প্রতি সপ্তাহের শনি-রবিবার আমি কিছু পাগলামি করি। যে কোন বাসে উঠে কানে হেড ফোন দিয়ে গান শুনতে শুনতে এর লাস্ট স্টপে চলে যাই, পথিমধ্যে আবার ভালো কোন জায়গা দেখলে নেমে পড়ি, একা একা হাঁটি। কখনো কখনো কোন পার্কে চুপ মেরে বসে থাকি অনেক ক্ষণ, বসে বসে মানুষের চোখের উচ্ছ্বাস দেখি, বিষণ্ণতা দেখি... অচেনা মানুষগুলোর সাথে নিজের মিল খোঁজার চেষ্টা করি। গত সপ্তাহে SELF RIDGES এর পাঁচতারা হোটেলগুলোর পারকিং থেকে বের হওয়া গাড়িগুলো অদ্ভুত মনযোগ দিয়ে দেখছিলাম, অন্য আরেকদিন Haringey তে এক লোকাল কফি শপে দোকানের ইথিওপিয়ান মালিকের সাথে ১ ঘণ্টা বসে কথা বলছিলাম, সেই বুড়ি আবার কফির দাম অর্ধেক রাখছিল। দিন শেষে ঘরে ফেরার পর এসব কথা মনে পরলে কেবল হাসি পায়।
প্রতিদিনই আমরা সবাই এমন ছোট খাট পাগলামিগুলো করে বসি ।এই পাগলামিগুলোর মধ্যেই আমরা নিজেদেরকে নিজেরা বিনোদন দেই, রুক্ষ নিষ্ঠুর বাস্তব থেকে নিজেদের মনোযোগ সরিয়ে রাখি অন্যদিকে। ক্ষণিকের এই বিনোদনই আমাদের সম্বল, প্রিয়জন থেকে দূরে থাকার যাতনা দূর করার এই ক্ষুদ্র প্রয়াসের মধ্য দিয়ে আমরা নিজেকে নিজে চিনতে শুরু করি অন্যভাবে, পথের মানুষের সুখ হাসি কান্না আমাদের ছুঁয়ে যায়, নিজের অনেক অপ্রাপ্তিকেও তখন স্বাভাবিক মনে হয়।
এভাবেই আমার আমিটাকে আমরা একটু একটু করে ভালবাসতে থাকি...
সেই পাগলামি ভরা দিনগুলোতে তোলা ছবিগুলা শেয়ার করলাম -
সেকেন্ড হ্যান্ড বইয়ের দোকান।
Waterloo তে দেখেছিলাম এক দল ভবঘুরে টাইপের মানুষকে এরকম প্রজাপতি বানাতে ।
নদীর অপর পাড় থেকে St Paul Cathedral.
বৃষ্টি ভেজা সন্ধায় St Paul Cathedral.
এখানেই পথের শেষ।
নিল দরজা।
শুকনো নদী।
পরিত্যক্ত পোস্ট বক্স।
মাথা উঁচু করে দাঁড়ানো বিল্ডিং।
Borough Market
পাব এর সাইনবোর্ড।
লন্ডনের রাস্তায় ঘোড়া।
জনশূন্য, নিস্তব্ধ রাত।
আবারও পাব, সম্মুখদার।
ব্রিজ।
প্রথম পর্ব
[ চলবে ]