"কারাবাস এড়াতে শাহ আলমের ফন্দিফিকির"। সমকালের ২ জুনের প্রধান শিরোণাম এটি। পাঁচ কলাম সংবাদটির তিন কলামজুড়ে তিন লাইনে শিরোণামটি দেয়া হয়েছে। পাশে দুই কলামে শাহ আলমের ব্যঙ্গচিত্র। সংবাদের বিস্তারিত বিবরনে বলা হয় বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান আহমদ আকবর সোবহান ওরফে শাহ আলম এবং তার স্ত্রী ও দুই পুত্র কারাভোগ এড়াতে ফাঁক-ফোকর খুঁজছেন। তবে শেষ পর্যন্ত তারা সফল হবেন কি-না তা আইনজীবীরা নিশ্চিত করে বলতে পারছেন না।
পত্রিকাটি রাজনীতিক ও ব্যবসায়িদের মামলা বিষয়ক একটি প্রতিবেদন করতে গিয়ে এই শীর্ষস্থানীয় ভূমি ব্যবসায়িকে খুব বেশি করে হাইলাইট করেছে। ওই প্রতিবেদনে সাবেক মন্ত্রী আনোয়ার হোসেন মঞ্জু, এম মোরশেদ খান, মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, হাজি সেলিম এবং নাদিম মোস্তফাসহ হেভিওয়েট রাজনীতিবিদরা থাকতে কেনো এই ব্যবসায়ির ব্যঙ্গ ছবি দিয়ে তাকে শিরোণামে আনা হলো বিষয়টি ঠিক বোঝা গেল না।
জরুরী সরকার ক্ষমতায় আসার পরই এই ব্যবসায়ির অন্যায় ও বেআইনি কাজ কারবার মিডিয়ায় ফলাও হতে শুরু করে। গত কিছুদিন আগে স্বয়ং সেনা প্রধানের সঙ্গে একটি অনুষ্টানে বিশেষ অতিথি হয়ে প্রথম আলো ও সমকালসহ শীর্ষস্থানীয় সংবাদ মাধ্যমের তোপের মুখে পড়েন। ওই ঘটনার পর সেনা প্রধান ক্রিড়াক্ষেত্র থেকে নিজেকে সরিয়ে নেন। এরপরও সমকাল ও প্রথম আলো আহমদ আকবর সোবহান ও তার বিভিন্ন ব্যবসায়িক কর্মকান্ডের কাহিনী তুলে ধরতে থাকে। প্রথম আলো এবং ডেইলি স্টার মিলে সোবহানের কয়েকটি গৃহায়ন প্রকল্পের মাঠ পর্যায়ের খবর তুলে আনে। এবং এগুলোতে প্রচুর অনিয়ম হয়েছে মর্মে তথ্য উপাত্ত উপস্থাপনের চেষ্টা করে।
আবেদ খানের সম্পাদনায় কালের কণ্ঠ নামের একটি পত্রিকা অচিরেই বাজারে আসছে। পত্রিকাটি ফাইন্যন্স করছে বসুন্ধরা তথা আহমদ আকবর সোবহান। অবৈধ ব্যবসা করে অনেকে মিডিয়ার মালিক হয়ে বা বন্ধু হয়ে বেচে যাচ্ছেন সম্ভবত সোবহান সাহেব তা ভালোভাবে খেয়াল করেছেন। তিনিও একটি সংবাদ মাধ্যমের ছায়ার নিচে আশ্রয় নিতে চান। পত্রিকাটির বড়সড় গোছের প্রাথমিক প্রস্তুতি খুব সম্ভবত সমকাল ও প্রথম আলো কর্তৃপক্ষকে ভাবিয়ে তুলছে। তাই এরা সুযোগ পেলেই আক্রমন করছে বেচারা সোবহানকে।
ব্যক্তির চরিত্র নিয়ে সংবাদ মাধ্যমের তীব্র প্রতিক্রিয়াধর্মী লেখার তোড়জোড় বেড়ে যায় সাম্প্রতিক বছরগুলোতে। প্রধান প্রধান জাতীয় দৈনিকগুলো এ নিয়ে রীতিমতো প্রতিযোগিতায় লীপ্ত হয়। বিশেষ করে বিগত অনির্বাচিত জরুরী সরকারের সময় এটি চরম আকার ধারন করে। দেশের শীর্ষস্থানীয় রাজনীতিক, ব্যবসায়ী এবং বিভিন্ন শ্রেণীপেশা নির্বিশেষে চরিত্র হননের উদ্যোগ দেখা গেছে। তবে সংবাদ মাধ্যমের মালিকানা থাকায় এবং বন্ধুভাবাপন্ন হওয়ায় অনেক চরম নষ্ট চরিত্রের ব্যক্তি বেচে গেছেন বলে মনে করেন অনেকে।
বাকি অংশ পডুন, http://sonarbangladesh.com/article.php?ID=879