জ্বি ব্লগার ভাই ো বোনেরা,
আপনাদের আরেকটি নতুন আন্দোলনে আহবান জানাচ্ছি। কারণ আমরা যদি এতে এগিয়ে না আসি তাহলে আর কেউই আসার নেই। কেউই আসবে না এগিয়ে...।
"e-Payment Processor চাই এটিকে একটি সামাজিক ো শক্তিশালী আন্দোলন হিসেবে প্রতিষ্ঠা করতে হবে"- এটিই হচ্ছে নতুন আন্দোলন। কম্পিউটার ইন্টারনেট ইউজার মাত্রই বোঝেন এর ফজিলত (নাস্তিকেরা আবার এর মধ্যে ভিন্ন গন্ধ খুইজেন না, প্লিজ)। গ্লোবালাইজেশন এর এই যুগে ইন্টারনেটের মাধ্যমে আজ আমরা পৃথিবী নামক গ্রহটিকে পরখ করতে পাচ্ছি একদম হাতের মুঠোয়। যোগাযোগ, শিক্ষা-সঙস্কৃতি ো বিনোদনের ক্ষেত্রে ঘটিয়েছে এক বৈপ্লবিক মহা-পরিবর্তন। বেড়েছে জানার সুযোগ, বলার সুযোগ... আয়ের সুযোগ।
ইন্টারনেটকে পজেটিভ োয়েতে যথার্থভাবে কাজে লাগাতে ো চর্চা করতে পারলে এটিই হতে পারে আর একটি 'গার্মেন্টস শিল্প'- আরেকটি কারখনা- যার থেকে আমরা বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করতে পারি অনায়াসেই। এবঙ আজকাল আমাদের এই সোনার বাঙলাদেশ থেকেো অনেক তরুন-যুবক একে ব্যবহার করে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করছে। অনেকেই এর সাথে জড়িত আছে।
আমি ব্যক্তিগত ভাবে গবেষণায় দেখেছি যে, যখন একটি পদ্ধতি কোন জনগোষ্ঠীর পরিবর্তন সাধিত করার স্বার্থে প্রয়োগ করা হয়; তখন এর সাফল্য নির্ভর করে এই জনগোষ্ঠীর ব্যাপক অঙশগ্রহণে। আর ঐ পদ্ধতিটি ভেস্তে যায় যদি জনগোষ্ঠীর কোন প্রকার উপকারে আসে না বা পদ্ধতির দ্বারা তারা উপকারটি সহজে লাভ করতে পারে না।
যার ফলে আমার উদ্বেগ খুবই বেড়ে গেছে। কারণ আমরা সবাই জানি ইন্টারনেট বা োয়েব টেকনোলজী একটি কার্যকরী পদ্ধতি। কিন্তু এর দ্বারা যদি আমরা আমাদের কাঙখিত উপকারটি অর্জন করতে না পারি তখন হয়ত জনগণ এর উপর থেকে মুখ উঠিয়ে নেবে, আস্থা হারিয়ে ফেলবে। আমি বলতে চাচ্ছি ইন্টারনেটের মাধ্যমে আয়ের কথা। এটি একটি গ্রহণযোগ্য ো প্রমাণিত সত্য যে ইন্টারনেট থেকে অনেকেই আয় করছেন। আর এটিকে জনপ্রিয় করার জন্য যে সকল প্রয়োজনীয় কাজ করা উচিত তা যদি আমরা করতে না পারি তাহলে এর বাস্তবায়ন যেমন সম্ভব হবে না তেমনি এর দ্বারা যে আয় করা যায় সে সত্য টুকু ো তখন ভুয়া বলে বিবেচিত হবে।
আরো একটি বাস্তব উদাহরণ দেই: বেশ কিছুদিন পূর্বে আমাদের দেশে প্রথমবারের মত একটি মার্কেটিঙ কৌশল চালু হয় যা এম.এল.এম. নামে পরিচিত। আমার জানামতে এম.এল.এম. হচ্ছে বিশ্বব্যাপী একটি অত্যন্ত কার্যকর ো সুফলকারী মার্কেটিঙ কৌশল যাতে খুব সহজেই পণ্যের বিক্রেতা তার ভোক্তার কাছে পৌছাতে পারেন, অনেক ঝক্কি ঝামেলা ছাড়াই। তবে এম.এল.এম. এত সহজ কিছু নয়, এর বেশ কিছু নির্দিষ্ট নিয়ম ো নীতিমালা রয়েছে। তো যখন হঠাৱ দেশে এই নীতি চালু হল এবঙ টুঙ চেঙ থেকে শুরু করে ডেসটিনি নামক বেশ কিছু প্রতিষ্ঠান এই নতুন রীতি মেনে তাদের কার্যক্রম প্রসার করছিলেন তখনই দেখা গেল- যত্তসব আজে বাজে কথা- এই প্রতিষ্ঠিত এম.এল.এম. কে নিয়ে। কেমন জানি সাধারণ মানুষকে বোকা বানানো হচ্ছিল, পত্র-পত্রিকায়ো কম লেখালিখি হয় নি। যার ফলে এম.এল.এম. এর মত একটি কার্যকর মার্কেটিঙ পদ্ধতি থেকে মানুষ আস্থা হারাতে বসল। অনেকে একে ভুয়া বলেো গালমন্দ করতে লাগল। ভাবুন তো কেমন লাগে। অথচ ব্যাপারটা সম্পূর্ণ ভিন্ন। ব্যাপারটা হল এরকম- পৃথিবীর কোন দেশেই আমাদের মত 'শঙকর' মানুষ নেই। আমরা জাতিগত ভাবে দূর্নীতিবাজ, প্রতারক ো চোর... লোভী...। যখন এম.এল.এম. প্রথম দেশে আসে তখন মানুষ ঠিকমতো এর মোজেজা বুঝত না। ফলে তারা খুব তাড়াতাড়ি রাতারাতি বড়লোক, কোটিপতি হবার স্বপ্ন দেখল এবঙ ঘটলো তাই.... কিন্তু এর দায়ভার চাপানো হল প্রতিষ্ঠিত ো কার্যকরী এম.এল.এম. পদ্ধতির উপর। এম.এল.এম. এর মুল ভিত্তিই হলো- কোয়ালিটি প্রোডাক্টস, প্রোডাক্টস এন্ড প্রোডাক্টস এবঙ নিজস্ব প্রোডাক্টস। সে যাক, আমার ভয় টা কেন এবার বুঝলেন তো?
আমার ভয় হল মানুষ যেনো একটি প্রতিষ্ঠিত ো কার্যকর ব্যবস্থাকে ভয় না পায়, যেন তার উপর থেকে আস্থা না হারায়, যেন সেটিকে ভুয়া না বলে...।
মোদ্দা কথা হল, ইন্টানেট প্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়ে মানুষ এখন ই-কমার্স নামক যে পদ্ধতিতে সারা বিশ্বব্যাপী নিজস্ব পণ্য-দ্রব্য বেচা-কেনার সুযোগ পাচ্ছে সে পদ্ধতিটি যদি আমরাো আমাদের দেশে সফলতার সাথে বাস্তবায়ন করতে পারি তাহলে আমরাো পিছে পড়ে থাকব না এবঙ পিছে পড়ে থাকতে হবে না। কিন্তু তার জন্য অনেকগুলো কাজ করতে হবে। যা এখনো আমাদের দেশে অনুপস্থিত। ই-কমার্সের মাধ্যমে পণ্য ক্রয়-বিক্রয় করতে উভয় পক্ষকেই তার মূল্য পরিশোধ/ প্রাপ্তি নিশ্চিত করতে হবে। আর এই প্রাপ্তি/পরিশোধ পদ্ধতিটি যে প্রক্রিয়ায় নিশ্চিত করতে হয় তার নামই হল ই-পেমেন্ট প্রসেসর পদ্ধতি। আর এই পুো কাজটিই দেশের সরকার পক্ষের কাজ। পেমেন্ট গেটোয়ের সাথে আমাদের দেশের ব্যাঙক ব্যব্সথাো জড়িত। কারণ অনেক ক্ষেত্রেই আমাদের ব্যাঙক গুিল বাইরের দেশের ই-চেক, মেইল চেক, মানি ট্রান্সফার, ব্যাঙক োয়্যারহাউজ ট্রান্সফার ইত্যাদি ব্যাপারগুলি ড্রিল করে না। যার ফলে মানি ট্রান্সফার সম্ভব হয় না।
ই-পেমেন্ট প্রসেসর/ গেটোয়ে এর সাথে পণ্য ক্রেতা, বিক্রেতা, ক্রেডিক/ডেবিট কার্ড কোম্পানী, ব্যাঙক কোম্পানী, ই-পেমেন্ট প্রসেসিঙ কোম্পানী ো সরকার জড়িত থাকে। একটি বিশাল নেটোয়ার্ক। যার সুফল অনেক, অনেক, অনেক বেশী। নিচে একটি লিঙক দিলাম-
ই-পেমেন্ট প্রসেসর সঙক্রান্ত লিঙক:
ই-পেমেন্ট একাউন্ট কি: জিমেইল, ইয়াহু, হইমেইল, ইত্যাদি ই-মেইল একাউন্ট এর মতই একটি একাউন্ট; যেখানে আপনার ব্যক্তিগত তথ্যাদি, ব্যাঙক একাউন্টস, ক্রেডিক/ডেবিট/ভিসা বা মাষ্টার কার্ডের মতো ইন্টারন্যাশনাল একসেপ্টেড কার্ড সঙক্রান্ত হিসাব জমা থাকবে। এবঙ আপনি এই একাউন্ট ব্যবহার করার মাধ্যমে বিশ্বব্যাপী টাকা ট্রান্সফার, ক্রয়-বিক্রয় ইত্যাদি লেনদেন সমুহ সম্পন্ন করতে পারবেন। ধরুন: ইন্টারনেটে বসে গুগল এডসেন্স এর ব্লগ প্রযুক্তি কাজে লাগিয়ে কিছু ডলার আয় করলেন। স্বভাবতই এখন আপনি চাইবেন- টাকাটা আপনার কাছে আসুক। এই টাকাটা আপনার কাছে আনতে সাহায্য করবে আপনার ই-পেমেন্ট একাউন্ট। [এই হল আমার নিজস্ব ভাষায় সহজ, সরল বর্ণনা। ভুল-ত্রুটি ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন। আরো তথ্যবহুল পোষ্ট লিখতে পারলে অত্যন্ত খুশি হবো এবঙ সেজন্য আগ থেকেই ধন্যবাদ দিয়ে রাখলাম।]
ই-পেমেন্ট একাউন্ট প্রসেসিঙ কোম্পানী: সমগ্র বিশ্বে সবচেয়ে বহুল প্রচলিত, কার্যকর ো একসেপ্টেড প্রতিষ্ঠান হল: পে-পাল (PayPal) এছাড়াো রয়েছে এল্টারেপ, ই-গোল্ড সহ আরো অনেক প্রতিষ্ঠান।
আমার শেষ কথা হল আমরা আমাদের দেশে একটি ই-পেমেন্ট গেটোয়ে চাই- সরকার মহোদয়ের কাছে, এটিই আমার সহ আমাদের সকলের চাোয়া হউক। এবঙ সকলের কাছে অনুরোধ রাখব সবাই যেনো একটি বার হলেো তাদের লেখা-লেখিতে এই বিষয়টা ফুটিয়ে তোলেন। একটি পে-পাল একাউন্ট এর জন্য আন্দোলন- সফল হউক, বাঙলাদেশ জিন্দাবাদ।
সর্বশেষ এডিট : ২২ শে জুলাই, ২০০৮ বিকাল ৩:৩০