পৃথিবীর অনেক রহস্যই আজ পর্যন্ত অজানাই রয়ে গেছে। যে রহস্যের কূলকিনারা বড় বড় বিজ্ঞানীরাও আজও কোন কূল কিনারা পান নি। সেরকম পৃথিবীর কত অচেনা-অজানা প্রাণী আজও অনাবিষ্কৃতই রয়ে গেছে। তাই প্রতিবছরই নতুন নতুন প্রানীর আবিষ্কার হচ্ছে। আর এসব আবিস্খারের পেছনে মানুষের চিরন্তন কৌতূহল। তা সে নতুন যন্ত্রই হোক আর নতুন কোনো প্রাণীই হোক। এমন অনেক বিজ্ঞানী রয়েছেন যিনি দিনের পর দিন পার করছেন নতুন কিছু আবিষ্কারের নেশায়। আবার এমন অনেক পাখিপ্রেমী রয়েছেন যিনি নতুন পাখি আবিষ্কারের সন্ধানে দিন-রাত ঘুরছেন পথে পথে। বিজ্ঞানীদের গবেষণা থেকে জানা যায়, পৃথিবীতে এ পর্যন্ত আবিষ্কৃত প্রাণীর সংখ্যা ৮.৭ মিলিয়ন।
আর এর সঙ্গে গত বছর যোগ হল নতুন দশ প্রজাতি:-
টিগ্রিনা লিওপারডোস গুটটুলুস:
এই ছবিটা একটি প্রজাতির বন্যবিড়াল, যার নাম টিগ্রিনা লিওপারডোস গুটটুলুস। উত্তর ব্রাজিল থেকে একই বৈশিষ্ট্যে টিগ্রিনা আবিষ্কৃত হলেও দক্ষিণ ব্রাজিল থেকে পুরো আলাদা প্রজাতির একটি টিগ্রিনা আবিষ্কৃত হয়েছে। ব্রাজিলের ইউনিভার্সিটি ফেডারেল ডো রিও গ্র্যান্ড ডো সুলের গবেষকরা এ নতুন প্রজাতির বন্যবিড়াল আবিষ্কার করেছেন,
ওলিনগুইটো :
কলম্বিয়া ও ইকুয়েডরের আন্দিজ ঢালের রেখায় যে আর্দ্র মেঘ-জঙ্গল রয়েছে সেখানে মিলেছে এক সদ্য বর্ণিত ওলিনগুইটো (Bassaricyon neblina) নামের একটি নিশাচর স্তন্যপায়ী প্রাণী। এটি সাধারণভাবে ওলিনগুস নামে পরিচিত। নরম বৃত্তাকার কান এবং চওড়া গোলাপী নাক, বাদামি চোখ- সব মিলিয়ে ওলিনগুইটো দেখতে হুবহু খেলনা ভল্লুকের মতো।
ওয়াকিং শার্ক :
ইন্দোনেশিয়ার দূরবর্তী একটি দ্বীপে আবিষ্কৃত হয়েছে মানুষের ক্ষতি করে না এমন একটি হাঙ্গর, যার নাম দেয়া হয়েছে ‘ওয়াকিং শার্ক’। এটি Hemiscyllium Halmahera প্রজাতির এবং লম্বায় ২৭ ইঞ্চি বা ৭০ সেন্টিমিটার।
জায়ান্ট ক্লাম :
ওয়েস্টার্ন অস্ট্রেলিয়ার সলোমন দ্বীপপুঞ্জের কাছাকাছি নিনগালোতে (Ningaloo) ঝিনুকের বৈশিষ্ট্যের মতো একটি নতুন প্রজাতির প্রাণী এর নাম ছে জায়ান্ট ক্লাম (giant clam)।
নতুন প্রজাতির চিংড়ি :
গভীর সমুদ্রে ‘কঙ্কাল চিংড়ি’র এক নতুন প্রজাতি আবিষ্কৃত হয়েছে। এটি Sevilla বিশ্ববিদ্যালয় থেকে একটি গবেষণা দল দ্বারা চিহ্নিত করা হয়। দৈর্ঘ্যে এটি আধা মিলি মিটারেরও কম।
প্লান্থপার :
সম্প্রতি দক্ষিণ-পূর্ব সুরিনামে একটি অভিযানের সময় গবেষকরা নতুন প্রজাতির প্রায় ৫ মিলিমিটার দীর্ঘ এবং একটি শিশু প্লান্থপার আবিষ্কার করেন। এই বিশেষ জীবটি নতুন আবিষ্কার নয়, কিন্তু কনজারভেশন ইন্টারন্যাশনাল টিম বিশ্বাস করে, এদের ৬০টি প্রজাতির মধ্যে এই প্রজাতিটি নতুন ।
বাটুরিট পোরচুপাইন :
ব্রাজিলের প্যারাইডা ফেডারেল বিশ্ববিদ্যালয়ের জীববিজ্ঞানীরা এক নতুন প্রজাতির সজারু আবিষ্কার করেছেন, যার নাম বাটুরিট পোরচুপাইন। এটি একটি তৃণভোজী ও স্তন্যপায়ী প্রাণী। সদ্য চিহ্নিত বাটুরিট সজারু পাওয়া গেছে মধ্য ও দক্ষিণ আমেরিকাতে। এই প্রাণী গাছে উঠে বিশ্রাম নেয় এবং প্রয়োজন হলে লেজ গুটিয়ে পালিয়ে যায়।
হোপব্রেইড প্লিউনডার ফিশ :
নতুন আরও একটি প্রজাতির মাছ আবিষ্কৃত হয়েছে যার নাম হোপব্রেইড প্লিউনডার ফিশ। বৈজ্ঞানিক নাম Pogonophryne neyelovi. এটি এন্টার্কটিকার রোজ সাগরের পৃষ্ঠে প্রায় এক মাইল জুড়ে বসবাস করে ।
ওমানী পেঁচা :
নতুন পাখির ডাক আবিষ্কারের জন্য বের হয়েছিলেন মধ্যপ্রাচ্যে পাখিরডাক বিশেষজ্ঞের একটি দল। তাদের কানে একটি নতুন আওয়াজ আসায় তারা খুঁজে পান এক নতুন প্রজাতির পেঁচা। পাখিটি বড়, কমলা চোখ ও গাঢ় ধূসর ভ্রুবিশিষ্ট্য, যার নামকরণ করা হয়েছে ওমানী পেঁচা (Omani Owl)।
[
পাইরেট অ্যান্ট :
গত বছর ২১ মে বিজ্ঞানীরা আবিষ্কার করেন একটি নতুন পিঁপড়া। পাইরেট অ্যান্ট (pirate ant) নামে পরিচিত এই পিঁপড়াটি পাওয়া গেছে ফিলিপাইনে, যার বৈজ্ঞানিক নাম Cardiocondzla pirata.
সূত্র:- দৈনিক যুগান্তর। ছবি- গুগল মামা।
সবাই ভাল থাকবেন।
ধন্যবাদ।