১.
এই ছায়ামাখা ঘুমসকালে গাছ থেকে একটা কাঠগোলাপ ফুল ক্লাস্টার বোমের মতো ঘুরতে ঘুরতে এসে পড়লো চোখের সামনে; আমি ঠিক বুঝতে পারি, পথ আগলে সে ২য় বিশ্বযুদ্ধের জন্য প্রায়শচিত্ত করতে চায়। আমি জানি কাঠগোলাপ তোমার প্রিয় ফুল। সমঝোতা মনোভাবাপন্ন হয়ে আমি তাকে তুলে নিয়ে যত্নকরে বুকপকেটে আশ্রয় দেই। সে সুবাদে সাদা ফুলের মৈত্রী সিগন্যাল দিয়ে, জাপান-বৃটিশ কিংবা মার্কিন-নাতসি শত্রুতাকে কাঁচকলা দেখিয়ে আমার বুকের মাঝে তুমি গড়তে থাকো ঔপনিবেশিক মায়াপ্রদেশ!
এই হৃদয় হরিলুটের অপরাধে তোমার বুকে আমি হাজারো ক্লাস্টারসম কাঠগোলাপ ছুঁড়ে দিতে পারি। লাগিয়ে দিতে পারি তোমার আমার মাঝে একটা নির্ভেজাল ৩য় বিশ্বযুদ্ধ।
২.
মেঘ ছুটিয়ে কাল বৈশেখীর হাওয়ায় চেপে চলে এসো এই বাদল দিনে। মৃত্তিকার সোঁদা ঘ্রানে মাতোয়ারা মন খোঁজে তোমার চুল ভেজা প্রাচীন লবঙ্গসৌরভ। নিঃশব্দ অপরাহ্ণে ভেসে আসে তোমার হৃদয়ের সুবাতাস। তোমার চোখে কাজল কালো আকাশের বিস্তীর্ন মেঘে মেঘে বিষন্নতা ধুয়ে দি' প্রাকবর্ষার দ্বিতীয় বৃষ্টিতে। এসো...!
৩.
৩.১
রাখালিয়া,
তুমি আজও মেঘফুল
তোমার কানে বুনো দুল।
৩.২
রাখালিয়া,
বাসমতীমেঘ ধোঁয়া দ্যাখো উড়ে যায় দূরে
তোমার মুকুটের ময়ূর রঙগুলো ছুঁয়ে।
৩.৩
রাখালিয়া,
অমোঘ ও শাশ্বত যে রঙত্রৈ মুকুটে করে রেখো
পেঁজা পেঁজা সাদা সুখ সোদা ঘ্রানে দুহাত ভরে নিও।
৩.৪
রাখালিয়া,
দীর্ঘ চৈত্রদিন কেটে গ্যাছে এক রাখালিয়ার স্বরূপ খুঁজে
চন্দ্ররাত পার হতে চায় তোমার ছোঁয়ায় চোখটি বুজে।
৩.৫
রাখালিয়া,
আমার একটা নিশিজাগা চড়ুই আছে
আঙুলের ফাঁকে বসে কথা বলে।
আমার একটা নিশিজাগা রাখালিয়া আছে
কথার ভাঁজে ভাঁজে প্রেম রাখে।
৪.
দুপুর, তুমি কেন নদী হয়ে যাও?
নিঃশব্দবতী নীরব হিমস্রোতস্বিনী।
তোমার ভেতরে কি আজো কাঁদে কেউ?
তোমার পাশে বসে কি আজো হাত বাঁড়ায় কেউ?
তোমার নৈঃশব্দে আমি শুনি গাঙচিলের ডানা ঝাপটানো গান।
কবে যেন এক রোদ্দুরে ঝরা পাতা উড়ে এসে বাসা বেঁধেছিল এখানে।
দুপুর, তুমি কেন কথা বলো না?
------------------------------
দুপুরনদী ❑ রাখালিয়ার জন্য কবিতা। ৭.৭.১৩
___________________________
সংক্ষেপে রাখালিয়াকথনঃ
রাখালিয়া কে? রাখালিয়া একটি কল্পিত চরিত্র। রাখালিয়াকে আমি বলি স্বপ্নসাধক। সে আমাকে স্বপ্ন দেখাতে পারে। যেই স্বপ্নের কোনও সীমা বা পরিসীমা নেই। রাখালিয়াকে আমি যেমন কল্পনা করতে পারি গ্রামীণ কোনও ধানক্ষেতের আইলের মাঝে পা পিছলে পড়ে যাওয়া দুইবেনি ওয়ালা তরুণী হিসেবে, তেমনি রাখালিয়াকে নিয়ে আমি বের হতে পারি শহরের রাস্তায়, সন্ধ্যাবেলা রিকশাযোগে হলুদ আলোর বন্যা পরিদর্শণ পরবর্তী ফুটপাথের লাল চায়ে বিস্কুট ডুবিয়ে হারিয়ে যেতে কবিতা থেকে কবিতায়। ভেজা বিস্কুট টুপ করে ঝরে পড়লে আমরা ফিরে আসি বাস্তবতায়।
বাস্তবে রাখালিয়ার অস্তিত্ব আছে কিনা নাই সেই নিয়ে এখন কিছু বলছি না। আগামীতে হয়ত বলবো।

আলোচিত ব্লগ
বাংলাদেশ, চীন ও ভারত: বিনিয়োগ, কূটনীতি ও ভবিষ্যৎ চ্যালেঞ্জ
প্রতিকী ছবি
বাংলাদেশের বর্তমান আন্তর্জাতিক সম্পর্কের সমীকরণ নতুন মাত্রা পেয়েছে। চীন সফরে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস উল্লেখযোগ্য বিনিয়োগ ও আর্থিক প্রতিশ্রুতি নিয়ে ফিরছেন, যা দেশের অর্থনীতির জন্য... ...বাকিটুকু পড়ুন
অদৃশ্য দোলনায়
ভোরের রোদ্র এসে ঘাসের শিশিরে মেঘের দেশে চলে যেতে বলে
শিশির মেঘের দেশে গিয়ে বৃষ্টি হয়ে ঘাসের মাঝে ফিরে আসে-
বৃষ্টি হাসে শিশিরের কথায়। তাহলে আমরা দু’জন কেন প্রিয়?
এক জুটিতে... ...বাকিটুকু পড়ুন
ড. ইউনূসকে পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্মানসূচক ডক্টরেট ডিগ্রি প্রদান....
ড. ইউনূসকে পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্মানসূচক ডক্টরেট ডিগ্রি প্রদান....
বাংলাদেশ সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসকে চীনের পিকিং বিশ্ববিদ্যালয় সম্মানসূচক ডক্টরেট ডিগ্রি প্রদান করেছে। শনিবার (২৯ মার্চ) এক বিশেষ অনুষ্ঠানে ক্ষুদ্রঋণ ও... ...বাকিটুকু পড়ুন
ড. ইউনুস: এক নতুন স্টেটসম্যানের উত্থান
ড. মুহাম্মদ ইউনুস ধীরে ধীরে রাজনীতির এক নতুন স্তরে পদার্পণ করছেন—একজন স্টেটসম্যান হিসেবে। তার রাজনৈতিক যাত্রা হয়তো এখনও পূর্ণতা পায়নি, তবে গতিপথ অত্যন্ত সুস্পষ্ট। তার প্রতিটি পদক্ষেপ মেপে মেপে নেয়া,... ...বাকিটুকু পড়ুন
প্রধান উপদেষ্টার চীন সফর কেমন হলো ?
প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস এখনো চীন সফরে রয়েছেন। চীন সফর কে কেন্দ্র করে বাংলাদেশে এক শ্রেনীর মানুষের মধ্যে ব্যাপক হাইপ দেখা যাচ্ছে। বাংলাদেশের ইতিহাসে এমন সাসেক্সফুল সফর আর কোনো দলের... ...বাকিটুকু পড়ুন