somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

ব্লগর ব্লগর, ব্লগ করতে যেয়ে ব্লক যেন না হই

২০ শে ডিসেম্বর, ২০১১ দুপুর ১:১০
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

৩য় ব্লগ দিবসে ভাবছিলাম যাবো না কি যাবো না। আমার অফিস পল্টনে। এতো কাছে থেকে যদি না যাই তবে কেমন হয়ে যায় না? মেইলে যে অনুষ্ঠানসূচি পেয়েছিলাম জানা আপুর কাছ থেকে তাতে খুব একটা মন ভরেনি। এমন একটা শীতের সন্ধ্যায় অনুষ্ঠান শুরু হবে এবং শেষ হতে নিশ্চয়ই ১১ টা বাজবে, ভাবছিলাম এতো সাদা-মাটা অনুষ্ঠান সূচি! বিষয়টি ভালো এবং অর্থবহ কিন্তু যাদের নাম দেখলাম আলোচনার তালিকায় তাদের মধ্যে ব্লগের সাথে সংশ্লিষ্ট ছাড়া বাকিরা তো শুধু অনুষ্ঠান রাঙ্গানোর জন্যই যেন আসবেন। তবে আনিসুজ্জামান স্যার উপস্থিত হবেন এটা ভেবে ভালো লাগছিল। এছাড়া প্রধানমন্ত্রীর একান্ত সচিব সাহেব থাকছেন। সব মিলিয়ে যাবো না কি যাবো না এমন দোটানায় ছিলাম। একটা বিষয় প্রকটভাবে ভাবছিলাম, অনুষ্ঠানের শেষ আয়োজন হিসেবে গান পরিবেশনের বিষয়টা থাকতেই পারতো। নামকরা কোনোসঙ্গীত শিল্পী না হলেও অন্তত যেনো ব্লগাররা তাদের লেখালেখির বাইরের কিছু বিষয় তুলে ধরতে পারেন তেমন কিছু হতেই পারতো। গান, আবৃত্তি ইত্যাদির পরিবেশনা থাকতেই পারতো। আর ভাবনা নয় দিলাম ছুট। মিস করা ঠিক হবে না। ব্লগে লেখালেখি করাটা খুবই ভালো লাগে অথচ তাদের আয়োজন করা অনুষ্ঠানে একজন একনিষ্ঠ ব্লগার হয়েও যাবো না এ হয় না।

ছোট্ট স্পেস। বসলাম পেছনের বাম পাশের একটা চেয়ারে। আমার সাথে আমার পরিচিত এক ভদ্রলোককে নিয়ে গিয়েছিলাম অনুষ্ঠানটা দেখানোর জন্য। দু’জনের আলোচনা শুনে উনি চলে যেতে চাইলে বারন করলাম। -থাকেন না আরেকটু। -নাহ্ শীতের রাত, চলে যাই। এক ঘেঁয়ে লাগছে। কৌশিক ভাই প্রায় সব সময়ই উচ্চারণ করছিলেন এবারে আহব্বান জানাবো ...... কে। আহব্বানের উচ্চারণ হবে আওভান। অতো সুন্দর একটা ভোকাল অথচ উনি আহব্বান আহব্বান করছিলেন। এছাড়া আরও কিছু বিষয় আছে উপস্থাপনার ক্ষেত্রে যেগুলো অনায়াসে এড়িয়ে যেয়ে খুব বেশি ফরমাল না হয়েও চমৎকার হতে পারতো উপস্থাপনা। একের পর এক কথামালা বিবৃত করছিলেন যখন আলোচকগণ তখন বক্তাদের কথার আওয়াজ যেন একঘেঁয়েমীতে পরিণত হয়েছিল।

আনিসুজ্জামান স্যার অবশ্য শুরু করলেন একটু কৌতুক করে, পাকা শিক্ষক মহোদয়গণ যেমনটা করেন সাধারনত। দুষ্ট ছেলে-মেয়েরা ক্লাসে হৈ চৈ করছে, বেশ কয়েকটা ক্লাস নেয়া হয়ে গেছে। মাথা কাজ করছে না। ইংরেজি গ্রামার অথবা অংকের ক্লাস শেষ হয়েছে একটু আগে এখন আর সামাজিক বিজ্ঞানের ক্লাসে মন বসছে না, তো একজন অভিজ্ঞ পাকা শিক্ষক যেভাবে ছাত্রদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন ঠিক সেইভাবেই শুরু করলেন আনিসুজ্জামান। বললেন- ব্লগ কি আমি জানি না তবে জানা কে জানি। বেশ হাসির রোল পড়ল। আলোচনা শোনার ক্ষেত্রে ভালো লাগা শুরু হলো। একঘেঁয়েমীটা শূন্যে নেমেছিল তখন, যখন গণগ্রন্থাগারের পরিচালক আলম তালুকদার সাহেব কৌতুক দিয়েই শুরু করলেন তার আলোচনা। উনি ভালই একটা টার্ন নিলেন বক্তৃতায়। সাদা মাটা ভাবে নিজের মতো করে বিশুদ্ধ, অশুদ্ধ, সহজ সরল করে সংক্ষিপ্ত কথা রাখলেন। বেশ আকর্ষণীয় ছিল সেটা। জানা আপুর কাছ থেকে ব্লগ কার্যক্রমের শুরুর দিকের কথাগুলো আরও শুনতে অগ্রহ হচ্ছিল। কিন্তু আরো জানার আগ্রহ থাকতে থাকতেই যেন উনি মাইক্রোফোন ছেড়ে দিলেন। এখন মিডিয়ার দাপট এতো বেশি যে, কোনো একটা ছোট্ট বেখবর ঘটনাও ইলেকট্রনিক্স অথবা প্রিন্ট মিডিয়ার দৃষ্টি এড়ায় না কিন্তু এখানে তার অভাবই মনে হয়েছে। কেন যেন মনে হয়েছে আমরা একটু গুরুত্বহীন। এছাড়া আমরাও এতো চমৎকার একটা প্লাটফর্ম পেয়ে সময়গুলো নষ্ট করছি অযথাই কিছু ফানি মন্তব্য করে।

আমি ২০০৪ বা ২০০৫-এর দিকে তখনকার জনপ্রিয় দৈনিক জনকণ্ঠ এবং ভোরের কাগজে নিয়মিত লিখতাম। পাঠক ফোরাম তখনই শুরু হয়। তখন একটা লেখা লিখে কতবার যে তা প্রুফ দেখতাম চূড়ান্ত প্রিন্ট দেবার আগে। তারপর অপেক্ষা করার ব্যাপার তো আছেই। কখনো ১৫ দিন কখনো ৩০, কখনো বা ৬ মাস পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হতো লেখাটা কালো প্রিন্টিং-এর হরফে নিউজপেপারে দেখার জন্য। এখন ব্লগ হয়ে কত সহজ হয়েছে। অথচ এর মর্মার্থ কেউই খুব একটা বুঝতে পারছি না। একটা ক্লিক দেবার সাথে সাথেই পুরো বিশ্ব আমাকে দেখে নেবার সুবিধায় থাকছে। এতো কিছুর পরও বলব অনুষ্ঠান অনেক সুন্দর হয়েছে। যারা অয়োজক ছিলেন শুভেচ্ছা জানাচ্ছি আপনাদের এবং এই ধরনের অনুষ্ঠান আরও বেশি বেশি হবে বিভিন্ন সামাজিক ইস্যূগুলোতে, বিভিন্ন জাতীয় দিবসকে উপলক্ষ্য করে এই প্রত্যাশা করছি।
১০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ফখরুল সাহেব দেশটাকে বাঁচান।

লিখেছেন আহা রুবন, ০১ লা নভেম্বর, ২০২৪ রাত ৯:৫০





ফখরুল সাহেব দেশটাকে বাঁচান। আমরা দিন দিন কোথায় যাচ্ছি কিছু বুঝে উঠতে পারছি না। আপনার দলের লোকজন চাঁদাবাজি-দখলবাজি নিয়ে তো মহাব্যস্ত! সে পুরাতন কথা। কিন্তু নিজেদের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ হচ্ছে।... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। প্রধান উপদেষ্টাকে সাবেক মন্ত্রীর স্ত্রীর খোলা চিঠি!

লিখেছেন শাহ আজিজ, ০১ লা নভেম্বর, ২০২৪ রাত ১০:০৩




সাবেক গৃহায়ণ ও গণপূর্তমন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেনকে মুক্তি দিতে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে খোলা চিঠি দিয়েছেন মোশাররফ হোসেনের স্ত্রী আয়েশা সুলতানা। মঙ্গলবার (২৯... ...বাকিটুকু পড়ুন

কেমন হবে জাতীয় পার্টির মহাসমাবেশ ?

লিখেছেন শিশির খান ১৪, ০১ লা নভেম্বর, ২০২৪ রাত ১০:৫৬


জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে বিক্ষুব্দ ছাত্র জনতা আগুন দিয়েছে তাতে বুড়ো গরু গুলোর মন খারাপ।বুড়ো গরু হচ্ছে তারা যারা এখনো গণমাধ্যমে ইনিয়ে বিনিয়ে স্বৈরাচারের পক্ষে কথা বলে ,ছাত্রলীগ নিষিদ্ধ হওয়াতে... ...বাকিটুকু পড়ুন

দ্বীনদার জীবন সঙ্গিনী

লিখেছেন সামিউল ইসলাম বাবু, ০২ রা নভেম্বর, ২০২৪ রাত ১২:১৩

ফিতনার এই জামানায়,
দ্বীনদার জীবন সঙ্গিনী খুব প্রয়োজন ..! (পর্ব- ৭৭)

সময়টা যাচ্ছে বেশ কঠিন, নানান রকম ফেতনার জালে ছেয়ে আছে পুরো পৃথিবী। এমন পরিস্থিতিতে নিজেকে গুনাহ মুক্ত রাখা অনেকটাই হাত... ...বাকিটুকু পড়ুন

জাতির জনক কে? একক পরিচয় বনাম বহুত্বের বাস্তবতা

লিখেছেন মুনতাসির, ০২ রা নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ৮:২৪

বাঙালি জাতির জনক কে, এই প্রশ্নটি শুনতে সোজা হলেও এর উত্তর ভীষণ জটিল। বাংলাদেশে জাতির জনক ধারণাটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ, যেখানে একজন ব্যক্তিত্বকে জাতির প্রতিষ্ঠাতা হিসেবে মর্যাদা দেওয়া হয়। তবে পশ্চিমবঙ্গের... ...বাকিটুকু পড়ুন

×