আসামের অরণ্যে: পর্ব-১: গৌহাটি
আসামের অরণ্যে: পর্ব-২: কামাক্ষ্যা মন্দির দর্শন
আসামের অরণ্যে: পর্ব-৩: কাজীরাঙ্গা সাফারী পার্ক
আসামের অরণ্যে: পর্ব-৪: কারবি অংলং জেলার ডিফু হেডকোয়ার্টার
মেঘপিয়নের দেশ মেঘালয়ে: পর্ব-৬: শিলং শহরের আশেপাশে
ছবি ব্লগ: পর্ব-৭: গৌহাটীর কামাক্ষ্যা মন্দির
ছবি ব্লগ: পর্ব-৮: চেরাপুঞ্জি
আমার ভ্রমণ-কাহিনী ও ছবি ব্লগ গুলোর কালেকশন
১ সেপ্টেম্বর, ২০১১, বৃহ:স্পতিবার।
গৌহাটী থেকে শিলং শহরে পৌঁছালাম সকাল ৯ টায়। গৌহাটীর তীব্র গরমের হাত থেকে ঠাণ্ডা বাতাসে এসে বেশ আরাম লাগলো। রাস্তাঘাট বেশ পরিচ্ছন্ন। ডিফু থেকে মনসুন আগেই বলে দিয়েছিল যে, শিলং শহরে পুলিশ বাজারের কাছে সব আবাসিক হোটেলগুলো রয়েছে। রাস্তা থেকে একটা কালো মারুতি ট্যাক্সি ক্যাব থামিয়ে জিজ্ঞেস করলাম, ”"পুলিস বাজার যায়েগা?"” ট্যাক্সি ড্রাইভারের উত্তর এলো, "”হাঁ, যায়েগা, পাচাস রূপীয়া লেঙ্গে”"। ব্যাস, উঠে পড়লাম ট্যাক্সিতে। ট্যাক্সি চালকের নাম সুজিত শীল। বাংলা ভালোই বলতে পারে। কথায় কথায় তাকে জানালাম যে, শিলং-এ দু’'দিন থাকার ইচ্ছে আছে। চেরাপুঞ্জি (স্থানীয় ভাষায় ’সোহরা’ নামে পরিচিত) আর শিলং-এর দর্শনীয় স্থানগুলো দেখবো। দরদাম করে ঠিক হলো, আজকে হোটেলে চেক-ইন করেই বের হয়ে সুজিত আমাকে নিয়ে সরাসরি চেরাপুঞ্জী নিয়ে যাবে। সারাদিন ওখানকার ট্যুরিস্ট স্পটগুলো দেখবো। সারাদিনের জন্যে তাকে দিতে হবে ১৫০০ রূপী। পরদিন অর্থাৎ, ২ সেপ্টেম্বর আমরা উমিয়াম লেকসহ (বরাপানি লেক) শিলং শহরের আশেপাশের মোট ৭ টা স্পট দেখবো। সেদিন তাকে ১০০০ রূপী দিব। দ্বিতীয় দিন শিলং-এর স্পটগুলো দেখা হয়ে গেলে সে আমাকে ডাউকি বর্ডার পর্যন্ত নামিয়ে দিয়ে আসবে ১১০০ রূপীর বিনিময়ে।
অতএব, কথা মতো কাজ। চেরাপুঞ্জী রওনা হলাম ঠিক সকাল ১০ টায়। এর আগে পুলিশ বাজারের ’হোটেল 'পায়েল'’-এ ৪০০ রূপী দিয়ে একটা সিঙ্গল রুম নিয়ে লাগেজগুলো রেখে দিলাম।
সোহরা যাবার পথে
শিলং শহর থেকে সোহরা বা চেরাপুঞ্জী যেতে সময় লাগলো দুই ঘন্টা। পথের অবর্ণনীয় সৌন্দর্য ভাষায় প্রকাশ্য নয়। চেরাপুঞ্জীতে যে সুন্দর জায়গাগুলো দেখে এলাম:
১. মকটক ভিউ পয়েন্ট:
ক.
খ.
গ.
ঘ.
ঙ.
চ.
২. নোকালীকাই ফল্স: এই ফলসের ব্যাপারে খাসিয়া উপজাতীদের একটি ছোট গল্প প্রচলিত রয়েছে। গল্পটা অনেকটা এরকম: এখানে এক খাসিয়া স্বামী-স্ত্রী বাস করতো। স্বামী কোন কাজ করতোনা। দিন-রাত শুধু মদ খেত। আর বেচারী স্ত্রী সারাদিন কাজ করে উপার্জন করে পরিবারকে খাওয়াতো। তাদের একটি ছোট বাচ্চা ছিল। একদিন স্ত্রী সকালে কাজে গিয়েছে ছোট বাচ্চাটিকে রেখে। এদিকে বাড়িতে স্বামী তার সেই বাচ্চাটিকে হত্যা করে বাচ্চার মাংস রান্না করে খেয়ে ফেললো এবং স্ত্রীর জন্যেও কিছুটা রাখলো। সন্ধ্যার সময় স্ত্রী ফিরে এসে সেই খাবার গ্রহণ করার সময় বাচ্চাটির একটি ছোট আঙ্গুল তার চোখে পড়লো। তৎক্ষণাত সে তার স্বামীকে জিজ্ঞেস করলো যে, তার বাচ্চাটি কোথায়। উত্তরে স্বামী স্বীকার করলো যে, সে ক্ষুধার তাড়নায় বাচ্চাটিকে হত্যা করে তার মাংস রান্না করে খেয়েছে। এ কথা শোনার পরপরই স্ত্রী এই নোকালীকাই স্থানে পাহাড় থেকে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা করলো। সেই থেকে এখানে নোকালীকাই ফল্স সৃষ্টি হলো।
দু:খের বিষয় হলো, এই নোকালীকাই ফল্স আমি স্বচক্ষে দেখে আসতে পারিনি। এর কারণ হলো, আমি যখন গিয়েছিলাম, পুরো এলাকা মেঘে ঢাকা ছিল। স্থানীয়দের মুখে শুনলাম, বছরের অধিকাংশ সময় এই এলাকাটি মেঘে ঢাকা থাকে এবং খুব অল্প সময়ই এই ফলসটি মানুষ দেখতে পারে।
৩. রামকৃষ্ণমিশন: এখানে একটি স্কুল এবং দু’টি মিউজিয়াম রয়েছে।
৪. মওসমাই নংথাইম্মাই এলাকা (ইকো পার্ক): এখানে পার্কিং ফি, দুইজনের এনট্রেন্স ফি এবং স্টিল ক্যামেরা ফি বাবদ ৩০ রূপী নিল।
ক.
খ.
গ.
ঘ.
ঙ.
চ.
ছ.
জ.
৫. মওসমাই নংথাইম্মাই এলাকা (মওসমাই কেভ/গুহা): এখানে পার্কিং+এনট্রি ফি ৪০ রূপী। ভয়ঙ্কর এক গুহার ভিতরে ঢুকলাম আমরা। বেশ প্রাচীন আমলের গুহা। এক প্রান্ত দিয়ে ঢুকে আরেক প্রান্ত দিয়ে বের হতে প্রায় ২০ মিনিট সময় লাগলো। গুহা থেকে বের হয়ে এসে স্থানীয় রেস্টুরেন্টে দুপুরের লাঞ্চটা সেরে নিলাম।
ক.
খ.
গ.
ঘ.
৬. সেভেন সিস্টার ফলস: এখন এই ফলসগুলোতে পানির পরিমাণ কম। তবুও ভালো লেগেছে। এ জায়গা থেকে বাংলাদেশ দেখা যায়।
ক.
খ.
গ.
ঘ.
ঙ.
৭. খরম্মা স্টোন: এ জায়গা থেকেও বাংলাদেশ দেখা যায়।
ক.
খ.
গ.
ঘ.
ঙ.
চ.
সোহরার আরও কিছু ছবি:
ক.
খ.
গ.
ঘ.
ঙ.
চ.
ছ.
জ.
ঝ.
চেরাপুঞ্জী থেকে শিলং শহরে ফিরতে ফিরতে সন্ধ্যা ৭টা বেজে গেল।
আসামের অরণ্যে: পর্ব-১: গৌহাটি
আসামের অরণ্যে: পর্ব-২: কামাক্ষ্যা মন্দির দর্শন
আসামের অরণ্যে: পর্ব-৩: কাজীরাঙ্গা সাফারী পার্ক
আসামের অরণ্যে: পর্ব-৪: কারবি অংলং জেলার ডিফু হেডকোয়ার্টার
মেঘপিয়নের দেশ মেঘালয়ে: পর্ব-৬: শিলং শহরের আশেপাশে
ছবি ব্লগ: পর্ব-৭: গৌহাটীর কামাক্ষ্যা মন্দির
ছবি ব্লগ: পর্ব-৮: চেরাপুঞ্জি
আমার ভ্রমণ-কাহিনী ও ছবি ব্লগ গুলোর কালেকশন