তাবলীগ পন্থীদের সাধারণত কোন ধরনের ঝুটঝামেলায় দেখা যায়না। তারা কোন রাজনৈতিক দলের লেজুরবৃত্তি করেনা। কারো সাথে নেই কারো পাছে নেই। তারা বাংলাদেশে শুধুমাত্র মুসলিমদের মাঝে ইসলামের আকিদার বিষয় নিয়ে দাওয়াত দেয়। তারা মসজিদে মসজিদ থেকে দাওয়াত দেয়, কেউ কেউ চিল্লায় যায় অর্থাৎ পরিবার পরিজন ছেড়ে ৪০ দিনের জন্য দাওয়াতি কাজে চলে যান যেটা নিয়ে বিতর্ক আছে। সে যাইহোক যারা কোন সাতপাঁচে নেই তারা কেন হঠাৎ উগ্রহয়ে উঠলো। কে তাদেরকে পুশিং ড্যাশিং দিচ্ছে সেটা চিন্তার বিষয় বটে?
গত ১৮ ডিসেম্বর ভোর ৩টার দিকে বিশ্ব ইজতেমা মাঠে তাবলিগ জামায়াতের সংঘর্ষে ৪ জন মুসল্লি নিহত ও অর্ধশতাধিক আহত হয়! তারা কেনইবা একে অপরের উপর হামলে পড়লো প্রতিপক্ষ বানিয়ে নিলো? কেনইবা তারা জোবায়ের পন্থী বা সাদ পন্থী হয়ে গেল? ধর্ম নিয়ে বিভেদের কোন স্থান নেই তাহলে কেন তারা বিভ্ক্ত হয়ে পড়লো?
একটি দৈনিক নিউজে এসেছে প্রতিবেশি দেশে বসে ইজতেমায় নাশকতার পরিকল্পনা।সুতরাং এ বিষয়টিকে কেন্দ্র করে সরকার বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহন করবে বলেই আমাদের প্রত্যাশা। যেহেতু তাবলীগ জামায়াতের ইসলামের সুমহান আদর্শ প্রচারের ক্ষেত্রে অনেক অবদান রয়েছে সেহেতু পন্থী টন্থী বাদদিয়ে দেশ এবং উম্মাহর স্বার্থে সবাই অভ্যন্তরীণ সমস্যা সমাধানে ইতিবাচক মনোভাব নিয়ে এগিয়ে আসবেন বলে আমরা প্রতাশা করি।
সর্বশেষ এডিট : ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৩:১১