যামিনী সিংহাসনে
বসিয়া যখন ব্যাপিতেছিলেন নীরবতা সুনসানে।
রাস্তার যত তীব্র প্রদীপ নিভিয়া গিয়াছে হায়,
আপনার দেহে ঢুকিয়া জগত কবর রচিতে চায়।
হাসিগান কোলাহল
থামিয়া গিয়াছে রাতের আঁধারে শুধু আছে কলকল।
সুমধুর ধ্বনি চির স্রোতস্বিনী করিতেছে অবিরল,
বৃদ্ধ বৃক্ষ কালের সাক্ষ বসিয়াছে সে অটল।
বাঁশঝাড় সারিসারি,
তাহাদের পিছে পূর্ণচন্দ্র করিতেছে লুকোচুরি।
মুখটি তাহার শ্যামলশুভ্র, সুগভীর সরলতা
লইয়া সে চায় আসিতে ধরায় মাটিযেন তার মাতা।
হাওড়-বাওড়-নদী
সবাকার জলে গাহন সারিয়া চন্দ্র ভাবিছে যদি
মুছিতে পারিত আপনার দাগ হইত তাহলে সতী,
বাসনা তাহার অপূর্ণ রয় অবিরাম চলে নদী।