চীৎকার করে কাঁদে সখিনা
আকাশ পাতাল ধরনী
প্রকম্পিত হয়.. প্রকম্পিত হয়
আরশ
কুরশী
থরথর থরথর কম্পমান।
বোবা রাতের পাখি নিশুতির আধাঁরে
শুধু চোখ মেলে--ছটফট ছটফট যন্ত্রনায়
থির চোখ দুটো বেয়ে জল ঝড়ে
কিছু করতে না পারার সীমাহীন অক্ষমতায়......
শুকনো ঠনঠনে জলহীন চোখ
কান্নায় ভেজেনা আর
হাবিয়ার উত্তাপ ঠিকরে পড়ে,
দেখে না কেউ, আকাশ মূখো শুয়ে সে
প্রতি রাতে ওরা আসে
এক, দুই, দলবেধে..
শেয়াল শকুনের ঝাক
ভাগারে যেন হামলে পড়ে;
চেটে পুটে চলে ওরা
স্তন, জঙ্ঘা, বিবশ ঠোট
কোন অনুভুতি ছোঁয়না তাকে,
সভ্যতা প্রসবিনী আক্রান্ত অবিরত।
পংকিল সভ্যতার পুঁজে পুঁজে মাখামাখি
মুঠোয় টাকাগুলো আকড়ে ধরে শক্ত করে....
বড় নিষ্ঠুর কাগজগুলো
স্বপ্ন কেনে
সূখ কেনে
জীবন
যৌবন....দুষ্প্রাপ্য কিছু নেই।
ভেক মূল্যবোধ আর অধিকারের
ফতুয়া গায়ে ওরা সেমিনারে তুবড়ি ছোটায়,
অগ্নিঝড়া ইজম প্লান আরো কত কি...
অবশেষে ওরা আরো ভোগী পর্দার আড়ালে।
সখিনারা নিত্য পড়ে রয়
আঁধারে
ঘাসের বিছানায়
তবুও সময় থেমে নেই
অসভ্যতার সভ্যতা এগিয়ে যায়
নিত্য বাড়ে হ্যামার...
বাড়ে লাইনে দাড়ানো সখিনারাও
জ্যামিতিক হারে - অসম বিন্যাসে।
সর্বশেষ এডিট : ১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০০৮ রাত ৮:৩৩