প্রথম পর্ব
সারা রাতে ঠিক কয় ঘণ্টা ঘুমিয়েছিলাম মনে নেই কারণ সকাল উঠেই রাসেলকে রিসিভ করতে হবে এবং এরপরেই শুরু হবে আমাদের দুই বন্ধুর ঘোরা ঘুরির পালা......সংগত কারনেই আমার ঘুম ভেঙ্গে গিয়েছিলো সকাল ৭ টায় । বলা বাহুল্য, আমার মামা থাকতেন ISOLA VERDE নামক একটি জায়গায়,ISOLA VERDE মানে হচ্ছে সবুজ দ্বীপ।আমি যেহেতু রাতের বেলা এসেছিলাম তাই প্রথম টের পাই নি জায়গাটার সৌন্দর্য।কিন্তু সকালে ঘুম থেকে উঠেই সমুদ্রের পাড়ে গিয়ে বুঝলাম জায়গাটা আসলেই বেশ সুন্দর,অদ্ভুত একটি নীরবতা ছিল চারপাশ জুড়ে,আমি সেই নীরবতা তথা সমুদ্রের পাড়ে সূর্য মামার মিষ্টি রোদ বেশ উপভোগ করেছিলাম।
যাই হোক নাস্তা করেই মামা ভাগ্নে রওয়ানা হয়ে গেলাম এয়ারপোর্ট এর দিকে কারণ উদ্দেশ্য ছিল রাসেলকে নিয়ে নাস্তা করবো। রাসেল যখন চেকিং শেষে গেইট দিয়ে বের হচ্ছিলো একমুহূর্তের জন্য আমি মনে হয় বিশ্বাস করতে পারছিলাম না যে অবশেষে ভিনদেশে আমরা দুই বন্ধু একত্রিত হয়েছি। রাসেলকে রিসিভ করেই ভেনিসের উদ্দেশে বাসে উঠলাম,বাসে বসেই চলতে লাগলো অনেক দিনের জমানো কথা।ভেনিস নেমেই যথারীতি পিঁজার দোকানে ঢুঁ মারলাম পেট পুজোর জন্য।আমি লন্ডনে অনেকের মুখেই ইটালির পিঁজার নাম শুনেছি কিন্তু ভেনিস গিয়ে পিঁজা খাওয়ার পর বুঝতে পেরেছি সেই গল্প বিন্দু মাত্র মিথ্যা ছিল না। পিঁজার দোকানে আমাদের মত প্রায় জন ত্রিশেক মানুষকে দেখলাম পিঁজার জন্য অপেক্ষা করছে।গত রাতের ভেনিসের সাথে দিনের ভেনিস মেলাতে গিয়ে কিছুটা ভিমড়ি খেলাম।দিনের ভেনিস লাখো পর্যটকের পদভারে মুখরিত তথা লাখো প্রানের মেলা,অনেক কোলাহলময়,চারপাশে কেবল বিস্ময় ভরা চোখ......... পেট পুজো শেষে পা বাড়ালাম ভেনিসের রহস্য উম্মচোনে............



আরও কিছু গন্ডোলার ছবি।
একটা কথা গন্ডোলার প্রসঙ্গে না বললেই নয়,গন্ডোলা কিন্তু বেশ ব্যয়সাপেক্ষ। গন্ডোলাতে চড়ার জন্যে প্রতি ঘণ্টায় আপনাকে প্রায় ১০০ ইউরো গুনতে হবে।আমরা তাই গন্ডোলাতে না চড়ে ওয়াটার বাসে ছড়েছিলাম অনেকটা দুধের স্বাদ ঘোলে মেটাবার মত।তারপরেও বলবো আমি বেশ আনন্দ পেয়েছি ওয়াটার বাসে চড়ে।



বোনাস ছবি ব্লগ
(চলবে )
সর্বশেষ এডিট : ২৫ শে জুলাই, ২০১৩ ভোর ৬:২৮