মা,তোমার সাথে যখনি কথা বলি , বাংলাদেশের নেট কে গালি দিতে দিতে আমার হাই ওঠে।অনেক কথাই বলতে পারি না।তোমার মেয়ে যে আজকাল হাড়ি পাতিল নিয়ে কিচেনে ঝগড়া করে বেড়ায় সেটা কি তুমি জানো? এমন কি আমি আজকাল একটা বড় আপুর সাথে সব সময় থাকি দেখে ইন্ডিয়ান রা আমাদের কে লেসবিয়ান বলা শুরু করেছে। তুমি কি হাসবে এই কথা শুনে , নাকি রাগ হবে? আর জানো? যখনি মেয়ে গুলো তোমার পাঠানো কাপড় গুলো পরে ছবি তুলতে চায়, তখন আমাকে কি খাতির টাই না করে ! আমি মনে মনে হাসি। মুখে ওপর না বলতে আমার লজ্জা লাগে। কিন্তু এদের স্বারথের সময় আমার কাছে আসতে লজ্জা লাগে না। একটা কথা ভাল মত বুঝে গিয়েছি, ইন্ডিয়ান রা যেখানে বেশি থাকবে সেখানে কটু কথা... মানুষের সমালোচনা বেশি হবে।আর পাকিস্তানিরা তো এখন আমার সামনে কপাল চাপড়ায় , কেন বাংলাদেশ পাকিস্তান থেকে আলাদা হল? দাদা কে আদা পড়া শেখানোর মত করে আমাকে বোঝাতে চায় যে তারা আমরা ভাই ভাই। আমাদের একসাথে থাকাটাই ভাল ছিল। কিছু পাকিস্তানি ছেলে তো তাদের পিতামহ...প্রপিতামহ দের চরিত্র এখন ত্যাগ করতে পারেনি। আমি একা বাংলাদেশি , একারনে ইন্ডিয়া এবং পাকিস্তানি দের প্যাচাল একা আমাকেও শুনতে হয়। ইন্ডিয়ান রা ভাবে সম্পকে তারা আমাদের দাদা, আর পাকিস্তান আমাদের বাবা। কিন্তু এরা মা কে এখন খুজে পায় নি। আমি তাই ঈদ এর দিন ও এদের কে রান্না করে খাওয়াইনি। এইরকম দাদা এবং বাবা দের সেবা করার ইচ্ছা আমার নেই। কিন্তু মা আমি আমার ওয় বড় আপুর বয়ফ্রেন্ডের ওপর অনেক রাগ হয়ে আছি। বেচারি এমনিতে কি খুশি থাকে, যেই না বয়ফ্রেন্ডের সাথে কথা বলা শুরু করে এরপরে তার কান্না আর থামায় কে? আমাকেই থামাতে হয়। এমন কি আমি এখন লিখছি, সে এখন কাঁ্দছে। কি যে করি মেয়ে টাকে নিয়ে। অবশেষে ঠিক করলাম কাল কে আমরা একটা বার এ যাব। কাউকে ভোলার জন্য মানুষ কত কিছু করতে পারে? আমাকে বলে যে সে ছেলে টাকে ভালবাসে না।কিন্তু আমি ঠিক ই জানি যে আপু কতটা তাকে ভালবাসে।
আম্মু , ভোর হয়ে গিয়েছে প্রায়। আরও অনেক কথা আছে। পরে সময় পেলে লিখবো।