কুঞ্জল রথ-২
দিক-দর্শনের পর্দা থেকে চোখ সরাতেই মনে পড়লো বাসন্তী’র কথা। পথমালতী’র মতো বেড়ে উঠা বৃষ্টিরোদমেঘবসন্ত দিনের সেই বাসন্তী। এখনো চোখ পড়তেই আপনা-আপনি কণ্ঠ থেকে বেরিয়ে আসে...তুমহারা নাম ক্যায়া হ্যা বাসন্তী?
বাসন্তী হাসতে হাসতে দূরদর্শনের ভেতরে ঢুকে যায়। তারপর পথের পর পথ চলতে থাকে তার মনকুঞ্জল রিনরিনে হাসি নিয়ে। দীঘলবতী চুল আর স্রোতাধরী চোখ নিয়ে। আমি শুধুই বলি... রে বাসন্তী!
কুঞ্জল রথ-৩
শুধু আমার হিয়া বিরাম পায় না কোন। পদতলে চেপে ধরে রাখি যে ধরাকে, সে হয়ে উঠে অধরা। স্রোতধারায় জমে থাকা জলকলমি হেসে উঠে আপন মনে। ইচ্ছে করে সমস্ত পুরুষকে পায়ের তলায় শর্ষে করে দিয়ে নতুন একটা পৃথিবীর জন্ম দেই।
পাহাড়ে পাহাড়ে কথা চলছে, ঈশ্বরের সাথে পা মিলিয়ে পরজন্মে পুরুষকে গড়ে তুলবো ক্লীব। শুধু পীরন্দাম ফলই গড়ে তুলবে গর্ভ সঞ্চারণ। পৃথিবীতে থাকবে না কোন পুরুধর্ষক।