১. পরীক্ষা করার জন্য
কাউকে পরীক্ষা করার জন্য অনেক সময় অনেকে নিজের অতীত বানিয়ে বলে। যেমন- সে তার অতীত সম্পর্ক নিয়ে রসালো গল্প তৈরি করে আপনার সামনে পরিবেশন করবে আর দেখবে এ ব্যাপারে আপনার প্রতিক্রিয়া কেমন।এতে করে সে জানার চেষ্টা করে ভবিষ্যতে তার সামনে কী বলা যাবে আর কী বলা থেকে দূরে থাকতে হবে।
২. প্রভাবিত করতে
অনেক সময় অন্যকে প্রভাবিত করতে নারী-পুরুষ উভয়েই মিথ্যার আশ্রয় নিয়ে থাকে। নিজের প্রতি প্রভাবিত করার জন্য অনেকে নিপূণভাবে মিথ্যে বলে। মিথ্যাবাদী চেষ্টা করে অন্যের চিন্তা ও ভাবনার স্টিয়ারিংটা নিজের হাতে নিতে। এতে সফল হতে উপযুক্ত সময় ও উপায় বুঝে সে ছলনার আশ্রয় নেয়।
৩. অতীত লুকাতে
কেউ অনেক সময় অতীতে খারাপ কিছু করে থাকলে তা লুকানোর জন্য মিথ্যার আশ্রয় নেয়। অবশ্য এটা বিভিন্ন কারণে হতে পারে। যেমন: সে তার অতীত সর্ম্পক নিয়ে নিজেই লজ্জিত কিংবা ভীত।
৪. বন্ধুকে উদ্বেগ থেকে দূরে রাখতে
বন্ধু বা ভালোবাসার মানুষকে অনেক সময় উদ্বেগ থেকে দূরে রাখতে মানুষ মিথ্যে বলে। সঙ্গী,বন্ধু বা সহকর্মী কোনো ব্যাপারে উদ্বিগ্ন থাকলে তার মানসিক শান্তির জন্য অনেক সময় অনেকে নানা কথা বাড়িয়ে বলে।
৫. নিজেকে রক্ষা করতে
মানুষ সবচেয়ে বেশি মিথ্যা কথা বলে বিভিন্ন অপরাধ ঢাকার জন্য। সব মানুষই কমবেশি অপরাধ করে। আর এই অপরাধের দায় থেকে নিজেকে রক্ষা করতে অনেকে মিথ্যা কথা বলে।
৬. পরিতৃপ্তির জন্য
অনেক সময় আত্ম পরিতৃপ্তির জন্যও অনেকে মিথ্যার আশ্রয় নেয়। তবে বিষয়টি পুরোপুরি মানসিক। যেমন সে তার সাফল্য বা অর্জন সম্পর্কে বলার সময় একটু রঙ ঢেলে দিয়ে বাড়িয়ে বলবে। এটা অবশ্য ভাবা হয় কেউ নিজেকে সামনে আলোচিতভাবে তুলে ধরতে বলছে তবে নিজের অনিরাপত্তা থেকেও বলে থাকতে পারে।
৭. দুঃখ ঢাকতে
অনেক মানুষের মনেই অনেক ধরনের দুঃখ লুকিয়ে থাকে, যা কেউ অন্যকে বলতে চায় না। সেই সময় কেউ ওই কষ্টের কথা জিজ্ঞেস করলে অনেকে মিথ্যে কথা বলে থাকে। এছাড়া এমন অনেক পরিস্থিতি আসে যখন সত্যি কথা বল্লে প্রিয় মানুষটি কষ্ট পাবে। তেমন সময়েও মানুষ মিথ্যে বলে।
কারণ গুলো কতোটা যথার্থ জানি না ঘাটতি থাকলে যথার্থ করে দিবে ধন্যবাদ।
সর্বশেষ এডিট : ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:৪৪