ধুমপানে বিষপান। এটি সবারই জানা। কিন্তু জেনে-শুনে তো আমরা অনেক কিছুই করি। আবার করতে পছন্দ ো যেমন করি তেমনি অপরকে পরামর্শ দিতেো পিছপা হইনা; স্ব-বিরোধী এই যা আর কি!
যে যাই হোক, কথা হল- ধুমপান সঙক্রান্ত নতুন গবেষণা এবঙ এই গবেষণায় যে বিষয়টি পেলাম তা আপনাদের দরবারে পোষ্ট করতে চাই-
১। শহরের একটি বস্তিতে একদিন বিকেল বেলায় যাই। সেখানে প্রত্যেক ঘরে ঘরে ঢুকে জিজ্ঞেস করি এইঘরে কে কে ধুমপান করে?
২। যিনি ধুমপান করেন তিনি বিবাহিত/অবিবাহিত?
৩। বিবাহিত হলে স্ত্রী ো সন্তানদের সাথে থাকেন কিনা? থাকলে কত সময়?
৪। পরিবারের মানুষদের সাথে সরাসরি সঙস্পর্শ (আচার-আচরণ) কেমন?
৫। অবিবাহিত হলে ক্লোজড ফ্রেন্ড আছে কিনা?
(পরবর্তীতে সেটি আমি আমাদের অফিস পাড়ায় এবঙ নিজ এলাকায়ো চালিয়ে দেখেছি...)
দেখা গেছে প্রত্যেক ঘরেই কম আর বেশী পুরুষরাই সাধারণত বেশী ধুমপান করেন। এবঙ অপেক্ষাকৃত কম উন্নত এলাকা যেমন- বস্তি কিঙবা রাস্তার পাশে যারা আছেন এই শ্রেণীর মধ্যে মহিলারা এগিয়ে আছেন।
আমার এই গবেষণার মুল লক্ষ্য ছিল কিন্তু অন্য জায়গায়। আর সেটা হল- কিভাবে একজন ধুমপায়ী আরেকজন অ-ধুমপায়ী ব্যক্তিকে পরোক্ষভাবে ধুমপায়িত করছেন; সে বিষয়টিই বের করে আনা।
যে সকল ঘরে শুধুমাত্র একজনই ধুমপান করেন সেক্ষেত্রে (বিবাহিত) জিজ্ঞেস করা হল- আপনি আপনার সন্তানদের কিভাবে আদর করেন। উত্তর এল- বুকে জড়িয়ে, মুখে ো কপালে চুমো দেই... পাল্টা প্রশ্ন করি- স্ত্রীকে আদর করেন না? বেচারা একটু লজ্জা পেল, মুখ লাল হয়ে গেলো। মাথা নেড়ে জবাব দিল। কিভাবে? ঐ একই ভাবেই- উত্তর দিল।
: এটি একটি একক পরিবারের উদাহরণ। যেখানে পুরুষ প্রবরটি ধুমপান করেন। কিন্তু তার স্ত্রী বা সন্তানরা করেন না। অথচ তিনি ধুমপান করেন। তাহলে ব্যাপারটা দাড়াল এই- উক্ত ধুমপায়ী ব্যক্তি যখন তার স্ত্রী ো সন্তানদের একান্ত সান্নিধ্যে থাকেন তখন তার ধুমপায়ী মুখ তাদের শরীর ো মুখ কোন না কোনভাবে পুরোপুরি স্পর্শ করে থাকে। তাহলে ব্যাপারটা দাড়াল ভদ্রলোক তার নিজ স্ত্রী-সন্তানদেরকেো ধুমপানের র মেটেরিয়্যালস বা জীবাণুগুলো ছড়ালেন অথাৱ পরোক্ষভাবে ধুমপায়ী বানালেন। এভাবে হিসেবে করে দেখলে দেখা যাবে, যে সকল পরিবারে শুধুমাত্র একজন ব্যক্তিই ধুমপান করেন এবঙ পরিবারে তার সহবস্থানের কারনে তিনি পরোক্ষভাবে সকলকেই ধুমপায়ী বানান। এবঙ ধুমপানের মাধ্যমে সৃষ্ট রোগ-জীবাণু গুলোো তাদের দেহে ছড়িয়ে দেন।
ডাক্তারদের মতে যদি ব্যাপারটা সঠিক হয়ে থাকে- তাহলে তো আমার ঘুম হারাম হয়ে যাবে! আপনার যাবে না?
আসুন- সচেতন হই। ধুমপায়ী ব্যক্তি থেকে দুরে থাকি। নিজে বাৎচি, অন্যকে ো বাচতে সাহায্য করি। আমাদের নিজেদের পরিবারে যদি কেউ ধুমপান করে থাকেন, তাহলে আজকেই তাকে বুঝিয়ে বলি যে ধুমপানের কারণে রোগ-জীবাণূ কীভাবে পরিবারের অন্যদেরকেো গ্রাস করতে পারে। দরকার শুধু একটু সচেতনতা। আসুন।।।
সর্বশেষ এডিট : ২২ শে জুলাই, ২০০৮ সন্ধ্যা ৭:২৭