কয়েকদিন আগের ঘটনা। সাভার জিরানী বাজারে এক ফল বিক্রেতার কাছ থেকে ১৭০ টাকা দরে ১ কেজি সবুজ আপেল কিনলাম। বিক্রেতা একটি কাগজের ঠোঙ্গায় আপেলগুলো ভরে ডিজিটাল পাল্লায় মেপে দিল। অফিসে এনে সেই আপেলগুলো ফলের ঝুড়িতে রাখার পর হাতের কাগজের ঠোঙ্গা কেমন যেন বেখাপ্পা ভারী মনে হল। দেখি, ঠোঙ্গার নিচের দিকে শক্ত কাগজের বোর্ড কেটে লাগানো। অফিসের ল্যাবের মাইক্রো ব্যালেন্সে ঐ ঠোঙ্গাটি ওজন করতে পাঠালাম। পাক্কা ৭০ গ্রাম!
অর্থাৎ ১৭০ টাকার আপেলে আমাকে ঠকালো ১১.৯০ টাকা!!!
গত শুক্রবারের ঘটনা। মিরপুর ১০ নম্বরে রাস্তার পাশের ফলের দোকানে আনারের দাম করলাম ২৪০ টাকা প্রতি কেজি। ২টি আনার বেছে নিয়ে বিক্রেতার হাতে দিলাম। বিক্রেতা যথারীতি একটি কাগজের ঠোঙ্গায় নিয়ে ওজন দিল। দাম পড়ল ১৪১ টাকা। বিক্রেতাকে বললাম, কাগজের ঠোঙ্গা বাদ দিয়ে শুধু আনার দুটির ওজন দিতে। প্রথমে রাজি হয় না। বলে, নিবেন কিসে? আমি বললাম, নেটের ব্যাগে। এবার অনিচ্ছা সত্ত্বেও বিক্রেতা ওজন দিল। দাম পড়ল ১৩১ টাকা।
অর্থাৎ ১৪১ টাকায় বিক্রেতা আমাকে ১০ টাকা ঠকাচ্ছিল!!!
এভাবে প্রতিদিন এরা কত মানুষকে ঠকাচ্ছে আল্লাহই জানেন!
১০/১৫ টাকা কারো কাছে হয়ত কোন বিষয় নয়- আবার কারো কাছে ১০ টাকাই অনেক।
ঠকতে না চাইলে ছোট সাইজের ফল যেমন বরই নেটের ব্যাগে মেপে নিন, আর বড় সাইজের ফল আগে সরাসরি মেপে তারপর নেটের ব্যাগে বা ঠোঙ্গায় নিন!
আগামীবার যখন ফল কিনতে যাবেন এই ব্যাপারটা খেয়াল করবেন আশাকরি।
সর্বশেষ এডিট : ১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৫:২৫