অতীতে স্বপ্ন ছিল ভীতু বাঙালিরা একদিন সাহসী হয়ে উঠবে।
আজ বোধহয় সেই দিন এসেছে। বাঙালিরা বুকপকেটে-সাইডপকেটে-গলায়-কোমরে যে যন্ত্রটি নিয়ে ঘুরে বেড়ায় আজকাল; সেই মহতী যন্ত্রটার কল্যাণেই বাঙালি সাহসী হওয়ার মাঠে নেমে কসরত সারছে ।
ইন্টারনেট নামক অলৌকিক এক তথ্যমেশিন থেকে ডাউনলোড করা হচ্ছে নানারকম বীভৎস ভিডিও কিপিস্। আর তা তারবিহীন যাদুজানা ব্লুটুথ ডিভাইসের মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ছে মুঠোফোনে মুঠোফোনে।
আফগানিস্থানে জলজ্যান্ত মানুষের শিরচ্ছেদ করা হচ্ছে। মর্গে বসে মৃতমানুষের ‘পোস্টমর্টেম’ করা হচ্ছে। মাথা থেকে মগজ;পেট থেকে নাড়িভুঁড়ি বের করে ফেলা হচ্ছে । লিঙ্গ কর্তন করে ফেলছে পুরুষের। মানুষ মানুষের মুখের উপর দাঁড়িয়ে পায়খানা করছে।...
আমি আমরা আমাদের শিশু-কিশোরেরা প্রতিদিন মুখোমুখি হচ্ছি এইসব বীভৎসতার। এইসব বীভৎসতা দেখে দেখে আমাদের শিশু-কিশোরেরা হয়ে উঠছে বীভৎস রকম সাহসী। হয়ত একদিন আমরাও মনপ্রাণ দিয়ে এই সব বীভৎসতার চর্চায় আত্ননিয়োগ করবো; উপভোগ করবো বীভৎসতার সৌন্দর্য!
আমাদের যে প্রজন্মটি বইয়ের বদলে মোবাইলসিমহেডফোন নেড়েচেড়ে বড় হচ্ছে একদিন তারাও নিজেদের মধ্যে এইসব বিকৃতির পরীামূলক চর্চা করবে। আর বাঙালিদের বিকৃত বিনোদনের পরিচয় পেয়ে বিশ্ববাসী তালি মারবে। আয়োজন করে বগল বাজাবে। বাংলাদেশকে সেরা বিকৃত রোগগ্রস্থ অসুস্থ দেশ বলে চিহ্নিত করে পদক দিয়ে ধন্য করবে।
কাঁকন দেব, যোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগ, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়।