প্রিয়'কে নিজের পছন্দের গল্প বলা মুশকিল। কারন সে নিজে টপিক দিয়ে দেয়।
- বাবা পর্দা নিয়ে গল্প বলো / বাবা এসি নিয়ে গল্প বলো / বাবা নাক নিয়ে গল্প বলো / বাবা গুগুল নিয়ে গল্প বলো / বাবা নখ কাটা নিয়ে গল্প বলো...
মোট কথা ওর মাথায় যা ঢুকে তা নিয়ে গল্প বলতে হবে। ঐদিন দেওয়ালে আমাদের বিয়ের ছবি'র দিকে তাকায়ে বললো
- বাবা বিয়ে নিয়ে গল্প বলো।
চট করে গল্প বানানো সহজ কাজ না। তারউপর আবার যে গল্প বলবো, তা মনে রাখতে হয়। পরে কাছাকাছি কোন কথা গল্পে ঢুকে গেলেও বলে দিবে
- তুমি এই কথা অলরেডি বলেছো ঐ গল্পে।
যাই হোক শুরু করলাম বিয়ে নিয়ে গল্প
একটা শিয়াল ছিলো, ও কিছুতেই বিয়ে করবে না। ওর ভাগিনা'রা গিয়ে বলে
- মামা বিয়ে কেন করো না!
শিয়াল বলে
- অনেক রোদ, এত রোদি বিয়ে করতে বের হবো কিভাবে!
- কেন রোদে কী সমস্যা!
- দেখোস না, রোদ উঠলে কী গরম হয়! এত গরমে বিয়ে করতে যাওয়া যায়!
প্রিয় বলে
- হ্যাঁ সত্যিই'তো রোদ হলে গরম'তো হবেই! এত গরমে কিভাবে বিয়ে করতে যাবে? শিয়ালের ভাগিনাগুলা কি বোকা বাবা?
- নাহ অত বোকা না। একদিন কী হলো শুনো, আকাশে অনেক মেঘ, বৃষ্টি হচ্ছে তো হচ্ছেই। বৃষ্টিতে তোমার কেমন লাগে?
প্রিয় কয়
- অনেক রোমান্টিক লাগে বাবা।
- তো শুনো, শিয়ালের ভাগিনাগুলা গিয়ে ধরলো, মামা আজকে'তো রোদও নাই, গরমও নাই। চলো বিয়ে করবা।
শিয়াল কয়
- নাহ তোদের দেখি বুদ্ধিশুদ্ধি একেবারেই নাই! বৃষ্টির দিন কেমন অন্ধকার থাকে দেখছোস্? এমন অন্ধকারে বের হয়ে পাত্রী দেখতে পারবো ভালোমত?
শিয়ালের ভাগিনারা মন খারাপ করে চলে আসলো। একদিন কী হলো শুনো! আকাশের এক পাশে মেঘ করেছে। মেঘটা কালোও হয়ে যাচ্ছে। কিন্তু সূর্য্যটা আকাশের যে জায়গায়, সেখানে মেঘ নাই। তো কী হইলো, মেঘ থেকে বৃষ্টি শুরু হইলো, আবার আকাশে সূর্য্য বরাবর মেঘ নাই বলে রোদও আছে।
প্রিয় চট করে কয়
- হ্যাঁ হ্যাঁ ঐদিন এমন হয়েছে, দেখেছি।
- তো শিয়ালের ভাগিনারা গিয়ে ধরলো, মামা আজকে রোদ আছে, বৃষ্টি হচ্ছে, গরমও নাই, চলো বিয়ে করতেই হবে। শিয়াল তখন ভাগিনাদেরকে সাথে নিয়ে বিয়ে করতে গেলো। শিয়ালের বিয়ে হচ্ছে... চলো আমরা গান গাই
মেঘ হচ্ছে, রোদ হচ্ছে
খেক শিয়ালের বিয়ে হচ্ছে।
প্রিয় কয়
- বাবা বিয়ে কী করতেই হয়?
বললাম
- বিয়ে না করার পর্যন্ত মনে হয় বিয়ে বুঝি করতেই হয়।