অজানার প্রতি অদম্য আগ্রহ, অসম্ভবের দিকে যাত্রা, আর নিষিদ্ধ কিছুর প্রতি প্রচণ্ড আকর্ষণ অনুভব করাটা মানুষ নামের প্রজাতির সহজাত বৈশিষ্ট্য। কেবল জীবনটা যাপন করা নয়, অজানাকে জানতে মানুষ তুচ্ছ করতে পারে এমনকী জীবনকেও।
এমনই এক অজানা সৌন্দর্যে্যর অপার লীলাভূমি তাসমানিয়ার উপবন। ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইটের তালিকায় সর্বোচ্চ পয়েন্ট পাওয়া দুটি স্থানের একটি এটি। অস্ট্রেলিয়ার দক্ষিণাংশের প্রায় এক পঞ্চমাংশ নিয়েই ওই উপবন। এতে ৬টি জাতীয় পার্ক রয়েছে।
স্থানটি বিশ্বের সর্বশেষ প্রাকৃতিক উপবন। এর সবচেয়ে বড় অংশটি হচ্ছে সাউথওয়েস্ট ন্যাশনাল পার্ক। ৬ হাজার স্কয়ার কিলোমিটোরের এই বনটিতে রয়েছে বরফের লেক, হার না মানা নদী, রেইনফরেস্ট ও আরো অনেক কিছু।
ওই উপবনে প্রকৃতির সঙ্গে টিকে থাকা খুবই কঠিন। এটি খুবই বিপদসংকুল একটি জায়গা। এই স্থানটি আসলে পৃথিবীর শেষ সীমানা। যদি আবহাওয়া পরিবর্তিত হয় তবে এখানে বেঁচে থাকাটা খুবই কঠিন। দুর্গম পাহাড়, অপ্রতিরোধ্য নদী আর বৈরী আবহাওয়ার এই অঞ্চলটি বিশ্বের সবচেয়ে বিপদজনক পাহাড়গুলোর মধ্যে অন্যতম। আর এই কঠিন চ্যালেঞ্জটিই পর্বতারোহীদেরকে বেশি আকৃষ্ট করে। বছরে প্রায় ১ হাজার পর্বতারোহী এ অঞ্চলে আসেন। অল্প কিছু খাবার, পোশাক, তাবু, স্লিপিং ব্যাগ ও ফার্স্ট এইড কিট একটি ব্যাগপ্যাকে নিয়ে কাঁধে ঝুলিয়ে পর্বতে উঠতে থাকেন তারা।
বছরের নয় মাস জুড়ে ওই বনটিতে থাকে প্রবল বাতাস আর বৃষ্টি। ডিসেম্বরের দিকে যখন বনের গাছগুলির পাতার ফাঁক দিয়ে সূর্যের আলো উঁকি মারে তখন পর্যটকরা দলে দলে আসতে শুরু করেন।
অসম্ভব সুন্দর এই তাসমানিয়া যেন কল্পনার কোনো পবিত্র জায়গা। যেখানে প্রকৃতির কাছে খুবই অসহায় মানবজাতি; তবুও এই সুন্দর কাছে টানে। ভয়ংকর এই সুন্দরকে চোখে দেখার সাধ মেটাতে প্রতিবছর সেখানে ছুটে যায় রোমাঞ্চপ্রিয় মানুষেরা।
সূত্রঃ দেশ-বিদেশে অবলম্বনে।
সর্বশেষ এডিট : ২১ শে জুলাই, ২০১৫ বিকাল ৩:৩৯