"আল্লাহু আকবার ওয়া লিল্লাহিল হামদ" - ফাসির দন্ডপ্রাপ্ত মিশরে ইখওয়ান নেতা সাইয়্যেদ কুতুব শহীদের এ ছিলো এক মহাঐতিহাসিক উচ্চারণ ।
মিশরে ইসলামী আন্দোলনের বিদ্যুতগতি-জনপ্রিয়তায় ভীত সন্ত্রস্ত মিশররাজ কর্ণেল নাসেরর কুকর্মের কারনে আজো সে ঘৃণিত-নিন্দিত এক ফেরাউনের উপাধি নিয়ে ইতিহাসের আস্তাকুড়ে পড়ে আছে ।
এই কি শুরু আর এই কি শেষ ? কখনও না !!।
ইসলামী আন্দোলনের রাসুলযুগের মহান সাহাবাগন যে সর্বোচ্চ ত্যাগের দৃষ্টান্ত রেখে গেছেন, যুগ যুগ,যুগ.. .. ধরে সে ধারা বয়ে চলেছেন প্রতিটি যুগের মুয়াজ্জিনেরা ।
"আপনারা মনে রাখবেন যে , আমি কোন অপরাধ করিনি । আমি তাদের কাছে কিছুতেই প্রানভিক্ষা চাইবোনা ।"
বইয়ের নাম কাদীয়ানি সমস্যা । যে বই আজ অবধি কেউ নিষিদ্ধ করার ধৃষ্টতা দেখাতে সাহস করেনি , সেই বই লেখার অপরাধে শতাব্দীর আরেক মুজাদ্দিদ সাইয়্যেদ আবুল আলা মওদুদী (রঃ) কে শেষতক ফাসির দন্ডই দিয়ে ফেলল বেকুব রাজপ্রসাশন ।
সরকার জানিয়েছিলো, প্রান ভিক্ষা চাওয়ার সুযোগ রয়েছ।
যার আরেক ঐতিহাসিক জবাব ইতিহাস স্বরণ করবে যুগ যুগান্তর ধরে ,
".. .. .. .. এমনকি আমার পক্ষ থেকে অন্য কেউ যেন প্রান ভিক্ষা না চায়-না আমার মা-না আমার ভাই-না আমার স্ত্রী-পুত্র-পরিজন । জামায়াতের লোকদের কাছেও আমারএই নিবেদন । "
ফাসিরমঞ্চে একজনের কাছ থেকে আত্মহত্যা সংক্রান্ত তথ্য জানতে পেরে সেদিন তিনি মৃদু হেসে বলেছিলেন, "যে প্রানভরে শাহাদাতের সুধা পান করতে যাচ্ছে, সে কি এমনই নির্বোধ যে আত্মহত্যা করে জাহান্নামে যাবে । "
দেশব্যাপী নয় কেবল, পুরো পৃথিবীব্যাপী বিক্ষোভের মুখে সরকার সে যাত্রায় ফাসির দন্ড সরিয়ে নিতে বাধ্য হয় ।
৬৩ সালে সম্মেলনে বক্তব্য দেয়াকালীন সন্ত্রাসীরা মওদুদী রঃ কে লক্ষ করে গুলি চালাল , চারদিক থেকে চিৎকার করে তাকে বসে পড়তে বলা হলো। ।
মাওলানা অবিচল দাড়িয়ে থেকেই সেদিন বললেন, "আমি যদি বসে পড়ি, তাহলে দাড়িয়ে থাকবে কে ?
ইসলামের এ ইতিহাস, ইসলামী আন্দোলনের এ ইতিহাস- ধ্রুব সত্যের ইতিহাস । পৃথিবীর কোন পরিস্থিতি ইসলামের এ বিপ্লবী আন্দোলনকে দমন করতে পারেনা, পরেনি, পারবেও না ।
ভোগবাদী প্রতিপক্ষের সীমাব্দ্ধ জীবনচিন্তা মৃত্যুর মুহুর্ত পর্যন্ত গিয়ে থেমে যায় । আর যারা বিশ্বাস করে নিয়েছে, "মুমিনদের জান ও মাল আল্লাহ কিনে নিয়েছেন জান্নাতের বিনিময়ে" তাদেরকে পরাজিত করবে, হা হা... সে বড় হাস্যকর চিন্তা ভাবনা !!!!
সর্বশেষ এডিট : ২১ শে জুন, ২০০৮ ভোর ৫:৩৭