চ্যানেল আই-এ এতক্ষণ গ্রামীণফোন আজকের সংবাদপত্র অনুষ্ঠানটি দেখছিলাম।
আজকের অতিথি ছিলের সম্ভবত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক তাহমিনা .... ম্যাডাম, পুরো নামটি আসলে ঠিক খেয়াল করা হয় নি।
তবে উনি যেভাবে সুন্দর গুছিয়ে কথা বলেন, শুনে খুব ভাল লাগল। কয়েকটি চুম্বক অংশ এখানে তুলে ধরছি-
''রাষ্ট্র নাগরিকদের মৌলিক মানবাধিকার যেমন নিরাপত্তা, অভাব, ক্ষুধা থেকে মুক্তি- প্রতিটি পূরণে ব্যর্থ!''
'' অবস্থা এমন দাঁড়িয়েছে যে, আপনি নিরপেক্ষভাবে কোন মন্তব্যও করতে পারবেন না, যে কোন একটা পক্ষ অবলম্বন করতে হবে। স্বাধীনভাবে মত প্রকাশের জায়গাটা রুদ্ধ করে দেয়া হয়েছে।''
'' আমাদের দেশের মিডিয়া বিশেষ করে মেইনস্ট্রিম প্রিন্ট মিডিয়াগুলো যেগুলো নিজেদের নিরপেক্ষ দাবী করে সেগুলো গত কয়েকদিন একটি বিশেষ দলের পক্ষে কাজ করছে যেটা খুবই দুঃখজনক।''
''প্রধান দুটি দলের ভিতর সংলাপ বা আলাপ আলোচনার বিষয়টি সহজ নয়। কারণ আজও যে ভাষায় তাঁরা কথা বলেছেন সেটা ঠিক সিভিলাইজড রাষ্ট্রের ভাষা হতে পারে না। তাই গ্রহণযোগ্য সংলাপের বিষয়টি দূরুহ।''
''শাহবাগের আন্দোলন প্রথম দিন যে আশা দেখিয়েছে পরে তেমনটি থাকে নি। এটি একটি নির্দিষ্ট রাজনৈতিক দলের পক্ষে কাজ করছে।''
'' দেশে এখনও কিছু সেইন্ট (Saint) মানুষজন আছেন যাদেরই আসলে দায়িত্ব নিতে হবে এই জটিল পরিস্থিতি থেকে উত্তরণের।''
''বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক এখন এমন এক পর্যায়ে এসে দাঁড়িয়েছে যে, বাংলাদেশের মানুষ কিছু প্রতিশ্রুতির বাস্তবায়ন দেখতে চায়। বিশেষ করে সীমান্ত হত্যা বন্ধের ব্যাপারে ভারত যে জিরো টলারেন্স নীতির আশ্বাস দিয়েছিল সেটার কোন বাস্তবায়ন আমরা দেখতে পাই না।''
যে মুহূর্তে দেশের পা চাটা কথিত বুদ্ধিজীবী ও সাংবাদিক নামের কলঙ্কগুলোর আসল রূপ বের হয়ে পড়ছে- সেই সময়ে এমন পরিশীলিত ভাষায় সত্য বলার মানুষ আছেন জেনে আশাবাদী হতে হয়।
ধন্যবাদ ম্যাডাম আপনাকে। আপনি ভাল থাকুন।
সর্বশেষ এডিট : ০৩ রা মার্চ, ২০১৩ সকাল ১১:২৪