নাসিরাবাদের বাসায় ভারতের শিল্পী মিতালী মুখার্জির সাথে হাস্যজ্জল ইসলামী সিপাহসালার সুফী মিজান।(হাতে তসবি)
বিশিষ্ট শিল্পপতি সুফী মিজান। সবাই কম বেশী চিনে। ছিল পূবালী ব্যাংকের ক্লার্ক। চাপাবাজি আর ধান্দাবাজির মাধ্যমে এখন সমাজের বিরাট ব্যবসায়ী। ইসলামের নামে দেশে যে কজন ভণ্ডামি আর ব্যবসা করে তার মধ্য এই লোক অন্যতম। দেশে ব্যবসায়িত অনেক আছে কিন্তু এ লোক অত্যন্ত ধুরন্ধর। এটিএনের মাহফুজকে ম্যানেজ করে ইসলামী পোগ্রামের নামে নিজের পরিচিতি বাড়ানোর কাজ করে। এরপর চট্টগ্রামে সাবেক মেয়র মহিউদ্দিনের সাথে চলাফেরার সুত্র ধরে বগলদাবা করেন জমিয়াতুল ফালাহ মসজিদ। টাকার বিনিময়ে প্রতি শুক্রবার তিনি সেখানে গজল গেয়ে শুনান। হাতে সবসময় একটা তসবিহ রাখেন এই ভন্ড। সে তাসবিহ নিয়ে নর্তকীদের অনুষ্ঠান থেকে শুরু করে সব জায়গায় জান। ক্যাটরিনার উরু আর কোমরের দোলন এবং ক্যাটরিনার রসালো নিতম্ব দেখার সুযোগ করে দিতে তার আগ্রহে তার প্রতিষ্টান PHP ৫ কোটি টাকার গোল্ড স্পন্সর করে Tri-Nation Big Show নামে ঢাকা স্টেডিয়ামে হয়ে যাওয়া অনুষ্ঠানে।
ক্যাটরিনার রসালো নিতম্ব দেখতে ৫ কোটি টাকার গোল্ড স্পন্সর PHP
মুখে আর চলাফেরায় ধার্মিক লোকটা আবার দেশের কাদিয়ানীদের পৃষ্টপোশকও বটে। প্রধানমন্ত্রীর বিদেশ বিষয়ক উপদেষ্ঠা গওহর রিজভিকে তখন কেউ ছিনতোনা যখন এই লোক কাদিয়ানী রিজভিকে নিজের প্রতিষ্ঠিত বিশ্ববিদ্যালয় ইউআইটিএস এ উপদেষ্ঠা হিসেবে নিয়োগ দেয়। আর সুফি মিজানের সাথে এই কাদিয়ানী রিজভিকে পরিচয় করিয়ে দেয় ভারতের এক প্রভাবশালী কাদিয়ানী নেতা।
সুফির বিশ্ববিদ্যালয়ের উপদেষ্ঠা রিজবী View this link
ভারতের সেই প্রভাবশালী কাদিয়ানী নেতা গত ২০০৯ এ বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে ইউনিভার্সিটি অব ইনফরমেশন টেকনোলজি অ্যান্ড সায়েন্সেসের (ইউআইটিএস) প্রথম সমাবর্তন অনুষ্ঠানে একই বিমানে ভারতের সাবেক প্রেসিডেন্ট এপিজে কালাম, গওহর রিজভীর সাথে বাংলাদেশে আসেন।
সবুজ টুপি পরিহিত ভারতের কাদিয়ানী নেতাকে বাংলাদেশে নিয়ে আসেন সুফি মিজান
এতসব লেখলাম কারন সম্প্রতি চট্টগ্রাম এইচএসবিসির একটি পোগ্রামে সুফির কান্ড জানাতে। অনুষ্ঠানটি হয়েছিল নগরীর অভিজাত রেস্টুরেন্ট অ্যাম্ব্রোশিয়ায়। আর আমন্ত্রিত অতিথির সংখ্যা ছিল মাত্র ১২০ জন। অনুষ্ঠানে গান শুনাতে ভারত থেকে আনা হয় শ্রীকান্ত, ভূপিন্দর সিংহ ও মিতালী মুখার্জিকে। তাজ্জব বনে গেলাম সেখানে সুফি মিজানের কান্ড জেনে। আমার এক বন্ধু এইচএসবিসি চট্টগ্রামের উচ্চপদে কর্মরত। সে যা বলল সুফি মিজান নিয়ে। ছিঃ। আগের দিনে যেভাবে যাত্রা বা নৃত্য অনুষ্ঠানে নর্তকী বা শিল্পীদের গান পছন্দ হলে মানুষ স্টেজে উঠে তাকে আলিঙ্গন করে উপহার দিত ঠিক সেভাবেই সুফি মিজান সেখানে মঞ্চ উঠে মিতালী মুখার্জিকে জড়িয়ে ধরে মা বলে সম্বোধন করে। এমনকি তাকে রাতের বিমানের টিকেট ক্যান্সেল করিয়ে নিয়ে যান তার বাড়িতে। সেখানে তার জন্য করা হয় আলোকসজ্জা সহ রাজকীয় আয়োজন। রাতে মিতালীকে নিয়ে গানের আসর বসান নিজ বাড়িতে।
মিতালীকে নিয়ে মিজান
ইসলামের নামে ভন্ডামী করার কারনে আমার এই ক্ষোভ। ইসলাম এবং মিতালী-ক্যাটরিনা একসাথে চলতে পারেনা। সবাই সাবধান এই লোক থেকে কারন এর মারাত্নক কনভিন্সিং ক্ষমতা আছে। সাংবাদিক তার পকেটে। টাকা দিয়ে এমন এমন রিপোর্ট করায় পত্রিকায় যে কেউ এ লোকের প্রেমে পড়তে বাধ্য। বক্তব্য এমন ভাবে দেন যেন তিনি ফেরেশতা। আমি যদি মিথ্যা কোন তথ্য দিই তাহলে আপনারা নিজেরাই যাচাই করুণ। জরুরী অবস্থায়(১/১১) এ লোক আমার সামনেই এক সেনা কমান্ডারকে কনভিন্স করতে গিয়ে কি অপমানিত হয়েছিলেন তা আরেকদিন বলবো। এসব ভন্ড এবং ইসলামের নামে ব্যবসাকারী থেকে নিজে সাবধান থাকুন এবং কেউ এ ধরনের ভন্ড সম্পর্কে জানলে তথ্য দিন।
সুফির সরকারী পৃষ্ঠপোষক কাদিয়ানী গওহর রিজবী
৭ ছেলে ১ মেয়ে তার, ৬ জনকে দেখা যাচ্ছে (ফটো টলার আগে তিনি হাতে তসবী নেন)
সর্বশেষ এডিট : ২৭ শে অক্টোবর, ২০১১ রাত ১০:১৯