প্রথম ভিডিওটা এই বছরের ফেব্রুয়ারির দিকে। আমার ফ্যাকাল্টির ১২ বছর পূর্তী উপলক্ষে। গানের নাম ‘প্রেম তুমি’ … তাহসানের। তবে একটা বিভৎস ঘটনা ঘটে প্রোগ্রামের দিন। যেহেতু প্রোগ্রামের আগে বেশ কয়েকদিন যাবৎ রিহার্সেল হয়, সেখানে আমিও অংশগ্রহন করি। আর রিহার্সেলের সময় আমি একুইস্টিক গিটার দিয়েই পারফর্ম করতাম, আর সেটা দেখে আমার প্রোগ্রামের এরেঞ্জার মনে করেছিলেন আমি মেইন প্রোগ্রামে আমার একুইস্টিক দিয়েই পারফর্ম করব। তাই তিনি যারা মিউজিশিয়ান হিসেবে বাইরে থেকে আসছিলেন তাদেরকে আমার গানটার কথা বলেন নি। সো তারাও আমার গানটার সাথে বাজানোর জন্য প্রাকটিস করে আসেননি। এটা আমি মেইন প্রোগ্রামের আগের ঘন্টা খানিক আগে জানতে পারি যে তারা আমার গানের সাথে বাজাতে পারবেন না … সো আমাকে নিজের গিটার নিয়ে নিজেকেই সলো পারফর্ম করতে হবে। ভীষন চমকে গেছিলাম … কারন একটা প্রস্তুতির ব্যাপার আছে। যেহেতু একটা ইন্সট্রুমেন্টই থাকছে সেহেতু রিদমের ব্যাপারে আমার একটু আলাদা প্রস্তুতির দরকার ছিল। যাই হোক… সেই সময় পায়নি। গিটার নিয়ে স্টেজে উঠে গিটারে ইলেকট্রিক আউটপুট লাগানোর সময় খেয়াল করলাম লুজ কানেকশান। সো প্রোগ্রামের মাঝে যদি কানেকশান ছুটে যায় আমি ধরা খেয়ে যাব। যাই হোক কোন ভাবে পার করেছিলাম ঐ মিনিট পাচেক সময়। কোন অঘটন ঘটেনি… এবং ঐটা ছিল আমার জীবনে অন্যতম সফল কিছু মিনিট। হেডফোন যদি হাতের কাছে থাকে প্লিজ লাগিয়ে নিতে পারেন…
এইটা গানটা “যদি হিমালয় হয়ে” … খালিদের। ভিডিওটা রিহার্সেল এর সময় নেওয়া। গানটা করেছিলাম বসন্তবরনের প্রোগ্রামে। তো এখানেও একটা ঘটনা ঘটে, তখন আমি জুনিয়র ছিলাম। আমার যেসব সিনিয়ররা গান সিলেক্ট করতেন তারা এই গানটির নাম শুনে আমাকে ‘না’ করেদিয়েছিলেন। বলেছিলেন স্টেজ় নাকি মাতানো যায়না এসব গান দিয়ে… গান চেঞ্জ কর। কেমন জানি একটা জিদ চেপে গিয়েছিল ভিতরে… বলেছিলাম করলে এই গানটাই করব না হলে আমি স্টেজে উঠব না। কারন ‘স্টেজ মাতানো’ ব্যাপারটাতে আমার এলার্জি আছে একচুয়ালি। অনেক শ্রোতা আছেন যারা গান শুনতে যান… নাচানাচি করতে না। এবং এদের সংখ্যাই বেশি। তার ভাল গান করলে স্টেজ এমনিতেই মেতে যাবার কথা। যাই হোক, করেছিলাম… এবং ভালো রেস্পন্স পেয়েছিলাম।
এই গানটা মিনারের “ঝুম” … জাস্ট কয়েবার শুনেছিলাম। ভালো লেগে গেছিলো … ব্যাস। ইভেন পুরো গানটা মুখস্থ ও হয়নি। জাস্ট গিটারে টেনে টুনে স্কেল আর কর্ড গুলা বের করে গেয়ে ফেললাম আরকি।

আমি Recall এর তেমন ভক্ত নই, কিন্তু একটা পিচ্চি ছিল… না ৪ ফুট ১১ ইঞ্চি না। তিনি অন্য একজন… আমি প্রায়ই ‘প্রিন্সেস’ বলে ডাকতাম তাকে। তার খুব পছন্দের ছিল গানটা… কারন বোধহয় গানের একটা জায়গাতে তার নাম আছে। তার পর থেকে গানটা আমার কাছেও ফেভারিট হতে শুরু করে্… একদিন রিস্ক নিয়ে গানটা করে ফেললাম। না … প্রিন্সেস বোধহয় জানেনা আমি গানটা স্পেশালী তার জন্য গেয়েছি বা চেষ্টা করেছি গাইবার। রাতের আকাশে কিছু তারা দেখেন না ? পরের রাতে তাদের অনেক গুলা কিন্তু হারিয়ে যায়। তাদের মতই প্রিন্সেস হারিয়ে গিয়েছে … হ্যা খুব কাছেই থাকেন তিনি, ডাকলেই ডাকা যাই। জাস্ট একটা ফোন কল। কিন্তু অধিকারটা নেই … যাই হোক, বাদ দিই। তবে হ্যা ... আমার ব্লগে আসার পিছনে তার অবদানটাই সবচেয়ে বেশি ছিল। কিভাবে সেটা না হয় থাক !!!
সর্বশেষ এডিট : ১৯ শে জুলাই, ২০১৬ রাত ১০:৫৮