somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পোস্টটি যিনি লিখেছেন

শের শায়রী
অমরত্বের লোভ কখনো আমাকে পায়না। মানব জীবনের নশ্বরতা নিয়েই আমার সুখ। লিখি নিজের জানার আনন্দে, তাতে কেউ যদি পড়ে সেটা অনেক বড় পাওয়া। কৃতজ্ঞতা জানানো ছাড়া আর কিছুই নেই।

ভাইকিং বিভীষিকা

২০ শে জানুয়ারি, ২০২০ রাত ১১:২৫
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



স্ক্যানন্ডেনেভিয়ার লৌহ যুগ শেষে ভাইকিং যুগের শুরু হয়। ভাইকিং শব্দটির উৎপত্তি নিয়ে নানা মত চালু আছে। কিছু বিশেষজ্ঞ মনে করেন ভাইকিং শব্দ মানে “জলদস্যু”। আবার অনেকে মনে করেন “ভাইকেন” অঞ্চল থেকে আগত লোক জনকে ভাইকিং বলা হয়। বর্তমান নরওয়ের অসলোর অন্তর্গত কিছু অঞ্চলের নাম ছিল ভাইকেন। ভাইকেন শব্দটি প্রাচীন “নর্স” ভাষা থেকে আগত। নর্স ভাষায় ভাইকিং শব্দের অর্থ হচ্ছে ফিয়র্ডের সন্তান। ফিয়র্ড হচ্ছে- সমুদ্র উপকূলের বিশেষ ভূপ্রাকৃতিক গঠন, যার প্রকৃতি খুব ভঙ্গুর। বরফ যুগের হিমবাহের ফলে স্ক্যান্ডেনেভিয়ান ভূমির অনেক অংশ বিলীন হয়ে এই ফিয়র্ডের সৃষ্টি হয়। ভূমির গঠন ভঙ্গুর হওয়ায় এই অঞ্চলের বাসিন্দারা ভূমিতে বসবাসের চেয়ে ছোট-বড় নৌকাতে বসবাস করতে পছন্দ করত।


When the Vikings spread across Europe

বর্তমানে “ভাইকিং” বলতে সাধারনতঃ ৭৫০ খ্রিঃ থেকে ১১০০ খ্রিঃ মাঝে স্ক্যানন্ডেনেভিয়ার সুইডেন, নরওয়ে এবং ডেনমার্ক অঞ্চলে বসবাস কারী জার্মান জাতি গোষ্ঠীর মানুষদের বোঝায়। বর্তমান আইসল্যান্ড, নরওয়ে, সুইডেন, ফিনল্যান্ড, ডেনমার্ক, হল্যান্ড এবং উত্তর জার্মানীর তৎকালীন অধিবাসীদের সাধারনভাবে নর্সম্যান বলা হত।


Varangian Guard

রাশিয়া, বাইজেনন্টাইন সাম্রাজ্যের ভাইকিংদের “ভ্যারাঞ্জিয়ান” নামেও ডাকা হত, বাইজান্টাইন সম্রাটদের ভাইকিং দেহরক্ষীদের “ভ্যারাঞ্জিয়ান রক্ষী” নামেও ডাকা হত। ভাইকিংরা জার্মান জাতিরই একটি শাখা। তারা ছিল মুলতঃ সমুদ্রচারী। সমুদ্র অভিযানে তারা যে কোন জাতি থেকেই এগিয়ে ছিল। সমুদ্রযোদ্ধা হিসাবে তাদের খ্যাতি বা কুখ্যাতি ছিল। তবে ভাইকিং জাতির অল্প কিছু সদস্য কৃষিকাজেও অভ্যস্ত ছিল। অন্যান্য জার্মান জাতির গোষ্ঠী গথ, ভ্যান্ডাল এবং স্যাক্সন দের মত তারাও ছিল ভয়ংকর আক্রমনকারী বৈশিষ্ট্য।


Thor

ভাইকিংদের জাহাজ দেখা আর আজরাইলকে দেখা–এই দুটোই ইউরোপের মানুষের কাছে ছিলো সমান বিষয়। ভাইকিংদের দেবতাদের মধ্যে ওডিন, থর, টাইর, লোকি, ম্যানি, সাগা প্রমুখ উল্লেখ্যযোগ্য। এদের মধ্যে মার্ভেল কমিক্সের কারণে থর চরিত্রটি আমাদের সবার কাছেই বেশ পরিচিত। ইংরেজিতে সপ্তাহের ৭ দিনের নামের মধ্যে ৬ দিনই ভাইকিংদের দেবদেবীদের নামের সাথে জড়িত। যেমন Tyr’s day থেকে Thursday; Odin’s day থেকে Wednesday; Frigg’s day থেকে Friday; Sun’s day থেকে Sunday; Moon’s থেকে Monday। এছাড়া Sun ও Moon শব্দ দুইটির সম্ভাব্য উৎপত্তি ভাইকিংদের ভাষা থেকে বলে অনেক ভাষাবিদ মনে করেন।


the first Viking raid: Lindisfarne Monastery, off England's east

৭৯৩ খ্রিস্টাব্দে, উত্তরপূর্বাঞ্চলীয় ইংল্যান্ডের নর্থমার ল্যান্ডের উপকূলে লিন্ডসফার্নে এক সন্ন্যাসীদের আশ্রমে আক্রমণের মধ্য দিয়ে ভাইকিং যুগের সূচনা হয়েছিল। যাজকদের নির্মম ভাবে কুপিয়ে হত্যার পর তারা লুট করে নিয়ে যায় সেখানে রক্ষিত সমস্ত মূল্যবান সম্পদ। কোনোমতে সেই হত্যাযজ্ঞ থেকে বেঁচে পালিয়ে আসা যাজকদের মুখে সমস্ত বিবরন শুনে শোক আর আতংকে স্তব্ধ হয় ইংরেজরা। সেকালে ইংল্যান্ডের অনেক ধর্ম যাজক বিশ্বাস করতেন ভাইকিং আক্রমন হল ঈশ্বরের পক্ষ থেকে অ্যাংলো স্যাক্সনদের ওপর বর্ষিত অভিশাপ; ঈশ্বর তাদের পাপের শাস্তি দেবার জন্য ভাইকিংদের পাঠিয়েছে।

যাজকদের লেখা একটি চিঠিতে ভাইকিং আক্রমনের বর্ননা নিম্ন লিখিত ভাবে এসেছেঃ “আমরা এখন একটা বিধর্মী জাতির কাছ থেকে যেভাবে আক্রমনের স্বীকার হচ্ছি, তা ব্রিটেন ইতিপূর্ব কখনো দেখেনি।.... চিন্তা করুন সেইন্ট কুথবার্ট চার্চ তলিয়ে গিয়েছে ঈশ্বরের যাজকদের রক্তের তলায়, লুন্ঠিত হয়েছে এর সকল ঐশ্বর্য্য। অথচ এটা হল ব্রিটেন একটি সব চেয়ে শ্রদ্ধেয় স্থান যা এখন বিধর্মীদের সব থেকে সহজ শিকার।" (ইয়র্কের সেইন্ট কুইনের লেখা চিঠি)।



ইতিহাস সব সময় লিখিত হয় বিজয়ীদের দ্ধারা। ভাইকিংরা আজ নিশ্চিহ্ন কিন্তু ব্রিটেন দাড়িয়ে আছে, সে সময়ের যাজকরা ভাইকিংদের নৃশংসতা বেশি বেশি করে দেখাত। বাস্তবতা হল সে সময়ের অনেক ব্রিটিশ শাষক ভাইকিংদের থেকে কোন অংশে কম নিষ্ঠুর ছিল না। বর্তমানে ইতিহাসবেত্তারা নির্মোহভাবে দেখছেন, ভাইকিংদের হিংস্রতা এবং লুঠতরাজ মুলতঃ তাদের পূর্ব পুরুষদের ভুমিতে খ্রিষ্টান শাষকদের দখলদারিত্বের বিরুদ্ধে এক হিংস্র প্রতিহিংসা। প্রায় তিন শত বছর ধরে খ্রিষ্টধর্মীদের এবং খ্রিষ্টান রাজাদের হাতে সংগঠিত গন হত্যার বিরুদ্ধে ভাইকিংরা আদিম পন্থায় এভাবে নিষ্ঠুর প্রতিশোধ নিত।



ভাইকিংসরা কোন বংশ বা ধর্মের মতাবলম্বী ছিলো না তারা ছিল প্যাগান। তাদেরকে ইউরোপীয়রা নিজেদের স্বজাতি হিসেবে মেনে নিতে পারেনি কারন ততদিনে ইউরোপের অনেক জায়গায়ই খ্রিষ্ট ধর্ম বিস্তার লাভ করছে। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল তারা খৃস্টান ছিলো না ক্যাথলিক ফ্রান্সের বিরুদ্ধে বিধর্মী মুক্তিযোদ্ধাদের গেরিলা যুদ্ধ ছিল মুলতঃ ৬৯০ সাল থেকে ৮০৪ সাল পর্যন্ত চলা ফ্রিজিয়ান স্যাক্সন যুদ্ধের সমুদ্রভিত্তিক সম্প্রসারন। ক্যাথলিক খ্রিষ্টানরা ইচ্ছা করেই বিধর্মী (খ্রিষ্টানদের ভাষায়) দের পবিত্র স্থানের ওপর তাদের চার্চ বা মনাষ্টোরী তৈরী করত। তাই ভাইকিংরা যেসব মনাষ্টোরী ধ্বংস করত তা ছিল অনেকটা প্রতিশোধ মুলক যেমন অতীতে তাদের ওপর চালিয়েছে খ্রিষ্টান রাজারা। আবার এই লুটতরাজের সাথে ভাইকিংদের অস্তিত্বের প্রশ্নও জড়িত থাকত। কারন ওই সব মনাষ্টোরী এবং চার্চে রক্ষিত সোনা বা মূল্যবান বস্তু খ্রিষ্টান ধর্মযোদ্ধাদের পেছনে ব্যয় করা হত যারা ভাইকিংদের মাতৃভুতিতে মাঝে মাঝে হানা দিয়ে নির্বিচার ধর্ষন এবং লুটতরাজ চালাত।


Viking War Ship Sailing for Invasion

ভাইকিংদের প্রযুক্তিগত উৎকর্ষতা ছিল জার্মানদের ইতিহাসে অনেকটা ব্যাতিক্রম। ভাইকিংরা তাদের সময় সব থেকে উন্নত জাহাজ নির্মান করত। ম্যাপ বানানো বা লেখালিখির অভ্যাস তাদের মধ্যে তো সেভাবে ছিলোই না, এমনকি সামান্য একটা কম্পাস পর্যন্ত ছিলো না তাদের কাছে। অথচ জাহাজের গতি বা রণকৌশল দুজায়গাতেই ভাইকিংদের কাছে সমানে মার খেয়েছে সেসময়ের তথাকথিত আধুনিক ও সভ্য দেশগুলো।

ভাইকিংরা জাহাজ বানানোতে ছিলো অসম্ভব রকমের পটু। একটা জাহাজ কোন পথে যাবে বা কি পরিমাণ ভার বহন করতে হবে এসব বিবেচনা করে তারা জাহাজ নির্মাণ করতে পারতো। প্রতিটি অভিযান শেষে নিরাপদে ফেরত আসা নাবিকদের মুখে সমুদ্রযাত্রার বিবরণ শুনে সেই রুটের জাহাজের নকশা তৈরী করতো নির্মাতারা।


"Viking War Ship"

সাধারনত দুই ধরনের জাহাজ বানাতো, তার মধ্যে সবচেয়ে কুখ্যাত ছিলো ‘ল্যাংস্কিপ’ – যেটা ছিলো আদতে যুদ্ধ জাহাজ। এই জাহাজগুলোতে চেপে তারা হামলা করতো বিভিন্ন দেশে। জাহাজগুলোর সামনে ভয়ংকর এক ড্রাগনের নকশা কাটা থাকতো বলে এটি পরিচিত ছিলো ‘ড্রাগন জাহাজ’ নামে। ল্যাংস্কিপগুলো বানানো হতো সরু আর লম্বা করে। প্রায় পঞ্চাশ থেকে ষাটজন যোদ্ধা বহন করতে পারতো এই জাহাজগুলো। দুই পাশে ষোলজন করে মোট বত্রিশ জন যোদ্ধা দাড় বাইতো। দ্রুতগামী এবং সহজে বাঁক নিতে সক্ষম হওয়ার কারণে নৌপথের যুদ্ধেও ল্যাংস্কিপ ছিলো রীতিমতো অজেয়।


Viking cargo ship // knarr

‘নার’ নামে আর একটি জাহাজ ভাইকিংরা ব্যাবহার করতো মালামাল বহণ আর মানুষ পারাপারের কাজে। এটি তৈরী করা হতো বেশ চওড়া করে। ল্যাংস্কিপের চেয়ে ধীরগতির হলেও ভাইকিংদের বসতি গুলোতে অনায়াসে যাতাযাত করতো ওক কাঠের এই জাহাজগুলো।

সমুদ্র অভিযানের জন্য তারা যে ডিসট্যান্স টেবিল বানিয়েছিল তার সাথে বর্তমান উপগ্রহের মাত্র ২ থেকে ৪ শতাংশ পার্থক্য। আটলান্টিক মহাসাগরের মতো বিশাল দূরত্বের জলরাশিতে তাদের ডিসট্যান্স টেবিল অনেক নিখুত হয়েছিল। এক সময়ের বর্বর ও খুনী জাতি হিসাবে ব্যাপক পরিচিতি থাকলেও বর্তমান প্রত্নতাত্বিক খননে অনেক নতুন নতুন তথ্য বেড়িয়ে আসছে মধ্যযুগে খ্রিষ্টান পাদ্রীদের বর্ননায় ভাইকিংদের যেভাবে খুনী লুটেরা হিসাবে বর্ননা দেয়া আছে তার বাইরে তাদের অনেক অর্জনও আছে


Viking sun compass

দিক চাকতি ছিলো ভাইকিংদের ‘হাতে বানানো কম্পাস’। খুবই সাধারণ একটি যন্ত্র, নকশা কাটা কাঠের চাকতির ঠিক মাঝখানে পেরেক লাগনো থাকতো। দিনের একটা নির্দিষ্ট সময়ে সেই পেরেকের ছায়া বরাবর একটা রেখা টেনে দিতো জাহাজের ‘ক্যাপ্টেন’। তারপর নাবিকদের কাজ ছিলো সোজাসুজি সেই রেখা ধরে জাহাজ চালিয়ে যাওয়া। দিক ঠিক রাখার এই কৌশল খাটিয়েই ভাইকিংরা প্রতি বছর হানা দিতো ইংল্যান্ডে। প্রতিবছর খোলা সমুদ্রে জাহাজ চালিয়ে যারা একটা দ্বীপদেশে হানা দিতে পারে, তারা চুম্বকের ব্যাবহার পর্যন্ত জানতো না, বিশ্বাস হয়!


Celestial Reflections: Viking Sunstone Discovered?

ভাইকিংদের লোকগাঁথা গুলোতে বার বার এক জাদুকরী পাথরের কথা বলা হয়েছে। সমুদ্র পথে চলার সময় এই পাথর সবসময় সাথে রাখতো তারা। এর বিশেষত্ব্য হলো, মেঘলা দিনে যখন আকাশে সূর্য থাকতো না , তখন এই পাথরটি আকাশের দিকে ধরলে তার ভেতরে সূর্যের দেখা পাওয়া যেত। নর্ডিকদের মতে, দেবরাজ ওডিন নাকি সূর্য থেকে একটি টুকরো ভেঙ্গে পৃথিবীতে পাঠিয়েছেন যেনো মেঘাচ্ছন্ন দিনে ভাইকিং জাহাজগুলো পথ হারিয়ে না ফেলে। আধুনিক গবেষকদের মতে, সূর্যপাথর বলতে তারা আসলে ‘আইসল্যান্ডিক স্পার’ নামের এক ধরনের স্ফটিককে বোঝাতো। সূর্যের হালকা রশ্নি যখন এর ভেতর দিয়ে যায় তখন তা বিভাজিত হয়, ফলে সেই পাথরের ভেতর তাকালে মেঘলা আকাশেও সূর্যের অবস্থান বুঝতে পারা সম্ভব। তবে এই পাথরের খোঁজ ভাইকিংরা কিভাবে পেয়েছিলো সে এক রহস্য বটে!


Viking Runes Guide | Runic Alphabet Meanings | Norse / Nordic Letters

অন্যান্য জার্মান জাতির মত ভাইকিংদের এক মাত্র পুরাতাত্বিক দলিল হল রুনীয় অক্ষরে লেখা কিছু শিলালিপি। প্রাচীন টিউটনিক বর্নমালার অক্ষরকে রুন অক্ষর বলা হয়, জার্মানদের নিজ হাতে লিখিত এক মাত্র দলিল হল এ অক্ষরে রচিত এক মাত্র পুরাতাত্বিক শিলালিপিগুলো। সুইডেনে প্রায় ৩৫০০ টি রুনীয় শিলালিপি পাওয়া গেছে। এছাড়া কিছু বড় আকারের ভাইকিং জাহাজের ধ্বংসাবশেষ থেকে ভাইকিংদের সন্মন্ধ্যে অনেক অজানা তথ্য পাওয়া যাচ্ছে। সুইডেনের রাজধানী ষ্টকহোমের কাছে বিরকা নামক স্থানে ৩০০০ ভাইকিং কবর আবিস্কৃত হয়েছে।


The Bloodiest Viking Ritual That Will Scare People Off

ভাইকিংদের অন্তুষ্টিক্রিয়ার একটি রীতি ছিল মৃতের হাত ও পায়ের নখ কেটে রেখে দেয়া কারন তারা বিশ্বাস করত, মৃতের নখ দিয়ে তৈরী “নাগফার” নামক একটি জাহাজ দানবদের যুদ্ধে নিয়ে যেত। যত বেশী নখ পাবে তত বড় জাহাজ হবে, আর যত বড় জাহাজ হবে তাতে তত বেশী দানব উঠবে, এই কারনে জাহাজ যেন বড় না হয় তাই মৃতের হাত এবং পায়ের নখ কেটে দেয়া ভাইকিং অন্তুষ্টিক্রিয়ার একটি অন্যতম বিষয় ছিল।


Vikings are coming home.

স্ক্যানন্ডিনেভিয়ান রাষ্ট্রগুলোতে খ্রিষ্টান ধর্মের প্রসার লাভের সাথে সাথে ভাইকিং যুগের অবসান ঘটে। তবে গবেষকদের মতে শুধু খ্রিষ্ট ধর্ম না ভাইকিংরা মুল ইউরোপের নাগরিক হয়ে আস্তে আস্তে থিতু হয়ে বসে, এছাড়াও কয়েক শতাব্দীব্যাপী সাগর ভিত্তিক লুন্ঠনও অনেক স্তিমিত হয়ে আসছিলো প্রতিদ্বন্দ্বী রাষ্ট্রগুলোতে কার্যকর প্রতিরোধ গড়ে ওঠায়। এক পর্যায়ে নরওয়ে, ডেনমার্ক, সুইডেন রাজ্য গঠিত হলে সেখানকার রাজারা শান্তিপূর্ন পরিবেশ কামনা করায় ধীরে ধীরে হারিয়ে যায় সাগরের বিভীষিকা ভাইকিংরা।

কৃতজ্ঞতাঃ Viking Funerals Buriels and the Afterlife , How Did The Vikings Honor Their Dead? , Viking seafarers may have navigated with legendary crystals , Types of Viking Ships , Viking Runes Guide , Frisian Vikings: masters of amphibious warfare. , Viking Raids in Britain , A brief history of the Vikings, Æthelstan , What Was the Significance of the Viking Attack on Lindisfarne? , Varangians , How could the Viking Sun compass be used with sunstones before and after sunset ,ভাইকিংদের কথা, সূর্যপাথর ও ড্রাগন জাহাজ , মার্ভেল কমিক্সের থর ও ভাইকিংদের উত্থানের গল্প , বৈচিত্র্যময় কিছু জনগোষ্ঠীর কথাঃ ভাইকিংস , Viking , ভাইকিংদের নিয়ে কিছু অবাক করা তথ্য সহ আরো অনেক অন্তর্জাল সাইট
সর্বশেষ এডিট : ১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ রাত ৩:০২
১৯টি মন্তব্য ১৯টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ফখরুল সাহেব দেশটাকে বাঁচান।

লিখেছেন আহা রুবন, ০১ লা নভেম্বর, ২০২৪ রাত ৯:৫০





ফখরুল সাহেব দেশটাকে বাঁচান। আমরা দিন দিন কোথায় যাচ্ছি কিছু বুঝে উঠতে পারছি না। আপনার দলের লোকজন চাঁদাবাজি-দখলবাজি নিয়ে তো মহাব্যস্ত! সে পুরাতন কথা। কিন্তু নিজেদের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ হচ্ছে।... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। প্রধান উপদেষ্টাকে সাবেক মন্ত্রীর স্ত্রীর খোলা চিঠি!

লিখেছেন শাহ আজিজ, ০১ লা নভেম্বর, ২০২৪ রাত ১০:০৩




সাবেক গৃহায়ণ ও গণপূর্তমন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেনকে মুক্তি দিতে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে খোলা চিঠি দিয়েছেন মোশাররফ হোসেনের স্ত্রী আয়েশা সুলতানা। মঙ্গলবার (২৯... ...বাকিটুকু পড়ুন

কেমন হবে জাতীয় পার্টির মহাসমাবেশ ?

লিখেছেন শিশির খান ১৪, ০১ লা নভেম্বর, ২০২৪ রাত ১০:৫৬


জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে বিক্ষুব্দ ছাত্র জনতা আগুন দিয়েছে তাতে বুড়ো গরু গুলোর মন খারাপ।বুড়ো গরু হচ্ছে তারা যারা এখনো গণমাধ্যমে ইনিয়ে বিনিয়ে স্বৈরাচারের পক্ষে কথা বলে ,ছাত্রলীগ নিষিদ্ধ হওয়াতে... ...বাকিটুকু পড়ুন

দ্বীনদার জীবন সঙ্গিনী

লিখেছেন সামিউল ইসলাম বাবু, ০২ রা নভেম্বর, ২০২৪ রাত ১২:১৩

ফিতনার এই জামানায়,
দ্বীনদার জীবন সঙ্গিনী খুব প্রয়োজন ..! (পর্ব- ৭৭)

সময়টা যাচ্ছে বেশ কঠিন, নানান রকম ফেতনার জালে ছেয়ে আছে পুরো পৃথিবী। এমন পরিস্থিতিতে নিজেকে গুনাহ মুক্ত রাখা অনেকটাই হাত... ...বাকিটুকু পড়ুন

জাতির জনক কে? একক পরিচয় বনাম বহুত্বের বাস্তবতা

লিখেছেন মুনতাসির, ০২ রা নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ৮:২৪

বাঙালি জাতির জনক কে, এই প্রশ্নটি শুনতে সোজা হলেও এর উত্তর ভীষণ জটিল। বাংলাদেশে জাতির জনক ধারণাটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ, যেখানে একজন ব্যক্তিত্বকে জাতির প্রতিষ্ঠাতা হিসেবে মর্যাদা দেওয়া হয়। তবে পশ্চিমবঙ্গের... ...বাকিটুকু পড়ুন

×