অনিন্দ্য সুন্দরী পাত্রীর জন্য উপযুক্ত পাত্র চাই, অসাধারণ সুন্দরী পাত্রীর জন্য পাত্র চাই, úশ্লিম, ফর্সা, এমবিএ অধ্যয়নরতা পাত্রীর জন্য পাত্র চাই, ঢাকায় বাড়ি-গাড়ি, শিক্ষিতা ও স্মার্র্ট পাত্রীর জন্য পাত্র চাই, পাত্রী শর্ট ভিজিটে ঢাকায়, তার খরচে বিদেশ যেতে আগ্রহী পাত্র চাই, শর্ট ডিভোর্সি লন্ডনে হোটেল ব্যবসা আছে এমন পাত্রীর জন্য পাত্র চাই, কানাডার সিটিজেন পাত্রীর জন্য পাত্র চাই, মাল্টিন্যাশনাল কম্পানিতে চাকরিরত পাত্রের জন্য পাত্রী চাই, এবং লক্ষাধিক টাকা বেতনপ্রাপ্ত পাত্রের জন্য পাত্রী চাই। পাত্র/পাত্রীর বিজ্ঞাপনে এসব নান্দনিক কথাবার্তা লেখা থাকে।
এক সময় আমাদের দেশে অনেক ঘটকভাই ছিল। তারা মুখভর্তি পান চিবিয়ে বগলে ছাতা ও কাঁধে ব্যাগ নিয়ে হাঁটতো। সর্বদা তাদের ব্যাগের মধ্যে থাকতো পাত্র/পাত্রীর ছবি। তারা বিয়ের উপযোগী বা বড়š কোনো পাত্রী দেখলেই তার বাবা-মার কাছে হাজির হয়ে বলতো-মাশাল্লা, আঁন্নের মাইয়াত বহুত ডাঙ্গর হই গেছে। আঁর সন্ধানে খুব ভালো পাত্র আছে। আর দেরিকরণ ঠিক হইব না। ছেলের বাবা-মার কাছে গিয়ে বলতো-পোলার কান্ধে একটা জোয়াল দিয়া দেন দেখবেন বান্দারামি বন্ধ কইরা সংসারী হইয়া গেছে। কখনো বাবা-মা ঘটকের কথায় গুরুত্ব দিতো। কখনো উপদ্রব মনে করতো। আবার কখনো কোনো পুত্র বা কন্যাদায়গ্রস্থ পিতা-মাতা স্বেচ্ছায় ঘটকের শরণাপন্ন হতো। সময় পরিক্রমায় এখন সেই সব ঘটকভাইদের খুব একটা দেখা যায় না।
এখন কতিপয় মিডিয়া সেন্টার পাত্র/পাত্রীর সন্ধান দিয়ে থাকে। কেউ কেউ পাত্র/পাত্রীর জন্য সরাসরি যোগাযোগের জন্য বিজ্ঞাপন দিয়ে থাকে। কিš' এরূপ অধিকাংশ বিয়ের মধ্য¯তা করে থাকে কতিপয় মিডিয়া সেন্টার। ওইসব মিডিয়া সেন্টারে অনেক পাত্র/পাত্রীর ছবি এবং বায়োডাটা থাকে। কেউ পাত্রীর সন্ধান করলে প্রথমে ওইসব সেন্টারে একটা প্রাথমিক ফি দিয়ে ছবি এবং বায়োডাটা জমা দিতে হয়। তখন তারা পাত্রপক্ষকে অনেক পাত্রীর ছবি এবং বায়োডাটা দেখাবে। ছবি দেখে কোনো পাত্রীকে পছন্দ হলে তারা সুবিধামতো সরাসরি পাত্রী দেখার ব্যবস্থা করে দেবে। পাত্রী এবং প্রয়োজনে তার সার্বিক অবস্থা দেখে পছন্দ হলে বিয়ের কথাবার্তা পাকা করে তা আনুষ্ঠানিকতায় রূপ নেয়।