somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

অন্য ভূবন

২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:২৬
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


মৃত মাছের চোখে চোখ রাখি। আরো একটু গভীরে- যতটা গভীরে গেলে দৃষ্টিসীমানায় একটা গোলাকার চোখ শুধু। বিভ্রম নয় বরং বিশ্বাস রাখি আত্মমগ্নতায়। কাল্পনিক ধারণার অস্তিত্বহীনতাকে অস্বীকার করে বিচ্ছিন্ন একটা পৃথিবী বয়ে বেড়াচ্ছি মাথার ভেতর। বাস্তব মহাবিশ্বের পৃথিবীর মতো নিজস্ব কক্ষপথে চলমান বিচ্ছিন্ন সেই পৃথিবীর জন্ম হয়েছিল কোনো এক শরতের রাতে। তারপর থেকে নিবিড় পর্যবেক্ষকের মতো শুধু নিজ কক্ষপথে ধাবমান। এই পৃথিবীতে আগমনের পর থেকেই জেনেছি বিছিন্ন সেই পৃথিবীর বুকে আমার আদি পদচ্ছাপ অস্বীকার করবার নয়।

স্বেচ্ছা নির্বাসিত জীবন যাপনের অলস কোনো দুপুরে সেখানে অবারিত নদীর ধারে ছিপ ফেলে বসে ছিল কেউ। মৃত মাছের চোখে আরো একটু গভীর এবং স্বচ্ছ দৃষ্টি দেয়া যাক, যতটা গভীরে তাকালে বিচ্ছিন্ন পৃথিবীকে মনে হবে ছবির মতো। শৈশবের বায়োস্কোপের রীল নিয়ন্ত্রিত ভাবে ঘুরছে পৃথিবীর আহ্নিক গতির সাথে সাথে।

মাছ ধরতে ছিপ ফেলে বসে থাকা প্রাণসম্পন্ন সৃষ্টিটি একজন অপেক্ষমাণ যাত্রী। অবশ্যই সে তার নিজস্ব পৃথিবী সম্পর্কে অবগত। মেঘ আর রোদের খেলায় সময় পার হতে হতে উদ্বেলিত পানির তরঙ্গে নড়ে ওঠে ছিপ। মাছের চোখটি কাঁপুনি দিয়ে ওঠে। অপেক্ষমাণ যাত্রীর অপেক্ষার কারণ মূলতঃ একজন পরম প্রার্থিত যাত্রাসঙ্গী। কাঙ্ক্ষিত কোনো যন্ত্রণার।

বাস্তবিক পৃথিবীর যন্ত্রণাসমুহ কেবল অসহনীয় নয়, আত্মহত্যার প্ররোচনায় উদ্ভাসিত। আয়নাতে ভাসে অচেনা কোনো প্রতিবিম্ব। সেই প্রতিচ্ছবি আমার নয়।

কাঙ্ক্ষিত যন্ত্রণা বা পরম প্রার্থনার যাত্রাসঙ্গী নির্দ্বিধায় সৌন্দর্যের স্বীয় সংজ্ঞায় নিজেকে মেলে ধরা কোনো এক সুন্দর। প্রাণের সঞ্চারনে তাহলে নারীকেই প্রেম দিয়ে সাজানো হোক। সৃষ্টিশীলতার উৎকর্ষ সাধনে এর চাইতে সর্বোত্তম আর কিছুই হতে পারে না।

নদীতে ছিপ ফেলে বসে থাকা যাত্রাসঙ্গিনীর অপেক্ষায় থাকার অর্থ অপেক্ষার সময়টুকু অযথা সময়ের গর্ভে বিলীন হতে না দেয়ার প্রয়াস।
সময়ের সাথে সাথে মৃত মাছের চোখে তাকিয়ে থাকতে থাকতে চোখ ঘোলাটে হয়ে আসে। পাতাঝরা গাছ থেকে শেষ পাতাটি ঝরে গেছে। শুন্যে দুলতে দুলতে পাতাটি ছুঁয়ে ফেলল স্বচ্ছ নদীর প্রবাহকে। যেন হলুদ বিকেলের খামে সবুজ চিঠি এসে পৌঁচেছে প্রাণের সংবাদ নিয়ে। সন্ধ্যার আয়োজনে আকাশ ধারণ করেছে তার চিরায়ত রূপ। সকল নক্ষত্ররাজি জেগে উঠেছে একই সাথে। তারা সাক্ষী হবে নতুন একটা জীবনের, নতুন একটা বাঁধনের।

অপেক্ষমাণ যাত্রীর অপেক্ষার সময় শেষ হয়ে আসবে। সৃষ্টিশীলতার যন্ত্রণাকে বয়ে বেড়াতে বিচ্ছিন্ন নক্ষত্রগুলোকে যৌথ আকাশে নিজেদের মত সাজিয়ে নিবে একজন নর ও একজন নারী।
মৃত মাছের চোখে চোখ রাখি। আরো একটু গভীরে- যতটা গভীরে গেলে দৃষ্টিসীমানায় একটা গোলাকার চোখ শুধু। বিভ্রম নয় বরং বিশ্বাস রাখি আত্মমগ্নতায়। কাল্পনিক ধারণার অস্তিত্বহীনতাকে অস্বীকার করে বিচ্ছিন্ন একটা পৃথিবী বয়ে বেড়াচ্ছি মাথার ভেতর। বাস্তব মহাবিশ্বের পৃথিবীর মতো নিজস্ব কক্ষপথে চলমান বিচ্ছিন্ন সেই পৃথিবীর জন্ম হয়েছিল কোনো এক শরতের রাতে। তারপর থেকে নিবিড় পর্যবেক্ষকের মতো শুধু নিজ কক্ষপথে ধাবমান। এই পৃথিবীতে আগমনের পর থেকেই জেনেছি বিছিন্ন সেই পৃথিবীর বুকে আমার আদি পদচ্ছাপ অস্বীকার করবার নয়।

স্বেচ্ছা নির্বাসিত জীবন যাপনের অলস কোনো দুপুরে সেখানে অবারিত নদীর ধারে ছিপ ফেলে বসে ছিল কেউ। মৃত মাছের চোখে আরো একটু গভীর এবং স্বচ্ছ দৃষ্টি দেয়া যাক, যতটা গভীরে তাকালে বিচ্ছিন্ন পৃথিবীকে মনে হবে ছবির মতো। শৈশবের বায়োস্কোপের রীল নিয়ন্ত্রিত ভাবে ঘুরছে পৃথিবীর আহ্নিক গতির সাথে সাথে।

মাছ ধরতে ছিপ ফেলে বসে থাকা প্রাণসম্পন্ন সৃষ্টিটি একজন অপেক্ষমাণ যাত্রী। অবশ্যই সে তার নিজস্ব পৃথিবী সম্পর্কে অবগত। মেঘ আর রোদের খেলায় সময় পার হতে হতে উদ্বেলিত পানির তরঙ্গে নড়ে ওঠে ছিপ। মাছের চোখটি কাঁপুনি দিয়ে ওঠে। অপেক্ষমাণ যাত্রীর অপেক্ষার কারণ মূলতঃ একজন পরম প্রার্থিত যাত্রাসঙ্গী। কাঙ্ক্ষিত কোনো যন্ত্রণার।

বাস্তবিক পৃথিবীর যন্ত্রণাসমুহ কেবল অসহনীয় নয়, আত্মহত্যার প্ররোচনায় উদ্ভাসিত। আয়নাতে ভাসে অচেনা কোনো প্রতিবিম্ব। সেই প্রতিচ্ছবি আমার নয়।

কাঙ্ক্ষিত যন্ত্রণা বা পরম প্রার্থনার যাত্রাসঙ্গী নির্দ্বিধায় সৌন্দর্যের স্বীয় সংজ্ঞায় নিজেকে মেলে ধরা কোনো এক সুন্দর। প্রাণের সঞ্চারনে তাহলে নারীকেই প্রেম দিয়ে সাজানো হোক। সৃষ্টিশীলতার উৎকর্ষ সাধনে এর চাইতে সর্বোত্তম আর কিছুই হতে পারে না।

নদীতে ছিপ ফেলে বসে থাকা যাত্রাসঙ্গিনীর অপেক্ষায় থাকার অর্থ অপেক্ষার সময়টুকু অযথা সময়ের গর্ভে বিলীন হতে না দেয়ার প্রয়াস।
সময়ের সাথে সাথে মৃত মাছের চোখে তাকিয়ে থাকতে থাকতে চোখ ঘোলাটে হয়ে আসে। পাতাঝরা গাছ থেকে শেষ পাতাটি ঝরে গেছে। শুন্যে দুলতে দুলতে পাতাটি ছুঁয়ে ফেলল স্বচ্ছ নদীর প্রবাহকে। যেন হলুদ বিকেলের খামে সবুজ চিঠি এসে পৌঁচেছে প্রাণের সংবাদ নিয়ে। সন্ধ্যার আয়োজনে আকাশ ধারণ করেছে তার চিরায়ত রূপ। সকল নক্ষত্ররাজি জেগে উঠেছে একই সাথে। তারা সাক্ষী হবে নতুন একটা জীবনের, নতুন একটা বাঁধনের।

অপেক্ষমাণ যাত্রীর অপেক্ষার সময় শেষ হয়ে আসবে। সৃষ্টিশীলতার যন্ত্রণাকে বয়ে বেড়াতে বিচ্ছিন্ন নক্ষত্রগুলোকে যৌথ আকাশে নিজেদের মত সাজিয়ে নিবে একজন নর ও একজন নারী।
সর্বশেষ এডিট : ২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:২৭
১১টি মন্তব্য ১১টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

টরন্টোর চিঠি - "অতএব জাগ, জাগ গো ভগিনী!"

লিখেছেন শ্রাবণধারা, ১৭ ই মে, ২০২৫ ভোর ৬:৩৭


গত বছর গ্রীষ্মের শুরুতে টরন্টোয় বসবাসরত আমার জন্মস্থান জেলা-শহর থেকে আগত অভিবাসীদের একটি পিকনিকে গিয়েছিলাম। ৫০–৬০ জন নারী-পুরুষ ও শিশু-কিশোরের অংশগ্রহণে আয়োজিত সেই অনুষ্ঠানের আয়োজকদের সকলে ছিলেন নারী। তাদের... ...বাকিটুকু পড়ুন

স্টারের কাচ্চি বিরিয়ানী

লিখেছেন অপু তানভীর, ১৭ ই মে, ২০২৫ সকাল ১১:৩১



শেষ কবে স্টারের কাচ্চি খেয়েছিলাম আমার মনে নেই। আগে একটা সময় ছিল যখন কাচ্চির নাম নিলে যে নামগুলো সবার প্রথমে সামনে আসতো তার ভেতরে এই স্টারের নাম থাকতো। এখনকার... ...বাকিটুকু পড়ুন

গল্পঃ হৃদয়ের একুল ওকুল

লিখেছেন ইসিয়াক, ১৭ ই মে, ২০২৫ সকাল ১১:৪১

এত এত বছর পর রাজনের আবার খোঁজ পাওয়া যাবে এ বিষয়টা  তমার কাছে সত্যি অবিশ্বাস্য লাগছিল।আশা তো কবেই ছেড়ে দিয়েছিল।পঞ্চাশ বছর। দীর্ঘ সময় । দীপক যখন ম্যাসেঞ্জারে মেসেজে খবরটা জানালো... ...বাকিটুকু পড়ুন

পিনিক চা

লিখেছেন রাজীব নুর, ১৭ ই মে, ২০২৫ দুপুর ২:২৯



একটা গান আছে- পিনিক পিনিক লাগে।
ফালতু গান। পচা গান। পিনিক নামে একটা বাংলা সিনেমাও হয়েছে। আসলে 'পিনিক' শব্দটির আভিধানিক কোনো অর্থ নেই। সাধারণত নেশাদ্রব্য সেবন করার ফলে... ...বাকিটুকু পড়ুন

নটীদের আড্ডাখানা ছিল সংসদ!

লিখেছেন সৈয়দ মশিউর রহমান, ১৭ ই মে, ২০২৫ বিকাল ৩:৫৪


বাজারে যত নটী আছে হাসিনা সবগুলোকে একছাদের নিচে দক্ষতার সংগে জমায়েত করতে পেরেছিল। সেই নটীদের ছিলনা কোন যোগ্যতা কিংবা না ছিল কোন রাজনৈতিক ব্যকগ্রাউন্ড; তারপরও নটীরা সংসদে যেতে পেরেছিল।... ...বাকিটুকু পড়ুন

×