১ম পর্ব
কাতার পৌছুলাম।আকাশ থেকেই বুঝতে পারছিলাম যে দোহা শহরটিও মধ্যপ্রাচ্যের অন্যান্য শহরের মত সুন্দর করে গড়ে তোলা হয়েছে। একদিকে সমুদ্র আর অন্যদিকে বালুময় প্রান্তর ছাড়া প্রাকৃতিক সৌন্দর্য তেমন নেই। সবুজ তো দেখাই যায়না!
দোহা এয়ারপোর্ট টি নতুন করে তৈরী করা হচ্ছে। অবশ্য ২০২২ এর ফুটবল বিশ্বকাপ কে সামনে রেখে পুরো কাতারেই চলছে বিশাল এক নির্মাণ কর্মযগ্গ। প্লেন থেকে নেমেই গরম বাতাস আমাদের অভ্যর্থনা জানালো।অনেক বড় এয়ারপোর্ট দোহা। প্লেন থেকে নেমে বাসে করে বহুক্ষন লাগে এরাইভালে পৌঁছাতে।আমরা হোটেল ট্রান্সফারের জন্য নির্ধারিত কাউন্টারে গেলাম।সেখান থেকে আমাদের নিয়ে বসানো হল আল মাহা সার্ভিস এর লাউন্জে। সোফায় বসতেই একজন সুন্দরী মহিলা এসে বললো,"আপনারা চাইলে এখান থেকে কিছু খেয়ে নিতে পারেন"-বলে পাশেই খাবার টেবিল দেখালো। আমরা কফি আর কেক খেলাম শুধু। আরো অনেকধরনের হালকা খাবার ছিলো যদিও। কিনতু প্লেনে ভুড়িভোজ ভালই হয়েছে আমাদের। খাওয়ার মাঝেই ইমিগ্রেশান এর কাজ করে ফেলল, আর ঐ লাউন্জেই আমাদের ছবি তুলে পাসপোর্টে সীল মেরে ছেড়ে দিলো। তারপর একজন নিয়ে গেল নির্ধারিত হোটেল এর কাউন্টারে। বিশাল বপু এক লোক আমাদের অভ্যর্থনা জানালো আর বাইরে নিয়ে গাড়িতে উঠিয়ে দিল। অডি গাড়িতে আগে কখনো চড়িনি। বেশ দারুণ গাড়ি।
আমাদের হোটেলের নাম ওরিক্স রোটানা।এয়ারপোর্ট থেকে মাত্র কয়েক মিনটের পথ। হোটেলে পৌছাতে ১২ টার কাছাকাছি হয়ে গেল। ভাবলাম জুমার নামাজ মসজিদে আদায় করবো। কিন্ত আমাকে অবাক করে দিয়ে একজন বললো নামাজ শুরু হয়ে গেছে। কাতারে নাকি ১২ টার দিকেই নামাজ শুরু হয়ে যায়। কি আর করা! রুমে চলে গেলাম। রুমে ঢুকেই মনটা ভাল হয়ে গেল। সুন্দর ছিমছাম রুম।
( কাতার হোটেলের রুমের ছবি।ছবিটা আমার তোলা না)
গোসল করে রেডি হয়ে খেতে চলে গেলাম। সুন্দর হোটেলের সুন্দর খাবার যায়গা। পাশেই সুইমিং পুল। লাইভ মিউজিক চলছে।খাবার এর আগে খোঁজ নিলাম ওয়াইফাই কানেকশানের। ওরা বলল হোটেল ওয়াইফাই ব্যাবহার করতে হবে টাকা দিয়ে। আমি তো অবাক! কিন্ত নিয়ম যেহেতু কিছু করার নেই। সারাদিনের জন্য ৭৫ কাতার রিয়াল। আবার এক ঘন্টার জন্য ২৫ কাতার রিয়াল। আমি এক ঘন্টার জন্য নিলাম। এরপর খেতে গেলাম।
লিফট থেকে তোলা বুফে লান্চের ছবি।
খাবার পরে রুমে গিয়ে একটু গড়াগড়ি দিয়ে দোহা দেখতে বেড়িয়ে গেলাম। দোহা শহরটা সুন্দর । সব যায়গায়ই কাজ চলছে দেখলাম। সবই বিশ্বকাপের জন্য। দোহা করনিশ দেখার মত একটা যায়গা। সমুদ্রের তীরে বড় বড় বিল্ডিং আর সুন্দর লাইটিং। অনেক রাতে ফিরলাম হোটেলে। (চলবে)