এভারেষ্টে উঠবেন এক ভদ্রলোক। দুইটা সোয়েটার হাতে নিয়া রওয়ানা দিয়া দিলো। হাটতে হাটতে সন্ধা হয়ে গেলো। হিমালয়ের পাদদেশে গিয়া দেখে একটা ঘর। ভাবলো রাতটা কাটায়ে সকালে পাহাড়ে উঠা শুরু করবেন। ডাক দিলো
- কেউ আছেন?
বাড়ী থেকে বুকে ধাক্কা লাগার মত এক সুন্দরী বের হয়ে এলো। সাদা দুধে রঙ্গীলা আলতা মিলালে যেমন রঙ হবে, এমন গায়ের রঙ। বয়স হবে আঠারো কি বিশ। সুন্দরী বের হয়ে বললো
- কী চাই বলুন
- এভারেষ্টে উঠবো উদ্দেশ্য নিয়া আসছি। রাতটা আপনাদের এখানে কাটাতে চাই।
সুন্দরী বললো
- বাড়ীতে আমি একা। কোন সমস্যা নাইতো তাতে?
রাতে খাওয়া দাওয়ার পর দেখা গেলো সুন্দরী যে বাসায় একা, শুধু তাই না। বাড়ীতে খাটও একটা। হিমালয়ের পাদদেশের বাড়ী, প্রচন্ড শীত। ঘরে কম্বলও একটা। মেয়েটা রহস্যময় একটা হাসি দিয়া বললো
- খাট, কম্বল কিন্তু একটাই। আপনার যদি অস্বস্তি লাগে তো মাঝে একটা কোল বালিশ দিতে পারি।
খুশি হয়ে ভদ্রলোক বললেন, আচ্ছা আচ্ছা, ভালো হয়, খুব ভালো হয়।
মাঝে কোল বালিশ রেখে একই কম্বলের নীচে শুইলেন। সুন্দরী একটু পরপর ফিস ফিস করে কথা বলছেন। দুই একটার উত্তর দিয়ে ভদ্রলোক ঘুমিয়ে গেলেন। সকাল বেলা বিছানা থেকে উঠে সোয়েটার পড়ে রওয়ানা দিলেন। সুন্দরীকে বললেন, যাই তাইলে? সু্দরী তার দুধে আলতা রঙের হাত খানা চাদরের নীচ থেকে বের করলেন। ঠাটায়ে ভদ্রলোককে একটা চড় দিয়া বললেন
- সারা রাতে একটা কোল বালিশ ডিঙ্গানোর মুরদ নাই, আর আসছে হিমালয়ে চড়ে এভারেষ্টে উঠবো।
-০-
সামন্য সিএনজিকে মিটারে চলতে যিনি বাধ্য করতে পারেন না। তিনি নাকি আবার ফাটাকেষ্ট!
সর্বশেষ এডিট : ৩০ শে এপ্রিল, ২০১৬ সকাল ১০:৩৪