"মহারাজ, আমি এক অসহায় প্রেত
প্রথম জীবন ছিল সোনালী
বিদ্যার্জনই ছিল আমার নেশা
তখন স্বপ্নের জাল বুনি।
শ্রেণির সর্বকণিষ্ঠ এই পড়ুয়া
হত প্রহৃত নিত্যদিন,
তবু কাটছিল দিন সুখে,
হইনিকো নীচ আর হীন।
সর্বদা সবারে করি সহায়ত
হৃদয় ছিল উন্মুক্ত
সাগরের মত
কখনো ছিল না রিক্ত।
হঠাত প্রকৃতি আমায় দিল দোলা
প্রাণে জাগালো নব শিহরণ।
সৌন্দর্য পিপাসা মিটায়ে লয়ে
হৃদয়ে করি অমৃত ক্ষরণ
বৃক্ষতলে বসি আমি
ক্ষুজি যা কিছু সুন্দর
চেয়ে থাকি অপলক দৃষ্টিতে
হয়তো পাব তারপর
কাব্যচর্চায় অমৃতসুধা
দিলাম আমি ঢেলে
হৃদয় আমার উঠল নেচে
তত্ত্বকথা ফেলে।
মহারাজ, তুলে নিন ঐ
দূরবীনটা আর দেখুন
শত সহস্র আলোকবর্ষ দূরে
হয়তো আমার মত কোন বালক---
হয়তো চেয়ে আছে প্রকৃতির পানে।
উৎসুক দৃষ্টি তার ফুলকে ঘিরে।
আকাশের মতই সুনীল ঐ প্রসূন।
বালক চায় তারই দিক ফিরে ফিরে।
হয়তো অরণ্যে বসেছে মেলা
উরছে অসংখ্য প্রজাপতি।
আকাশ থেকে বিকিরিত হচ্ছে
মার্তিন্ডের জ্যোতি
ফুলের গন্ধে হয়তো ভরেছে মহী,
জীবন হয়েছে ফুলের মত,
কিন্ত ক্রোধের আগুনে জ্বলে পুড়ে যায়
সুখ আছে যত।
হঠাত দেখি প্রকৃতির রূপ
প্রকৃতির কাছ থেকে পেলাম আহবান,
ধনাত্নক উত্তরে ভরিয়ে দিলাম তাকে
জাগলো মনে প্রেমের গান।"
কপিরাইটঃ আবু মোহাম্মদ রইসউদ্দিন, ২০০৩