বর্তমান বিশ্বকে দারুন আতংকে রেখেছে নভেল করোনা ভাইরাস। ইতিমধ্যেই যত ধরনের ব্যাখ্যা এবং সতর্ক বার্তা সারা পৃথিবীতে প্রকাশিত হয়েছে যে আমরা সবাই এ বিষয়টি সম্পর্কে মোটামুটি জানি।
কিন্ত সত্যিই কি চীন করোনা ভাইরাস সম্পর্কে কিছুই জানত না?আজ রাতদুপুরে এই ভিডিওটি দেখে বেশ চমকে উঠলাম।যেখানে বলেছে প্রায় এক বছর আগে পাবলিশ হওয়া একটা রিসার্চ জার্নালে করোনা ভাইরাস সম্পর্কে বলা হয়েছে।এবং এ ধরনের ভাইরাস যে বাদুর থেকে ছড়াতে পারে সে সম্পর্কেও আলোকপাত করা হয়েছে।মহামারী নিয়েও সতর্ক করা হয়েছে।এই পেপারটাও কিন্ত চাইনিজ উহান প্রদেশেরএতগুলো।প্রশ্ন হচ্ছে এটাই যে চাইনিজ গভর্মেন্টে কিভাবে এতবড় ব্যাপার এড়িয়ে গেল??? লোকের প্রান কি সস্তা??ভিডিও লিংক নিচে---
ভিডিও লিংক
এটি দেখে আমাদের দেশে ডেংগুর মহামারীর কথা মনে পড়ে গেল।আমাদের দেশে মানুষের প্রানকে সস্তাই ধরা হয়।গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্রগুলোতে অনিয়মটাই এখানে নিয়ম।তাই প্রান রক্ষার দায়িত্বটাও একান্তই আমাদের বলে মনে করতে হয়।সে যাই হোক এ ধরনের অবহেলা চীনের মত দেশের থেকে আশা করা মুশকিল।কি জানি কি বৈশ্বিক পলিটিক্স আছে এর ভেতরে!!কিন্ত এভাবে নিরীহ মানুষের প্রান ঝরলে বুকের ভেতরে রক্তক্ষরণ হয়।সেটা আরো বেড়ে যায় যখন জানা যায় চাইলে সে প্রানহানী প্রতিরোধ করা যেত।
চাইনিজদের খাদ্যাভ্যাসের কারনে নানারকম রোগ বালায় ছড়ানো সম্ভব।120 এর বেশি রকমের প্রানীর মাংস নাকি শুধু অনলাইন থেকেই অর্ডার করা যায়।তাহলে ফ্রেশ মার্কেটে না জানি কত কিছু পাওয়া যায়।তারা আবার অর্ধসিদ্ধ এবং কাচা
মাংশ অবলীলায় খেয়ে ফেলে।অনেক আগে ব্লগেই একটা লিংক পেয়েছিলাম যেখানে ছবি এবং রেসিপি সহ বলা ছিল যে কিছু কিছু রেস্টুরেন্টে অর্ডার করলে নাকি হিউম্যান ফিটাস স্যুপ পাওয়া যায় এবং ধনী কাস্টমার নবযৌবন পাওয়ার আশায় সেই স্যুপ খেয়েও থাকে।চাইনিজ রুপকথার বইয়ে এমন গল্প পেয়েছি যেখানে হিরো ভুতের উপদ্রব ওয়ালা বাড়িতে গিয়ে ভুতকে কব্জা করার পর রান্না করে তার মাংশ খেয়ে ফেলে!!(আই মিন রিয়েলি??? একেতো ভুত,তারপর তার মাংশ!!আজগুবিরও লিমিট আছে)
যাইহোক এতদিন নিশ্চিত ছিলাম এই ভেবে যে আমরা যতই ভেজাল খাইনা কেন হাবিজাবি জিনিসের মাংশ তো খাইনা। নিপাহ ভাইরাসের ভয়ে দেশের মানুষ খেজুর রস খাওয়া তো প্রায় ছেড়েই দিয়েছে।আজ সোস্যাল মিডিয়ায় একটা নিউজ দেখে সেই শান্তিও উধাও হলো। নাটোর থেকে বাদুর শিকার করে যশোরে পাচার করতে গিয়ে ধরা পড়েছে এক লোক।এইগুলো নাকি বিভিন্ন হোটেলে মুরগী বা পাখির মাংস বলে বিক্রি হতো।ইন্টারনেট থেকে জানলাম দেশে এই ঘটনা আগেও ঘটেছে।ছবি নিচে দেয়া হলো।
মানুষ কতোটা লোভের কারনে এমন নিচে নামতে পারে?
যাইহোক সবাই ভাল থাকুন।সতর্ক থাকুন।
তথ্য, ছবি ও ভিডিও সূত্রঃ ইন্টারনেট