কিন্তু ঝুকবে কে???
১ বার ১ লোক মরার পরে স্বর্গে গেছে।
স্বর্গের দারো্যান ঐ লোক কে রাস্তা দেখায় নিয়ে যাচ্ছে।
স্বর্গের দারো্যান সামনে সামনে চাবির গোছা নিয়ে যাচ্ছে আর ঐ লোক পিছনে।
হঠাৎ স্বর্গের দারো্যানের হাত থেকে চাবি পড়ে গেল।
স্বর্গের দারো্যান যেই চাবি তোলার জন্য ঝুকছে,স্বর্গের দারো্যানের ব্যাক সাইড দেখে ঐলোকের মাথা আউলায়ে গেছে।
সে স্থান কাল ভুলে স্বর্গের দারো্যানকে ইয়া ধুম ধুম করে....বুঝে নেন (আমার ব্লগ মেয়েরাও পড়ে)।

স্বর্গের দারো্যান বলল,"আপনি এইটা কি করলেন? আপনি আমাকে লা*াইলেন!!!"

ঐ লোক বলল,"ভাই ভুল হয়ে গেছে,মাফ করে দেন।"/

স্বর্গের দারো্যানের দয়া হইল,এবারের মতো ছেড়ে দিলো।
কিছুদূর যাবার পরে স্বর্গের দারো্যানের হাত থেকে আবার চাবি পড়ে গেল।
স্বর্গের দারো্যান আবার চাবি তোলার জন্য যাই ঝুকলো ঐ লোক এবারো সহ্য করতে পারেনি। এবারো পিছন থেকে লা*াইছে।
এবার আর স্বর্গের দারো্যান ছেড়ে দেয়নি। সরাসরি নরকে পাঠায় দিছে।
কিছুদিন পরে স্বর্গের দারো্যান, নরকে গেল খোজ নেবার জন্য যে দেখি কি অবস্থা।
নরকে যেয়ে দেখে নরক একদম ঠান্ডা,চুপচাপ,কোথাও কোন আগুন টাগুন কিচ্ছু জলতেছে না।
আর শয়তান এক কোনায় চুপ করে বসে আছে।
স্বর্গের দারো্যান জিগ্গেস করল কি ভাই এই অবস্থা কেন? কোথাও কোন আগুন জলতেছে না কেন?
শয়তান তখন উত্তর দিলো,"আগুন জালানোর জন্য তো ঝুকতে হবে। কিন্তু ঝুকবে কে???"

ডোন্ট মেস উইথ শেয়াল
একদা শিয়াল এসে বাঘের বাসার সামনে বেশ গালিগালাজ করছিল।
"ঐ হারামজাদা বাঘ,কুত্তা,ইতর বের হ বাসা থেকে...তোকে আজকে...।"
বাঘ একদম চুপচাপ।

বাঘিনী তো থ।
"শেয়ালের মতো একটা প্রাণী তোমাকে এত গালিগালাজ করছে আর তুমি চুপচাপ???"

বাঘ বলল,"শিয়াল ছোটখাট প্রাণী,ওর সাথে লেগে কি লাভ?"

এই ঘটনার আবার পুনরাবৃত্তি হল।
শিয়াল এসে গালিগালাজ করে বাঘের বাসার সামনে,বাঘ কিছুই বলেনা।
কিন্তু একদিন বাঘ বাসায় ছিল না,বাসায় শুধু বাঘিনী ছিল।
শিয়াল যথারিতী গালিগালাজ শুরু করল।
"ঐ বাঘ বের হ বাসা থেকে।"

বাঘিনী তো গেসে চেইতে।

সে বাসা থেকে বের হয়ে দিল শিয়াল কে ধাওয়া।
শিয়াল ছুটছে আগে,বাঘিনী পিছে।
এভাবে ছুটতে ছুটতে এক জায়গায় একটা ইংরেজী ভি আকৃতির গাছ ছিল।
শিয়াল গাছের চিপা দিয়ে লাফ দিয়ে বের হয়ে গেল।
কিন্তু বাঘিনী লাফ দিয়ে আটকে গেল।
সে সামনেও যেতে পারেনা,পিছাতেও পারেনা। গাছের চিপায় আটকে থাকল।
শিয়াল তখন বাঘিনীর পিছনে যেয়ে বাঘিনী কে ইচ্ছা মতো লাগাইলো (!)

এর পরে আবার যেদিন শিয়াল যেয়ে বাঘের বাসার সামনে গালিগালাজ করছিল,এবার বাঘিনী বলল,"শিয়াল ছোটখাট প্রানী,ওর সাথে লেগে কি লাভ !!! "

অতঃপর তানসেন
আকবরের বউ খুব শেখশি ছিল !
তানসেন তাকে দেখে ঠিক থাকতে পারত না।
সে শুধু মনে মনে ভাবত,"আমি আর কিছুই চাই না,শুধু যদি ঐ জোড়া পর্বতে মুখ লাগাতে পারতাম...।"/

একদিন সে এক বুদ্ধি বের করল।
আকবরের বউ এর বখ্খবন্ধনীতে চুলকানির মলম লাগায় দিয়ে আসলো।

আকবরের বউ তো চুলকাইতে চুলকাইতে অস্থির ।
তানসেন তখন বীরবাল কে বলল,"তুমি যদি রাজাকে বলো,যার গানে আকাশ থেকে বৃষ্টি নামে,তার মুখ যদি চুলকানির জায়গায়(!) লাগানো যায়,তাহলে চুলকানি কমবে,তবে ১০০০ সোনার মূদ্রা পাবে।"
বীরবল রাজী হলো।
সে আকবর কে বলল।
আকবর বলল,"আমার রাজ্যে এমন ককিলকন্ঠী একজনই আছে,তানসেন।"
তারপর রাজার অনুমতিক্রমে তানসেন জায়গা মতো মুখ লাগাইলো...(আহ...আমার এক হাত দিয়ে লেখতে সমস্যা হচ্ছে...)

কিন্তু বীরবল যেই গেল তানসেনের কাছে তার প্রাপ্য সোনার মূদ্রা নেবার জন্য,তানসেন বেকে বসল।
"এত ছোট একটা কথা বলার জন্য তোমাকে এতগুলো সোনার মূদ্রা দিতে পাররব না,যাও ভাগো।"
বীরবল তখন রাগে দুঃখে আকবরের যত সেনা ছিল,সবার আন্ডারওয়ার এ চুলকানির ঔষধ লাগায় আসলো...।
