আমরা গেলাম মরটন বে তে.....বে এর পাশে বাচ্চাদের খেলার জায়গা, বসবার জায়গা, পার্ক... আমরা একটু কফি কিনে পার্কে বসলাম. দাপইরক কিছু কাজ ছিল ডনের আমার সাথে সেগুলো সেরে ফেললাম.
এরপর Neal এর কাছে আমাদের তুলে দিয়ে ডন চলে গেল, ডন আমাদের কাছের মানুষ, বন্ধু, তার বাচ্চাদের স্কুল বন্ধ, তাই কাজের থেকে ছুটি নিয়েছে, পরিবার নিয়ে সময় কাটাবে বলে, শুধু আমাকে এয়ারপোর্টে রিসিভ করার জন্য ওদের আনন্দ ভ্রমন থেকে একটু সময় নিয়ে এসেছিল. আমার মনে হচ্ছিল না জানি কেমন হবে নিএল! নিএল একজন বয়স্ক লোক, প্রথম দেখায় মনে হোল একটু রুক্ষ, পরে এইধারনা আর টেকেনি.
গাড়িতে নিএল এর পাশেই বসলাম আমি....নিএল আমাদের একটু ব্রিসবেন শহর দেখাচ্ছে, ইউনিভাসিরইট অফ কুইন্সল্যান্ড, ন্যাশনাল পার্ক( নিএল বলছে যখন তোমরা ব্রিসবেন এ আসবে এখানে একটু হাটতে ভুলো না) , ব্রিসবেন রিভার..........কি চমতকার একটা নদী.....যে নদীর পানি উপচে ব্রিসবেনে বন্যা হয়েছিল...নদীর চারধার দিয়ে বসতি ব্রিসবেনএর মূল শহর, খাবার দোকান...বিজনেস সেন্টার....চটকরে তুলনা চলে আসে মনে নিজের দেশের........এরকমএকটা নদী থাকলে....পুরাটাই এতদিনে ভরাট হয়ে দালান কোঠা হয়ে যেত.......
নদীর বুকে চলছে ছোট ছোট যাত্রীবাহি নৌকা.....জানলাম এগুলোকে বলে সিটি ক্যাট...নিএল বলে চলেছে, একবার সিটিক্যাট এ চড়তে ভুলো না........আমি মনে রাখার চেষ্টা করছি...সিটিক্যাট সিটিক্যাট...
আমি দেখছি দোকানপাঠ, কেমার্ট আর মায়ার দেখে উচ্ছাস প্রকশ করছি...........কারণ ঐ একটাই জানা গল্প.......এই দোকানগুলোর নাম যে অনেক শুনেছি..........পরে অবশ্য নীএল এগুলো নিয়ে আমাকে ক্ষেপাতো......আমি বলেছিলাম আমার কোন শপিং করার নেই..........তাইতে সে বলছে.........হুম শ্রাবনের শপিং নেই তবে শ্রাবণ প্রথম দিনই বলে ওমা এ তো দেখি কেমার্ট........ওমা মায়ার.......
এরপর টুউম্বার পথ ধরে ছুটে চলা... যেতে পথে নি্এল দেখালো ইউনিভাসিরইট অফ কুইন্সল্যান্ড গেটন ক্যাম্পাস, গেট্টন এলাকাটা উর্বর, এখানে টিউব্ওয়েরের পানি ব্যবহার করা যায়........প্রচুর সবজি চাষ করে, একসময় দূর থেকে দেখা গেল বিরাট এক পাহাড়.......নিএল জানাল ঐ পাহাড়েই হবে আমাদের আগামী দশদিনের বাস, আরিয়ানার বাসা থেকে দূরে থাকতে হবে জন্য ভাল লাগছিল না........তবে টুউম্বা রেঞ্জ আমার মন কেড়ে নিল....
পাহাড়ী পথ বেয়ে বেযে আমরা গেলাম একবারে পাহাড়ের উপরে.......পিকনিক পয়েন্টে........
উদ্দেশ্য দুপুরের খাবার খাওয়া........সেই রাত তিনটায় খেয়েছি.....আর সকালে ডনের সাথে কফি.......পেটে সাঙঘাতিক ক্ষুধা.......বিশাল এক মেনু অর্ডার দিয়ে বসলাম, ল্যাম্ব কারি, সাথে কুসকুস (কাউনের চালের ভাত), আর পাপাডাম (পাপড়) এবং ক্যাপিচুনো........খেতে গিয়ে দেখি আর পারিনা.........
এরপর রাতে এবং পরের দিনগুলোর জন্য রান্না খাবারের জন্য খাবারের দোকানে ঘোরাঘুরি , সবশেষে আমাদের মোটেলে ফেরা.....মোটেলটা কি যে সুন্দর..........আমার একলার এটা রুম..........আর কোন মেয়ে নেই বলে একাই পুরোটা পেলাম.....
রাতে নিএল এর বাসায় খেতে বলেছে তাই রান্নার বালাই নেই.......ফ্রেস হয়ে জাফনার সাথে কথা বলে নেট এ ঢুকে গেলাম.......
সর্বশেষ এডিট : ৩০ শে এপ্রিল, ২০১১ ভোর ৪:৪৯