অদূরে শুয়ে আছে দ্বিকঙ্কাল
হাতে হাত ধরে,
নিবির প্রেমের তিক্ত বিষে
হয়তো গেছে মরে।
কঙ্কালের বুকে শুয়ে আছে
অপর কঙ্কালিনি
প্রেত ভূমের এই নিবির প্রেমে
থেমে যায় স্রোতস্বিনী।
থমকে দাড়ালো সবুজ গুল্ম
আর আয়াতলোচনা পুষ্প
রুধির সিক্ত মাটি হল ব্যাকুল
রক্ত ধারা হারালো স্রোত।
উন্মত্ত অশান্ত আত্না হল শান্ত
তপ্ত বায়ু হারালো দিক
মধ্য দুপুরে মার্তন্ড
নিরয়ে দিল ধিক।
সকল আত্না শান্ত চিত্তে
নিয়ে চলল কঙ্কালদ্বয়।
প্রেত ভূমির এই বন্দীশালায়
বল পেল ক্ষয়।
গোধুলি লগনে কঙ্কালদ্বয়
দেখলো রাজ দরবার
প্রেত রাজ আজ পেয়েছে বিষয়
লভিবে তত্ত্ব তার।
"শোন হে কঙ্কাল দ্বয়"
চিৎকার করে রাজা।
"প্রেত ভূমির এই নির্মমতায়
কেন তোমাদের আসা?"
নত মস্তকে কঙ্কাল কয়
"হে মহারাজ,
যে নিমিত্তে আপনি এখানে
আমাদেরও সেই কাজ
প্রেত রাজ হঠাত চিৎকারে বলে
"বল তোমাদের কাহিনি
বহু দিন পর পেয়েছি তত্ত্ব
আপন মনে শুনি।"
কপিরাইটঃ আবু মোহাম্মদ রইসউদ্দিন, ২০০৩
সর্বশেষ এডিট : ২৬ শে ডিসেম্বর, ২০১০ রাত ১২:১৯