(১)
আমাকে একজন দক্ষ ব্লগার দাও, আমি তোমাদের একটি ভাঙ্গা কীবোর্ড দিবো।
(২)
ব্লগে কয়েক ধরনের ব্লগার দেখা যায়। যার মধ্যে ধার্মিক, নাস্তিক এবং মানুষ অন্যতম।
(৩)
বানর যদি ব্লগ পড়তে আসে, তবে প্রথমেই সে খুব অবাক হয়ে যাবে। পৃথিবীর কোথাও তার প্রতিদ্বন্ধী থাকতে পারে, এটাতো কখনোই ভাবেনি।
(৪)
ব্লগের অনেকগুলো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ের একটি হলো হিট। অথচ বেশিরভাগ ব্লগারের বাসায় এসি নেই।
(৫)
ব্লগারদের প্রোফাইল খুব গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। কারণ এখানে প্রচুর মিথ্যা কথা লেখা থাকে।
(৬)
তালগাছ কোন বিষয় না, বিষয় হলো হয়রান ভাই এবং কাকপাখি ব্লগ লিখতে পারেন!
(৭)
জাতীয়তাবাদী স্টিকি পোস্ট হচ্ছে একটি স্যালাইন ফর্মুলা। এসব পোস্টে ব্যবহৃত নথিপত্র প্রথমে কম্পিউটার কম্পোজ করে প্রিন্ট করতে হয়। তারপর সেটা পুরোনো ফটোকপিয়ারে কপি করে স্ক্যান করতে হয়। শেষে .jpg ফাইলটি পোস্টে আপলোড করতে হয়।
(৭)
বাংলাদেশের কবি সমাজ ব্লগে এসে কবিতা লিখেন আর রুল করা কাগজে ব্লগ লিখেন।
(৮)
এরই মধ্যে ব্লগের কিছু সমার্থক শব্দ প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। click this link যার মধ্যে সেরা।
(৯)
পশুর হাট ছাড়াও ছাগলের বড় বাজার বসে বাংলা ব্লগগুলোতে।
(১০)
এখানে শালা বললে গালি হয়, আর চোর বললে হি হি হা হা হয়।
(১১)
বেশিরভাগ মুসলমান মনে করে দুনিয়ার আরামদায়ক সব আবিষ্কার কোরআন থেকে হয়েছে। তাই ব্লগের কোথাও বিসমিল্লাহ লেখা না থাকলে তাদের সমস্যা হয় না। কেবল সংবিধানে না থাকলেই সমস্যা।
(১২)
ব্লগকে কেউ তাবলীগ জামায়াত বলে না। কারণ শব্দটি অনেক পুরোনো।
(১৩)
বিবাহিত ব্লগারদের স্ত্রীগণ তাদের স্বামীর দোষের তালিকায় শপিংয়ে অনীহার পরই রাখেন ব্লগিং করাকে।
(১৪)
ব্লগিং করে কিছুই হয় না। এমনকি মাথার টাক্কুও ভালো করা যায় না। যার উৎকৃষ্ট প্রমাণ ব্লগার কৌশিক।
(১৫)
অনেকেই ফিউশন ফাইভ নিকের পেছনে ৫জন মানুষকে খুঁজে বেড়ান। অথচ কেউ একবারও ভাবলো না, ভদ্রলোক সর্বসাকুল্যে ৫ ইন্দ্রিয় নিয়ে ব্লগ লিখেন।
(১৬)
কম্পিউটার বন্ধ করার পর একটি ধারণা নিয়ে বেশিরভাগ ব্লগার আসন ত্যাগ করে। আর তা হলো ‘আমিই সেরা ব্লগার’।
(১৭)
তোমার থেকে ব্লগ কেড়ে নিবো, বিনিময়ে কি দিবো? জবাবে – আরেকটা নতুন ব্লগ।
(১৮)
ব্লগ মানে কি? জবাবে – পাশাপাশি প্লাস মাইনাস নিয়েও প্রশ্ন করা যেতে পারে!
(১৯)
ব্লগের প্রবন্ধ কিংবা কলামগুলো গুরুত্বপূর্ণ বটে, কারণ তার বেশিরভাগই পত্রিকার সম্পাদকের টেবিল ফেরত।
(২০)
আমি কেবল সে কথাগুলোই ব্লগে লিখি, যা আমার স্ত্রী শুনতে চায় না।
(২১)
মডারেটর বলতে আমরা গন্ডারের চামড়াকেই বুঝে থাকি।
(২২)
ব্লগে তথাকথিত শালীনতাবাদী ব্লগারের সংখ্যা বেশি। তাই ১৮+ পোস্টে বেশি হিট পড়ে।
(২৩)
আবাল মানে কেশহীন নয়। ব্লগে আসার আগে অনেকেই তা বুঝতে পারে না।
(২৪)
ব্লগ না লিখলে ওই সময়টাতে তুমি সচরাচর কোন কাজটি করো? জবাবে- ব্লগ পড়ি!
(২৫)
একজন অন্ধলোক যে কারণে হাতে হারিকেন নিয়ে চলে, ঠিক একই কারণে ব্লগ কর্তৃপক্ষ মডারেটর নিয়োগ দিয়ে থাকে। অথচা প্রায়ই মডারেটরদের দৃষ্টি আকর্ষন করার পোস্ট দেখা যায়।
(২৬)
ছাত্রলীগ নেতাদেরকে সহসা ব্লগে দেখা যাবে না। রামদা চাপাতির ইমোটিকনের অভাবই মূল কারণ।
(২৭)
হুমায়ুন আহমেদ কখনোই “হিমু এখন ব্লগ লিখে” উপন্যাসটি লিখবেন না।
(২৮)
ব্লগ পড়লেই বুঝা যায়, বাল কামানোর চেয়ে অনলাইনে টাকা কামানো অনেক সহজ।
(২৯)
ব্লগ পড়ে কোন জরিপ চালানো বুদ্ধিমানের কাজ নয়। কারণ লগ ইন করার পর বেশিরভাগ মানুষই ব্লগার হয়ে যান।
(৩০)
ব্লগে প্রেম করার চেষ্টাকে সবাই লুলামি বলে, কিন্তু প্রেম হয়ে যাবার পর শুভেচ্ছা জানায়।