somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

আবেগীয় শিক্ষা - সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ন জীবনের প্রথম পাঁচটি বছর

১৫ ই জুন, ২০০৯ দুপুর ১:০৭
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

"আবেগীয় বুদ্ধিমত্তা - আপনার সবচেয়ে বড় সম্পদ" লেখাটির সূত্র ধরে আজ আবেগীয় শিক্ষা নিয়ে আলোচনা করবো, বিশেষ করে প্রথম শৈশবে শিক্ষার গুরুত্বটা তুলে ধরাই হচ্ছে আজকের লিখাটার উদ্দেশ্য।

স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের মনোবিজ্ঞানী ওয়ালটার মিশেল ১৯৬০ সাল থেকে একটি পরীক্ষা শুরু করেছিলেন। তাতে তিনি প্রমান করেছিলেন যে চার বছর বয়সে একটা শিশু নিজের উত্তেজনা নিয়ন্ত্রনের যে দক্ষতা রপ্ত করে তার উপর নির্ভর করেই পরবর্তিতে পরিচালিত হয় তার জীবনের গতিপথ। চারবছর বয়সের একটা শিশুর আবেগীয় বুদ্ধমত্তা পরীক্ষা করে মোটামুটি নির্ভুল ভাবে অনুমান করা যায় বিভিন্ন বয়সে তার ব্যক্তিত্ব কেমন হবে, ছাত্রজীবনে সে কতোটা ভালো করতে পারে, তার কোন একটা কাজ করার পদ্ধতিই বা কেমন হবে। তাই জীবনের প্রথম চার/পাঁচ বছরের শিক্ষাটা খুবই বেশি গুরুত্ব বহন করে।

পরিক্ষাটি ছিল এরকম:
চার বছর বয়সের কিছু শিশু তাদের লক্ষ্য অর্জনের জন্য তাদের উত্তজনা নিয়ন্ত্রন করার ক্ষেত্রে কি পরিমান দক্ষতা দেখাতে পারে তা বের করার জন্যই ছিল এ পরিক্ষাটি। এক্ষেত্রে চার বছর বয়সের একটা শিশুকে বলা হয় আমার কাছে মার্শম্যালো (ধরে নেয়া যেতে পারে চকোলেট) আছে এবং আমি তোমাকে তা দিবো, আমি এখন একটু বাইরে যাচ্ছি এবং একটু পর ফিরবো (১৫ মিনিট)। তুমি যদি ততক্ষন অপেক্ষা করতে পারো, তবে দুইটা মার্শম্যালো দিবো। আর যদি অপেক্ষা করতে না পারো তবে দিবো একটি। তুমি যদি একটাই নিতে চাও তবে এখনই তা দিতে পারি। অনেকগুলো শিশুর উপর একই পরিক্ষা করেন তিনি। ফলাফল কিছু শিশু দুটি মার্শম্যালো লোভনীয় হলেও অপেক্ষা করতে পারে না, তারা সাথে সাথে একটা নিয়েই খুশি হয়, আর কিছু শিশু অপেক্ষা করে দুইটা নেয়ার জন্য। এই অপেক্ষা করার সময় তারা কিছুটা উত্তেজনায় ভুগে, এই উত্তজনা প্রশমনের জন্য কেউ কেউ মাথা হাত দিয়ে বসে থাকে, কেউ নিজে নিজে কথা বলে আর কেউ বা কোন না কোন খেলা নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পরে। তবে শেষ পর্যন্ত তারা অপেক্ষা করে দুইটা মার্শম্যালো আদায় করে নেয়।

ওয়ালটার এই শিশুদের কে দুইটা গ্রুপে ভাগ করলেন। একটা গ্রুপ যারা শেষ পর্যন্ত অপেক্ষা করতে পেরেছিল, আর একটা গ্রুপ যারা পারেনি। ওয়ালটার ভবিষ্যৎ বানী করেছিলেন যে শিশুরা শেষ পর্যন্ত অপেক্ষা করতে পেরেছিল তারা অনেক বেশি মানসিক দক্ষতার অধিকারী হবে এবং জীবনের বিভিন্ন সময়ে তারা অন্যান্য শিশুদের চেয়ে অনেক বেশি সাফল্য লাভ করবে। তিনি তাঁর এই ভবিষ্যৎবানী প্রমানের জন্য প্রতিটি শিশুকে পরবর্তি ২০ বছর মনিটর করার ব্যবস্থা করলেন।

১০ বছর পর পরীক্ষা করে দেখা গেল, যে শিশুরা অপেক্ষা করতে পেরেছিল তারা সামাজিক ও মানসিক ভাবে অনেক বেশি দক্ষ, ব্যক্তিগত ভাবে অনেক বেশি কর্মক্ষম, তারা নিজেদেরকে অনেক ভালো ভাবে প্রকাশ করতে পারে এবং নিজেদের হতাসা জনক পরিস্থিতিকে অনেক ভালো ভাবে সামাল দিতে পারে। তারা চাপের মধ্যেও খুব একটা এলোমেলো আচরন করে না, সবসময়ই চ্যালেন্জ নিতে পছন্দ করে এবং সাধারনত হাল ছেড়ে দেয় না। এরা আত্মবিশ্বাসি, বিশ্বস্ত এবং নির্ভরযোগ্য। এরা অনেক বেশি উদ্যোগী এবং লক্ষ্য অর্জনের জন্য পরিকল্পনা মাফিক ধর্য্য ধারন করতে পারে।

অন্য পক্ষে যারা অপেক্ষা করতে পারেনি তাদের মধ্যে এই গুন গুলো অনকে কম পরিলক্ষিত হয়। এরা মানসিক ভাবে দুর্বল, সমাজে মেলামেশা করতে ভয় পায়, সিদ্ধান্থীনতায় ভুগে, হতাশায় এবং আত্মবিশ্বাসের অভাবে ভুগে। এরা সাধারনত চাপের মধ্যে এলো মেলো আচরন করে। এরা সাধারনত বিশ্বস্ত বা নির্ভরযোগ্য নয় এবং প্রতিকুল পরিস্থিতিতে অনেক বেশি উত্তেজিত হয়ে পরে।

সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ন ফলাফল হলো এই শিশুরা যখন পড়শুনা শেষ করলো তখন দেখা গেল যারা অপেক্ষা করতে পেরেছিল তারা অন্যদের তুলনায় SAT test এ গড়ে ২১০ নম্বর বা প্রায় ৪০% বেশি পেয়েছে।

এখন দেখা যাক চার বছর বয়সের শিশুরা যে আবেগীয় বুদ্ধিমত্তার পরিচয় দিলো তা তারা কিভাবে রপ্ত করেছে। এটা কি স্বভাবজাত, জেনেটিক না শিক্ষা। সাধারনত এতো অল্প বয়সে শিশুকে পরিকল্পনা মাফিক তেমন কিছু শিখানো হয় না। কিন্তু এই বয়সেই শিশুরা শিখে সবচাইতে বেশি। আমরা তাদেরেক কিছু শিখাতে চাই বা না চাই, আশেপাশের পরিবেশ থেকে বা শিশুদের সাথে কি রকম আচরন করা হচ্ছে তা থেকেই তারা নিজেদের মতো করে অনেক কিছু শিখতে থাকে। এই শিক্ষার শুরু একেবারে জন্মের পর থেকে।

যেমন কোন শিশুর আবেগকে যদি তার আশেপাশের লোকজন মূল্য না দেয় তবে শিশু এক সময় তার সে আবেগের প্রকাশ বন্ধ করে দিবে এবং শেষ পর্যন্ত এমনকি সে সেই আবেগ অনুভব করাও ভুলে যাবে। শিশুর যখন ক্ষুধা লাগে তখন শুরুতেই সে কান্নকাটি করে না। সাধারনত এদিক ওদিক তাকাতে থাকে, ঠোট দিয়ে এমনি এমনি চোষার চেষ্টা করে বা কখনো হাত চুষতে থাকে। এর পরও যদি তা লক্ষ্য করা না হয় তখন সে কান্না দিয়ে দৃষ্টি আকর্ষনের চেষ্টা করে। কান্নার পর যদি তাকে খাবার দেয়া হয় এবং এই ঘটনা নিয়মিত ঘটে তবে শিশু এক সময় বুঝতে থাকে তার শুরুতে আবেগের (ক্ষুধার) প্রকাশটা কার্যকরি নয়, কান্নাটাই কার্যকরী। এ ক্ষেত্রে শুরুতে কিছুটা ধর্য্য ধরে অপেক্ষা করাটা সে ভুলে যাবে এবং প্রথমেই কান্না করতে থাকবে। এটা গেলো একটা উদাহরন। এভাবে তার আশেপাশের প্রতিটা ঘটনা থেকেই সে শিখতে থাকে।

শিশুর আবেগকে ক্রমাগত অবজ্ঞা করা হলে, অন্যের আবেগকে যে বুঝার চেষ্টা করা দরকার এ বিষয়টাও সে শিখতে পারে না। শুধু শিশুর সাথে অন্যান্যের সম্পর্ক নয় বরং তার আশেপাশের মানুষের পারস্পরিক সম্পর্ক থেকেও সে শিখে।

শিশুর আবেগকে অবজ্ঞা করার অন্যতম উদাহরন দেখতে পাওয়া যায় যখন শিশুরা খাবার প্রতি অনিহা দেখায়। মায়েরা সাধারনত প্রকৃত কারন বুঝতে পারে না এবং শিশুকে জোর করে খাবার জন্য। এতে করে ফল কখনোই ভালো হয় না। আমাদের যেমন মন খারাপ থাকলে ক্ষুধা লাগে না, শিশুদের ক্ষেত্রেও ব্যপারটা তাই, এমনকি কয়েক মাস বয়সি শিশুর ক্ষেত্রেও একই কথা প্রযোজ্য। এখন যদি তার মনখারপ বিষয়টাকে গুরুত্ব না দেয়া হয় তবে এ ধরনের আবেগকে অবজ্ঞা করা যায় বলেই ধরে নিবে। বরং শিশুর মন ভালো করার ব্যবস্থা করা গেলে (হতে পারে বাইরে বেড়াতে নিয়ে যাওয়া) খাবারের অনিহা দূর হতে পারে।

কনসেপ্ট অভ মাল্টিপল ইনটেলিজেন্স এর অধ্যাপক থমাস হাচ এবং গার্ডনার এর বর্ননা থেকে দেখা যায় চার বছর বয়োসে শিশুরা যে সামাজিক দক্ষতা, অন্যের অবেগকে বুঝার ক্ষমতা বা অন্যকে ইতিবাচক ভাবে প্রভাবিত করার যে ক্ষমতা রপ্ত করে তা সারাজীবন তার অনেকগুলো গুরুত্বপূর্ন গুনাবলীর পাথেয় হয়ে থাকে।

চার বছর বয়সের কিছু শিশু স্কুলের মাঠে দৌড়াচ্ছিল। এর মধ্যে রিজ নামে একজন পড়ে যায় এবং ব্যথা পেয়ে কাঁদতে থাকে। অন্য সবাই তা খেয়াল না করে দৌড়াতে থাকে। শুধু রজার নামে একজন তা খেয়াল করে এবং রিজ এর কাছে এসে নিজের হাটু মালিস করতে করতে বলে যে সেও ব্যথা পেয়েছে। হাচ এবং গার্ডনার রজারের এই গুনকে অন্যের আবেগকে বুঝার এবং তাকে ইতিবাচক ভাবে প্রভাবিত করার অসামান্য উদাহরন হিসাবে উল্লখ করেন যা সে মাত্র চার বছর বয়সেই রপ্ত করেছে। রজারের এই গুন পরবর্তিতে তাকে আরও অনেকগুলো গুন অর্জনে সাহায্য করবে বলে তারা অনুমান করেন। এর মধ্যে পরে সাংগঠনিক দক্ষতা, নেগোসিয়েশান স্কিল, ব্যক্তিগত এবং সামাজিক সম্পর্ক এবং সহজাত নেত্রীত্বের গুন। লক্ষ করা যায় রজারের সহজাত নেত্রীত্ব তার সমসাময়ীক শিশুরা আগ্রহভরে অনুসরন করে।

আমরা শিশুদের শিক্ষার ব্যপারে স্বাভাবিক ভাবেই চেষ্টার কোন ত্রুটি করি না। কিন্তু সঠিক ধারনা না থাকার কারনে অধিকাংশ সময়ই তা খুব একটা ভালো ফল দেয় না। অধিকাংশ শিশুই তাদের উপর চাপিয়ে দেয়া শিক্ষাটা আগ্রহ ভরে গ্রহন করে না বরং চাপ অনুভব করে। যে সময় তাদের মানসিক দক্ষতা শিক্ষা দেয়া দরকার সে সময় তাদের সাধারনত সে শিক্ষা দেয়া হয় না বরং না বুঝে তাদের আবেগীয় বুদ্ধিমত্তার শিকড়টা কেটে দেওয়া হয়। পরবর্তিতে তাদের সক্ষমতার চেয়ে অনেক বেশি চাপ দেয়া হয়, যার ফলাফল হয় আরও খারাপ।

শিশুর আবেগকে অবজ্ঞা না করার অর্থ কিন্তু এটা নয় যে সে যা চায় সেই মতো চলা, বরং এর অর্থ হলো শিশুর আবেগকে সঠিক উপায়ে পরিচালিত করা। সর্ব প্রথম দরকার তার আবেগকে উপলব্ধি করা, তাকে বুঝানো দরকার যে তাকে অবজ্ঞা করা হচ্ছে না এবং তার চাওয়াটা সঠিক না হলে এ ক্ষেত্রে তার করনীয় কি হবে সে বিষয়ে তার মধ্যে সঠিক উপলব্ধি তৈরী করা। যেমন শিশু হয়তো এমন একটা কিছু নিয়ে খেলতে চাচ্ছে যা তার উচিৎ নয়, তখন তাকে এটা বললে ঠিক হবে না যে ওটা নিয়ে খেলো না। বরং বলতে হবে এটা নিয়ে খেললে এই সমস্যা বরং তুমি অন্য একটা কিছু নিয়ে খেল।

আর একটা ব্যপার হচ্ছে আমাদের শিশুদের খুবই পরনির্ভরশীল করে তোলা হয়, হতে পারে তাদের প্রতি ভালোবাসার কারনেই তা করা হয়। কিন্তু এ ক্ষেত্রে আমরা আমাদের সন্তনদের ক্ষতিই কিন্তু করি। পরে যখন নির্ভর করার মতো মানুষ পায় না তখন তারা সমস্যায় পরে। আমাদের দেশের মানুষ স্বাবলম্বি হতে অনেক বেশি সময় নেয়, কখনো কখনো তারা পুরাপুরি সাবলম্বি হতে পারে না কখনোই।

সন্তানের প্রতি ভালোবাসার কারনে আমাদের ভালোলাগা গুলোকে তাদের জন্যও ভালো মনে করি আমরা সবসময়। অবজ্ঞা করি তাদের আবেগ। কিন্তু মনে রাখি না যে জীবন কখনো পশ্চৎ মূখী নয়। কাহলিল জিব্রানের একটা কবিতা আমার খুব ভালো লাগে: পড়তে চাইলে Click This Link

যেহেতু একান্ত শৈশবের আবেগ শিক্ষাটা একেবারেই পরিবারের মাধ্যমে হয়, তাই এক এক পরিবারের শিশু এক এক রকম সক্ষমতা নিয়ে বেড়ে উঠে। তাই বাবা-মায়ের সচেতনাটাই এই ক্ষেত্রে এক মাত্র সমাধান। জাতির সমৃদ্ধ ভবিষ্যত প্রজন্মের স্বার্থে তাই প্রয়োজন রাষ্ট্রের পক্ষ থেকে সচেতনা বৃদ্ধির উদ্দোগ।

আবেগীয় বুদ্ধিমত্তা বিষয়ে আরও পড়তে চাইলে:
১। আবেগীয় বুদ্ধিমত্তা - আপনার সবচেয়ে বড় সম্পদ Click This Link

২। বাঙ্গালীর আবেগ প্রবণতা - বিজ্ঞানের চোখে দেখা Click This Link

এই বিষয়ের প্রতিটি লিখার ক্ষেত্রে আমি Daniel Goleman এর Emotional Intelligence বইটার কাছে আমি ঋনি।
সর্বশেষ এডিট : ১৫ ই জুন, ২০০৯ দুপুর ২:৩১
১১৭ বার পঠিত
৩৩টি মন্তব্য ৩০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। ঢাকায় শান্তিতে বসবাসের জায়গাগুলো

লিখেছেন শাহ আজিজ, ৩০ শে মে, ২০২৫ রাত ৯:৪৪






ঢাকায় শান্তিতে বসবাস করা যায় যেসব এলাকা: একটি বাস্তবভিত্তিক পর্যালোচনা

ঢাকা, বাংলাদেশের রাজধানী শহর, জনসংখ্যা ও যানজটের দিক থেকে অন্যতম ব্যস্ততম নগরী হলেও এখানকার কিছু কিছু এলাকা... ...বাকিটুকু পড়ুন

হেজেমনি, কাউন্টার-হেজেমনি ও বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক যুদ্ধ !

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ৩১ শে মে, ২০২৫ রাত ১২:২৪


একটি রাষ্ট্রের সবচেয়ে নিঃশব্দ অথচ গভীর যুদ্ধ চলে তার ইন্টেলেকচুয়াল সেক্টরে। গোলা-বারুদের বদলে এখানে অস্ত্র হয় কলম, টকশো, নাটক, পাঠ্যবই, এবং ইউটিউব। বাংলাদেশে এই হেজেমনি বহুদিন ছিল প্রথম আলো,... ...বাকিটুকু পড়ুন

বাংলাদেশে দলীয় সরকার কখনই জনগণের সরকার হয় না

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ৩১ শে মে, ২০২৫ রাত ১২:২৫



সবাই মিলে দেশ স্বাধীন করলেও আওয়ামী লীগ সেটা স্বীকার করলো না। সেজন্য তারা বাকশাল নামে একদলীয় শাসন শুরু করে ছিল। কিন্তু সেনা বিদ্রোহে তাদের বাকশালী শাসনের অবসান ঘটে।... ...বাকিটুকু পড়ুন

প্রস্থান-পথ কঠিন হয়ে গেছে মুহাম্মদ ইউনূসের

লিখেছেন কবির য়াহমদ্্, ৩১ শে মে, ২০২৫ রাত ২:২৪



অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের (৮ই আগস্ট ২০২৪ থেকে চলমান...) প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের ক্ষমতা ছাড়ার পথ কঠিন হয়ে গেছে।

এমনিতেই তার পদ ছাড়ার প্রবল অনাগ্রহ, তার ওপর আছে ক্ষমতা গ্রহণের পরের মাত্র... ...বাকিটুকু পড়ুন

বৃষ্টি ঝরছে সারাদিন

লিখেছেন সামিয়া, ৩১ শে মে, ২০২৫ সন্ধ্যা ৬:০৪



ইচ্ছা ছিল প্রথম আষাঢ়ে ছাদে যাবো
বৃষ্টি দেখতে,
যাওয়া হয় নাই।
বৃষ্টি তো আর ক্যালেন্ডার দেখে আসে না।
সে কখনো মাসের আগেভাগেই দরজায় কড়া নাড়ে,
আবার কখনো হুট করে হাওয়ায়
হালকা জলছবি আঁকে।

বৃষ্টি... ...বাকিটুকু পড়ুন

×