পিঠা একটি মুখরোচক উপাদেয় খাদ্যদ্রব্য। এটি চালের গুড়া, আটা, ময়দা, অথবা অন্য কোনও শষ্যজাত গুড়া দিয়ে তৈরি করা হয়।
এলাকা অনুযায়ী ভিন্ন ভিন্ন এবং আলাদা রকম পিঠা তৈরি হয়ে থাকে। গ্রামাঞ্চলে সাধারণতঃ নতুন ধান উঠার পর থেকেই পিঠা তৈরির আয়োজন করা হয়। শীতের সময় পিঠার বাহারি উপস্থাপন ও আধিক্য দেখা যায়। মিষ্টি, ঝাল, টক বা অন্য যে কোনও স্বাদ হতে পারে।
এবার মুল কথায় আসি –
আমাদের ছোট্ট বাবু “রুশান” কে বাঁচানোর জন্য আর্থিক সহযোগিতা প্রয়োজন । যার জন্য আমরা ব্লগার রা এক হয়ে আমাদের নিজ উদ্যোগে কিছু কিছু ছোট ছোট ইভেন্ট আয়োজন করতে যাচ্ছি । এর মধ্যে একটি ইভেন্ট হল – “ পিঠা উৎসব ” । ( বিশেষ করে আমাদের মেয়ে ব্লগারদের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি )
রুশান কে নিয়ে অনুষ্ঠিত ব্লগারদের মিটিং
Click This Link এ
এই বিষয় টি নিয়ে আমরা সবাই বিস্তারিত আলোচনা করেছিলাম যার সারমর্ম টা ছিল এমন –
আমরা ব্লগার যারা ঢাকা তে অথবা ঢাকার আশেপাশে আছি তাদের কে বলছি, আমরা রুশানের অসুস্থতার কথাটা আমাদের বাড়ি তে বিশেষ করে আমাদের ঘরের বউ , বোন, মা, খালা , বান্ধবী দের কে বলবো বিশেষ করে তাদের থেকে একটা হেল্প চাইবো আমাদের রুশানের জন্য । হেল্প টা হল – আমাদের পিঠা উৎসবের ইভেন্ট যেই দিন ধার্য হবে সেই দিন যদি আমাদের সকল ব্লগারদের ঘরের বউ , বোন, মা, খালা , বান্ধবী রা ৫ পিস করে পিঠা তৈরী করে দেয় আর সেটা আমরা আমাদের “ পিঠা উৎসব ” এ বিক্রি করে সেই বিক্রিত অর্থ সম্পূর্ণ টাই রুশানের চিকিৎসার ফান্ডে প্রদান করবো ।
যেমন ধরুন – আমরা ৫০ জন ব্লগার তাদের বাসা থেকে ৫ পিস করে পিঠা আনলে হয় ২৫০ পিস পিঠা, এক পিস পিঠা যদি সরবনিন্ম ২০ টাকায় বিক্রি করি তাহলে হয় ৫০০০ টাকা । এভাবে আমরা যদি যে কোন শুক্রবার বা বন্ধের দিন টি।এস সি / পারলিক লাইব্রেরী তে একটা প্লেস নিয়ে বসি ২-৩ ঘন্টার জন্য তাহলে আমাদের সবার আড্ডা ও হল আবার রুশানের জন্য কিছু তহ বিল ও সংগ্রহ করা গেল ।
পিঠার স্বাদ গ্রহণ ও জনসমক্ষে একে আরো পরিচিত করে তুলতে দিনব্যাপী অথবা সপ্তাহব্যাপী শহর-নগরে পিঠা উৎসবের আয়োজন করা হয়। ঢাকায় সাংবাৎসরিকভাবে বাংলাদেশ শিশু একাডেমী, বাংলাদেশ মহিলা সমিতি, আমরা ঢাকাবাসী প্রমূখ সংস্থা-সংগঠনের উদ্যোগে এ উৎসব উদযাপিত হয়ে থাকে।
সেজন্যেই পিঠাকে ঘিরে পল্লী মায়ের কোল কবিতায় বাংলাদেশের বিখ্যাত কবি বেগম সুফিয়া কামাল লিখেছেন,
“ পৌষ পার্বণে পিঠা খেতে বসি খুশীতে বিষম খেয়ে
আরও উল্লাস বাড়িয়াছে মনে মায়ের বকুনি পেয়ে। ”
বিভিন্ন ধরনের পিঠা আমরা আমাদের দেশে দেখতে পাই চলুন তার একটি লিস্ট দেখি –
১ ভাঁপা পিঠা
২ ভেজিটেবল ঝাল পিঠা
৩ ছাঁচ পিঠা
৪ ছিটকা পিঠা
৫ চিতই পিঠা
৬ চুটকি পিঠা
৭ চাপড়ি পিঠা
৮ চাঁদ পাকন পিঠা
৯ ছিট পিঠা
১০ সুন্দরী পাকন
১১ সরভাজা
১২ পুলি পিঠা
১৩ পাতা পিঠা
১৪ পাটিসাপটা
১৫ পাকান পিঠা
১৬ পানতোয়া
১৭ পুডিং
১৮ মালপোয়া
১৯ মেরা পিঠা
২০ মালাই পিঠা
২১ মুঠি পিঠা
২২ আন্দশা
২৩ কুলশি
২৪ কাটা পিঠা
২৫ কলা পিঠা
২৬ খেজুরের পিঠা
২৭ ক্ষীর কুলি
২৮ গোকুল পিঠা
২৯ গোলাপ ফুল পিঠা
৩০ লবঙ্গ লতিকা
৩১ রসফুল পিঠা
৩২ জামদানি পিঠা
৩৩ হাঁড়ি পিঠা
৩৪ ঝালপোয়া পিঠা
৩৫ ঝুরি পিঠা
৩৬ ঝিনুক পিঠা
৩৭ সূর্যমুখী পিঠা
৩৮ নকশি পিঠা
৩৯ নারকেল পিঠা
৪০ নারকেলের ভাজা পুলি
৪১ নারকেলের সেদ্ধ পুলি
৪২ নারকেল জেলাফি
৪৩ তেজপাতা পিঠা
৪৪ তেলের পিঠা
৪৫ তেলপোয়া পিঠা
৪৬ দুধরাজ
৪৭ ফুল ঝুরি পিঠা
৪৮ ফুল পিঠা
৪৯ বিবিয়ানা পিঠা
৫০ সেমাই পিঠা
৫১ চিড়ার মোয়া
৫২ কাউনের মোয়া
৫৩ ঝাল মোয়া
৫৪ ফিরনি
৫৫ সেমাই
৫৬ নারকেল নাড়ু
তো আর দেরী কেন ? চলুন আমরা নির্বাচন করে ফেলি , আমাদের রুশান কে বাঁচানোর সাহায্যার্থে সকলকে আমাদের “পিঠা উৎসবে” অংশগ্রহণের জন্য অনুরোধ করা যাচ্ছে এবং নাম নিবন্ধন করার জন্য দৃষ্টি আকর্ষণ করা যাচ্ছে ।
আরো বিস্তারিত জানতে / জানাতে যোগাযোগ করতে পারেন ফোনে অথবা ই-মেইলে –
[email protected]
সঞ্জয় নিপু (০১৬১৫৬০৫০০৫)
পিঠা উৎসব, পেইন্টিং ও ফটোগ্রাফ প্রদর্শনীর জন্য দ্বায়িত্ব প্রদান করা হয়
ব্লগার সঞ্জয় নিপু (০১৬১৫৬০৫০০৫),
একজন আরমান (০১৯১৮০৫০৫৮০)
ঘুড্ডির পাইলট(০১৮৪৩৮৮৮৮৮১) কে
পিঠার নাম এবং বর্ণনা Wiki থেকে সংগ্রহীত ।
ধন্যবাদ ।
সর্বশেষ এডিট : ২৭ শে নভেম্বর, ২০১২ দুপুর ১২:৪৬