আমি টিভি অনুষ্ঠানটি দেখিনি। আজকের যুগান্তরে পড়লাম বিস্তারিত। হান্নান সাহেব বলেছেন-‘৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধ মূলত একটি গৃহযুদ্ধ। পশ্চিম পাকিস্তান ও পূর্ব পাকিস্তানের রাজনৈতিক শক্তির লড়াইয়ের রেশ ধরেই এ গৃহযুদ্ধ সংঘটিত হয়েছে।
এনসাইক্লোপেডিয়া ও তৎকালীন বিদেশী পত্র-পত্রিকায়ও বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধকে গৃহযুদ্ধ বলে অভিহিত করা হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘যুদ্ধে রাজাকার এবং মুক্তিযোদ্ধা উভয় পক্ষই নিহত হয়েছে। যার সংখ্যা কোন অবস্থাতেই ৩০ লাখ নয়। শেখ মুজিবুর রহমান একবার নিহতের সংখ্যা ১০ লাখ বলেছেন। পরে আবার ৩০ লাখ বলেছেন। প্রকৃত সত্য কোনটি তা উদঘাটনে স্বাধীনতার পর কোন সরকারই উদ্যোগ নেয়নি। এছাড়া বিচারপতি হামদুর রহমান কমিশনের রিপোর্টে বলা হয়েছে, নিহতের সংখ্যা ২৬ হাজার অথবা তার চেয়ে আরও কিছু কম।’
মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে গণহত্যার বিষয়টিও অস্বীকার করে টকশো’তে শাহ আবদুল হান্নান আরও বলেন, ‘৭১ সালের লড়াইটা ছিল জাতিগত এবং রাজনৈতিক শক্তিগুলোর মধ্যে। বাঙালি ও বিহারিরা পরস্পরের বিরুদ্ধে লড়াই করেছেন। পাশাপাশি ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে যুদ্ধ হয়েছে। এ যুদ্ধে রাজাকার ও তাদের সহযোগীরা নিহত হয়েছে। মুক্তিযোদ্ধারাও নিহত হয়েছেন। তাই এটাকে গণহত্যা বলা যাবে না। জাতিসংঘও এটাকে গণহত্যা বলেনি।’
স্বাধীনতা বিরোধী এসব লোক কত বড় বড় অবস্হানে চলে গেল, আর আমার বীর পংগু মুক্তিযোদ্ধারা মিরপুর এ মানবেতর জীবনযাপন করে। একটা মুক্তিযোদ্ধা সাটি'ফিকেটের জন্য মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রনালয়ের পিয়নের বকা শুনে আর নীরবে চোখের পানি ফেলে।
এরপরও কি এদের বিচার হবেনা?মুক্তিযুদ্ধ কে সরাসরি অপমান করার পরও কি আমরা সবাই চুপ থাকবো?ত্রিশ লাখ শহীদের আত্মা কিন্তু আমাদের কানের কাছে কেঁদে যাচ্ছে। আপনারা কি কেউ শুনতে পাচ্ছেননা সেই কান্না?
আমরা কি এসব অসভ্য লোকদের বিচার চাবোনা? নাকি আবার সেই ৩০ লাখ শহীদ কেই ফিরে আসতে হবে?
সর্বশেষ এডিট : ২৯ শে অক্টোবর, ২০০৭ সকাল ৯:২৯