দেশের সকল মহাসড়কে রোড-ডিভাইডার দেয়া হোক। এতে অন্তত মুখোমুখি সংঘর্ষ এড়ানো সম্ভব হবে, ওভারটেকিং-এ ঝুঁকি কমবে। মহাসড়কে ডিভাইডার দিলে যানজট বাড়বে, যান-বাহনের স্বাভাবিক গতি কমে আসবে, গন্তব্যে পৌছাতে অনেক বেশি সময় লাগবে, কিন্তু আমরা অন্তত আপনজন হারানো থেকে রক্ষা পাবো। সড়ক-দূর্ঘটনা কমানোর সবচেয়ে দ্রুত, সবচেয়ে কম খরচের সমাধান আমার কাছে মনে হয় এই রোড-ডিভাইডার। এর প্রমান হলো গাবতলী থেকে সাভার পর্যন্ত সড়কে ডিভাইডার স্থাপনের পর দূর্ঘটনা উল্লেখযোগ্যভাবে কমে এসেছে। ডিভাইডার স্থাপনের পরবর্তী পদক্ষেপ হওয়া উচিৎ রাস্তা চওড়া করা এবং লেন বাড়ানো, অযান্ত্রিক যানবাহ ও পথচারীদের জন্য আলাদা লেন করা।
আমাদের দেশে সড়ক-দূর্ঘনায় সবচেয়ে বেশি মারা পড়ে পথচারী, বিশেষ করে রাস্তা পার হবার সময়। এক্ষেত্রে আমার মনে হয় পথচারীদের নিজেদের সচেতনতা সবচেয়ে বেশি জরুরী। যেখানে-সেখানে রাস্তা পার হবার চেস্টা না করা, বিশেষ করে রাস্তা পার হবার সময় তাড়াহুড়া না করাটা খুবই জরুরী। আমাদের দেশে কাউকে অনেক সাবধানে, অনেক সময় নিয়ে রাস্তা পার হতে দেখলে রীতিমতো কটাক্ষ করা হয়, এই ধরনের মানসিকতা থেকে আমাদের বের হয়ে আসা দরকার।
আর বাস ও ট্রাক চালকদের ব্যাপারে নতুন করে কিছু বলার দেখিনা। স্রেফ অমানুষ ওরা। ছোট থেকে খুব বাজে পরিবেশে, খেয়ে না খেয়ে বেড়ে ওঠে ওরা। বেশিরভাগই নেশাগ্রস্থ। জীবনের মূল্যবোধ তাদের কাছে নেই বললেই চলে। একজন পথচারী তাদের গাড়ীর তলায় পড়ে মারা গেলে কিছুই যায়না আসেনা তাদের, কোন অনুশোচনাও মনে হয় হয়না। শুনেছি পথচারী মরলে সর্বোচ্চ সাজা তিন বছর, তাও আবার জামিনযোগ্য অপরাধ এটা, যা কোন ব্যাপারইনা চালকদের কাছে। তাই ওদের কাছে আমরা কখনই নিরাপদ থাকবোনা রাস্তায়। অন্যদিকে অমানুষিক পরিশ্রমও করানো হয় চালকদের দিয়ে, নূন্যতম বিশ্রামও ওরা পায়না গাড়ি চালিয়ে। এই অরাজক অবস্থায় দেশে যা সড়ক দূর্ঘটনা ঘটছে, পরিস্তিতির তুলনায় তা বরং কমই বলা চলে।
সর্বশেষ এডিট : ১৪ ই আগস্ট, ২০১১ বিকাল ৩:২৫