শেনজেনের সবচেয়ে উঁচু ৬৮ তলা বিল্ডিংটাতে ইলেক্ট্রনিক্স এর মার্কেট। হরেক রকমের ইলেক্ট্রনিক্স দ্রব্য আর তার কাচামালের বিশাল সমারোহ দেখে যে কেউ বিস্মিত হবে। এই মার্কেটেরই একটা দোকানে খুজছিলাম পেন ড্রাইভ, পেয়েও গেলাম বেশ সস্তায়। তখনই দেখলাম মাথায় ঝুড়ি বোঝাই করে মেয়েরা বাড়িতে তৈরী ইলেক্ট্রনিক্স দ্রব্য বিক্রি করতে আনছে দোকানগুলোতে। এরকম একটা ঝুড়ি থেকেই বেছে নিলাম পছন্দের পেন ড্রাইভ। বিস্মিত হলাম এটা ভেবে যে চাইনিজরা কুটির শিল্পকে কোন পর্যায়ে নিয়ে গিয়েছে!!!!
শহরের ফুটপাথে ল্যপটপ থেকে শুরু করে প্রায় সব ধরনের ইলেক্ট্রনিক্স জিনিসই ঝুড়িতে করে বিক্রি হয়!!! ঘড়ির মার্কেটে গিয়ে তো চোখ চড়ক গাছ। যে কোন ব্রান্ডের এবং যেকোন মডেলের ঘড়ি পাওয়া যায় ১-২ ডলারের মধ্যে। যেকোনো ঘড়ি পছন্দ করে যে কোন একটা ব্রন্ডের নাম বললে, ১০ মিনিটের মধ্যে ঐ ব্রান্ডের লেবেল সহ হাজির হয়ে যায় সেই ঘড়ি। চাইনিজরা নকল করতে জানে বৈকি?
চাইনিজদের নকল করার অসাধারন ক্ষমতার প্রমান মিললো উইন্ডো অব দ্যা ওয়ার্ল্ডে গিয়ে। বিশ্বের প্রায় সব বিখ্যাত মনুমেন্ট বা স্থাপনার রেপ্লিকা রয়েছে এখানে। (খুব সম্ভবতঃ ১২১ টা) শেনজেন এর আইফল টাওয়ারে উঠে যে শিহরন পেয়েছিলাম তা প্যারিসের সত্যিকারের আইফল টাওয়ারে উঠার চেয়ে খুব একটা কম নয়।
উইন্ডো অব দ্য ওয়ার্ল্ডের সামনের দিকঃ
এক ছবিতে তিনটি বিখ্যাত টাওয়ারঃ (আইফল, কুয়েত আর সামারা)
নটরডেম চার্চঃ
সিডনি ওপেরা হাউজঃ
বার্কিংহাম প্যালেসঃ
পার্সিয়ান মনুমেন্ট (৬ ষ্ঠ শতাব্দী)ঃ
ভিয়েতনামের মন্দির (১০৪৯ সাল)
তাজমহলঃ
পেনাং মনাস্ট্রিঃ
(কেউ কি বলতে পারেন এই মূর্তিটির পরিচয় কি? আমার জানা নাই)
নায়েগ্রা ফলঃ
চাইনিজদের নকল করার কথা বলতে গিয়ে তাদের সৃষ্টিশীলতার কথা না বললে অবিচার হবে। শেনজেনে যে হর্স শো দেখেছিলাম, আগে তা শুধু মুভিতেই দেখেছি। সামনা সামনি যুদ্ধের যে এরকম সিমুলশান করা সম্ভব, না দেখলে তা বিশ্বাস করা অসম্ভব।
কালার এন্ড লাইট শো দেখে অভিভুত হয়েছিলাম। কোনো ভাবেই সে সৌন্দর্য বর্ননা করা সম্ভব নয়। ছবিতে হয়তো কিছুটা উপলব্ধি করা যেতে পারে।
উইন্ডো অব দ্য ওয়ার্ল্ডের থিয়েটারঃ (গ্লোবটি দুই ভাগ হয়ে ভিতর থেক বের হয়ে আসে মঞ্চ)
চাইনিজ শিল্পিদের পরিবেসনায় আ্যারাবিয়ান নৃত্যঃ
চাইনিজ শিল্পিদের পরিবেসনায় ভারতীয় নৃত্যঃ
চাইনিজ শিল্পিদের পরিবেসনায় ইরানী নৃত্যঃ
সব শেষে একটা তথ্যদিয়ে লিখাটা শেষ করি। চায়না বা চীন কিন্তু দেশটার আসল নাম নয়, চাইনিজ ভাষায় দেশটির নাম জং গুয়ো। আর চাইনিজরা বাংলাদেশকে চেনে মানজালা গুয়ো নামে। পৃথিবী ব্যপী চাইনিজদের যে বাজে একটা পরিচিতি আছে, চায়নায় গিয়ে সে কথা আমার একবারও মনে হয়নি। মানুষ হিসাবে ওদেরকে আমার বেশ আন্তরিকই মনে হয়েছে।
পুরাতন ব্লগঃ
ছবি ব্লগ - লুভর মিউজিয়াম (১৮+) Click This Link
আবার কিছু ছবি - এবার শার্ম এল শেখ Click This Link
আবারও ইতালী - এবারের শহর ফ্লোরেন্স এবং পিসা। কিছু ছবি ১৮+ Click This Link
পম্পেই থেকে ভিসুভিয়াস - কিছু ছবি, কিছু স্মৃতি Click This Link
ঐতিহাসিক শহর রোম - অল্প কয়েকটা দিনে যেমনটা দেখেছি। সাথে কিছু ছবি থাকছে বোনাস হিসাবে। Click This Link
মন ভালো করা কিছু ছবি - ক্যামেরার চোখে কায়রো Click This Link
মজার ছবি - জিব্রাল্টার এয়ার পোর্ট(???) Click This Link
ছবিতে প্যারিস Click This Link
12, Rue Des Etats Generaux, Versailles - মধু কবির স্মৃতি Click This Link