বিদেশী ভাষা শিখে মনের দিগন্ত বিস্তৃত করতে চান যারা তাদের জন্য চমতকার পছন্দ হতে পারে চীনা ভাষা। সারা দুনিয়াতে এখন দ্বিতীয় ভাষা হিসেবে ইংরেজির পর চীনা ভাষার অবস্থান স্বীকৃত।
চীনা ভাষার হরফগুলো দেখতে তলোয়ারের মত ভয়ঙ্কর মনে হলেও আসলে এই ভাষাটা খুবই সমৃদ্ধ, বৈজ্ঞানিক ও এতিহ্যবাহী। এর ব্যাকরনও খুব সরল ও সোজা, লেখাও সহজে আয়ত্ব করা যায়। তবে বাঙ্গালীদের জন্য সমস্যা হয় উচ্চারনে। আর এ ভাষার শব্দ সম্ভার বিশাল, ইংরেজির মতো।
আমাদের বাংলা হচ্ছে একটি indic language, দক্ষিন এশিয় হিন্দী, তেলেগু, মালয়, তামিল এসব ভাষার সাথে এর সখ্য। আর চীনা-কোরিয়ান-জাপানি এগুলোকে east asian language এর কাতারে ফেলা যায়। চীনা ভাষা এগুলোর মধ্যে সবচেয়ে প্রাচীন, এর ব্যাপক প্রভাব রয়েছে জাপানী ও ভিয়েতনামিজ ভাষার উপর।
আগেই বলেছি চীনা উচ্চারনে বাঙ্গালীদের সমস্যা হয়। চীনাতে 'ছ' জাতিয় ধ্বনি আছে ৯ রকম!! এগুলো দু একটির সাথে আমাদের চ, ছ ও ঝ এর মিল আছে, বাকিগুলো পুরো ভিন্ন উচ্চারন।
এবার সবচেয়ে মজার কথাটা বলি। চীনা ভাষায় কোন বর্নমালা নাই!!! এ ভাষায় আছে হাজার খানেক ক্যারেকটার, যাকে শব্দমূল বলতে পারেন (অর্থাত লিখিত ক্ষুদ্রতম একক)। প্রতিটা ক্যারেকটার মানে এক একটি শব্দ, যার সাথে অন্যান্য ক্যারেকটার যোগ করে আরো হাজার শব্দ তৈরি করা যায়। আবার এ ক্যারেকটার গুলো দেখতে একটার সাথে একেকটা প্রায় একই রকম, শুধু হয়তো একটা ফোটা বা একটা বিন্দু কম বেশী। আর এরকম ক্যারেকটার নাকি প্রায় ৮০০০০ আছে চীনা ভাষায়!!!
যাক, শুনতে ভয়াবহ লাগলেও শিখতে গেলে এ ভাষাটি বেশ সহজ। ঢা.বি. এর আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনষ্টিটিউট এ শিখতে পারেন, আগামী জুন থেকে জুনিয়র কোর্স। ( প্রতি বছর সেরা ১০ জন ছাত্র পাবেন বৃত্তি, এক বছরের জন্য, চীনে)।
আমি জুনিয়র কোর্স করে এখন সিনিয়র কোর্স করছি।