একটি ওয়েবসাইটে ফ্যাক্টস পরছিলাম, হঠাত মনে হলো যেগুলো মনে ধরে সেগুলো সবার সাথে শেয়ার করি। ভালো না লাগলে মাইন্ড খাইয়েননা।
১. স্থলে বসবাসকারী প্রানীদের মধ্যে সবাচাইতে বেশি জোরে ডাকতে পারে হাওলার বানররা। এদের শব্দ তিন মাইলে দূর থেকে শোনা যায়! (তাইতো কই, এরা মোবাইল ছাড়া চলে ক্যামনে! )
২. তিন ইঞ্চি ব্যাসের একটি কমলালেবুতে, ৭ টা স্ট্রবেরীর চাইতে বেশি ভিটামিন থাকে। (ধূররররররররররর এতোদিন হুদাই টাকা নষ্ট করছি )
৩. এক পাউন্ড মধু তৈরির জন্য একটি মৌমাছিকে ২ মিলিয়ন ফুলে ঘুরে বেড়াতে হয়। আর আপনি যত দিন খুশি মধু জমিয়ে রাখতে পারেন, কারন মধু কখনও পঁচে যায়না। (মধু তো মৌমাছির বমি, পঁচলেই কি আর না পঁচলেই কি!! )
৪. প্রাচীন মিশরীয়রা উল্কা থেকে অলংকার বানাতো। এটি ছিলো অত্যন্ত্য মুল্যবান আর দুর্লভ। প্রিয়জনের কবরেও এটি মরদেহের সাথে উপহার হিসেবে দেওয়া হত। তুতানখামেন এর লাশের সাথেও এই রকম একটি নেকলেস পাওয়া যায়, যদিও এই ব্যাপারে বিতর্ক আছে। (আমরা এই দুনিয়ার জিনিসই পাইনা, আর হেতারা আরেক দুনিয়ার অলঙ্কার পাইছে )
তুতানখামেনের সেই নেকলেস, আর মাঝখানে সবুজাভ হলুদ পাথর।
৫. অনেক টুথপেস্টের বিজ্ঞাপনে গর্ব সহকারে বলা হয়, সেই টুথপেস্টে সোডিয়াম ফ্লুরাইড আছে। কিন্তু এই সোডিয়াম ফ্লুরাইড খুব একটা উপকারী নয়। যদি কেউ অসতর্কতার কারনে সামান্য পরিমানেও এটি গিলে ফেলে, তাহলে পাকস্থলীতে খুব খারাপ প্রভাব ফেলতে পারে। (আমার পরিচিত এক আত্নীয় তো গোগ্রাসে টুথপেস্ট গিলতো, ওর আর মনে হয় বেশিদিন নাই )
৬. নিউজিল্যান্ডে কোন স্থলচর সাপ নেই। সেখানকার আইন বলে, যদি কেউ সাপ দেখে থাকে তাহলে অবশ্যই এই সংশ্লিষ্ট কর্মীদের জানাতে হবে। অতঃপর সেই সাপকে অর্ধচন্দ্র দিয়ে দেশ থেকে বের করে দেওয়া হবে। (কোন সাপুড়ে ভূলেও যেনো নিউজিল্যান্ডে না যায়, তাইলে ভাত-পানি পাইবোনা কিনে খাওয়ার জন্য)
৭. পুরো ডিজনিল্যান্ড খুঁজেও আপনি খাওয়ার(?) জন্য চুইংগাম কিনতে পারবেননা। খাওয়ার পরে ফেলে দেওয়া চুইংগাম পায়ে লেগে দর্শকদের যেনো বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পরতে না হয়, সেই জন্যই এই ব্যাবস্থা। (খদ্দেরদের জন্য কতো দরদ রে!! )
৮. ডিজনিল্যান্ড পরিষ্কার, ঝকঝকে-তকতকে রাখতে ফি-বছর ৫০০০ গ্যালন পেইন্ট ব্যাবহার করা হয়। (দেয়াল নোংরাও তাইলে কম করেনা! )
৯. বিলিভ ইট অর নট, জিরাফ কিন্তু উটের চাইতেও বেশি সময় পানি না খেয়ে থাকতে পারে! (জিরাফরে অতিসত্বর সাহারায় পাঠায়ে দেওয়া হোক )
১০. প্রজাপতিকে উড়তে হলে নিজের শরীরের তাপমাত্রা সবসময় ৮৬০ ফারেনহাইট অথবা ৩০০ সেলসিয়াস এর মধ্যে রাখতে হয়। (বহুত আগেই এরা এয়ারকন্ডিশনার বানায়ে ফেলছে)
১১. শীতের সময় আর কোন কাজ না করলেও একটা কাজ কিন্তু আপনাকে বেশি করতেই হয়, সেটা হলো নখ কাটা। কারন গ্রীশ্ম কালের চাইতে শীত কালে নখ তাড়াতাড়ি বাড়ে। (নখ কাটতে যায় বেলা )
১২. গড়ে সব মানুষ শোবার পরে ঘুমাতে মাত্র ৭ মিনিট সময় নেয়। (কস্কি! সারারাত বেডে গড়াগড়ি কইরাও ঘুমাইতে পারলাম না, আর মাত্র ৭ মিনিট! )
১৩. উটপাখির চোখ তার ব্রেইন এর চাইতেও বড়। (তাইতো কই, শালারা ওড়েনা ক্যান! এতো কম বুদ্ধি নিয়া উড়বো ক্যাম্নে)
আনলাকি থার্টিন হয়ে গেলো তো, আর একটা শোনেন তাইলে,
*একজন মানুষ তার সারা জীবনে গড়ে ষাট হাজার পাউন্ড খাবার গ্রহণ করে, যা কিনা ৬টা আস্ত হাতির ওজনের সমান। (হাতিরা শুনতে পাইলে ভয়ে দুনিয়া ছাইড়া পালাইবো )
ছবি- নেট হতে
তথ্যসুত্র- ইন্টারনেট
সর্বশেষ এডিট : ২০ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:৪৫