, জনগনের নিরবিচ্ছিন্ন দুর্ভোগ। কিন্তু এই ৫দিনের পিছনে ছিলো কিছু মানুষের ২মাসের অক্লান্ত পরিশ্রম। তারপরও জনসমর্থন ছিলো আমাদের এই আন্দোলনের সবচেয়ে বড় শক্তি। এ দেশের মানুষগুলো হাসিমুখে সব সহ্য করে আমাদের দাবির প্রতি অকুন্ঠ সমর্থন জানিয়েছিলো।
কিন্তু আমাদের এ দাবি আদায়ের এক সপ্তাহের মাঝে যে আমাদের দেশের শিক্ষা ব্যবস্থার উপর আবারো এমন আঘাত আসবে সেটা ভাবতেও পারিনি। এইচএসসি পাস করার পর সত্যি কথা বলতে কি কখন এসএসসি, এইচএসসি বা অন্যান্য ভর্তি পরীক্ষাগুলো অনুষ্ঠিত হয়, সে ব্যপারে খোজ-খবর তেমন একটা রাখা হয়না। যখন হয়, তখন অন্যান্যদের কাছ থেকে শুনে জানতে পারি।
যাই হোক, এতো কিছুর পর আমার জানার খুব কৌতুহল হচ্ছে, আমাদের দেশের শিক্ষা ব্যবস্থার উপর এ ধরনের আঘাত আর কতো আসবে? বেসরকারী বিশ্ববিদ্যলয়ে পড়ুয়া ছাত্র হিসেবে বলতেই পারি যে শিক্ষাখাতে ভ্যাট একধরনের হঠকারী সিদ্ধান্ত ছিলো। কিন্তু এবার মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস শুধুমাত্র এ দেশের শিক্ষাখাতের উপর আঘাত, তা নয়। এ আঘাত পুরো জাতির ভবিষ্যতের উপর। আমাদের বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ুয়াদের উপর অন্যান্যদের অভিযোগ; আমরা মেধাহীন, নিস্কর্মা, যারা টাকা দিয়ে সার্টিফিকেট কিনে। কিন্তু এখন আমরা কি দেখছি?
সর্বোচ্চ ১২লাখ টাকা থেকে শুরু করে ফেসবুকে ফ্রীতে পাওয়া প্রশ্ন নিয়ে ঢাকা মেডিকেলের মতো ঐতিহ্যবাহী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে দেশসেরা মেধাবিদের সাথে কিছু নৈতিকতাহীন, বিবেকবর্জিত, উচ্ছন্নে যাওয়া ছাত্র একই কাতারে দাঁড়াতে যাচ্ছে। ভাবছি এখন ওইসব ব্যক্তিরা কি বলবেন, যারা এতোদিন আমাদের প্রাইভেট বলে নাক সিটকোতেন?
সেই দিনের অপেক্ষায় রইলাম।
সর্বশেষ এডিট : ২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:৪৩