সময়কাল ২০০৯ সন, ০৫ ই মার্চ
অবিভক্ত বাংলাদেশের পার্বত্য চট্টগ্রাম প্রদেশের একচ্ছত নেতা পাহাড়ী বন্ধু .. .. .. .. . . এক প্রাগৈতিহাসিক ভাষণে চট্টলার স্বাধীনতা ঘোষণা করেন ।
মহান নেতা তার ভাষণে বলেন,
আজ দুঃখ-ভারাক্রান্ত মন নিয়ে আপনাদের সামনে হাজির হয়েছি. . . .আজ পাহাড়ের মানুষ মুক্তি চায়-তারা বাঁচতে চায়।. .. ..আশা ছিল আমরা শাসনতন্ত্র তৈরী করবো এবং আমাদের শাসনতন্ত্রে পাহাড়ী মানুষ তাদের অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক মুক্তি লাভ করবে।. .. ..
কিন্তু ৩৭ বছরের ইতিহাস পাহাড়ী মানুষের মুমুর্ষু আর্তনাদের ইতিহাস.. নির্যাতিত মানুষের কান্নার ইতিহাস
আমরা রক্ত দিয়েছি।......আমার বহু ভাইকে হত্যা করা হলো। ১৯৯৬ সালে আওয়ামিলীগ সরকার এলেন। তারা শান্তিচুক্তি করলেন, তারা বললেন, পাহাড়ী জনগণের হাতে ক্ষমতা ফিরিয়ে দেবেন, আমরা মেনে নিলাম।
তার পরের ঘটনা সকলেই জানেন.....
.. .. বলা হলো আমার অনমনীয় মনোভাবের জন্যই কিছু হয়নি।
এরপর পাহাড়ের মানুষ প্রতিবাদ মুখর হয়ে উঠলো। আমি শান্তিপূর্ণ সংগ্রাম চালিয়ে যাবার জন্য হরতাল ডাকলাম। পাহাড়ের জনগণ আপন ইচ্ছায় পথে নেমে এলো।
কিন্তু কি পেলাম আমরা? ......যখন ই আমরা শাসনভার গ্রহণ করতে চেয়েছি, তখনই ষড়যন্ত্র চলেছে-আমাদের উপর ঝাঁপিয়ে পড়েছে।
.. রক্ত যখন দিয়েছি, রক্ত আরও দেবো। তবু পাহাড়ের মানুষকে মুক্ত করে ছাড়বো ।
এবারের সংগ্রাম, মুক্তির সংগ্রাম..
উল্লেখ্য যে এ ঘোষণার প্রেক্ষিতে বাংলাদেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব সুরক্ষার ধোয়া তুলে বাংলাদেশ সেনাবাহিনির সাথে একাত্মতা ঘোষণা করেছে চট্টগ্রাম অঞ্চলের জামায়াতে ইসলামী ও ছাত্রশিবির । এই বিশ্বাসঘাতক দল ()অতীতের মত আবার-ও তাদের অপরিবর্তনীয় স্বাধীনতাযুদ্ধবিরোধী চেহারার প্রকাশ ঘটিয়েছে । তারা তাদের সব স্তরের জনশক্তিকে নির্দেশ দিয়েছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীকে সাহায্য করার জন্য
অথচ এদের উচিত ছিল চট্টগ্রাম আওয়ামীলিগের মত বাংলাদেশ থেকে বিচ্ছিন্নতাবাদী আন্দোলনের সাফল্যের উদ্দেশ্যে এবং ভারতের কাছে পার্বত্য অঞ্চল বিকিয়ে দেয়ার লক্ষ্যে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে বিষোদ্গার করা ! তা না করে এরা পাহাড়ী জনগনের স্বাধীনতা আন্দোলনের বিরুদ্ধের শক্তি বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সহযোগিতা করছে ।
পার্বত্য চট্টগ্রামের স্বাধীনতাবিরোধী চট্টগ্রাম জামায়াত-ছাত্র শিবির, ধিক তোদের , শতধিক ! পাহাড়ের জনগন তোদের চিড়দিন ঘৃণা করবে !!!
সর্বশেষ এডিট : ১২ ই মে, ২০০৮ রাত ২:১০