আওয়ামী লীগ কে অতি উঁচুতে তুলে ধরার কয়েকজন কালজয়ী লেখনি শক্তির পুরোধা’র অন্যতম অমর একুশে গানের রচয়িতা আবদুল গাফফার চৌধুরী। আওয়ামী লীগের বহু বছরের আনফিসিয়াল এই উপদেষ্টা সম্প্রতি তাঁর এক লেখায় লিখেছেন, “আওয়ামী লীগের মধ্যে বাঙালি চরিত্রের পতন, উত্থান, আর্থ-সামাজিক ও রাজনৈতিক বিবর্তনের একটি ধারাবাহিকতা পাবেন। বাংলাদেশের মানুষের সামাজিক চাহিদা ও রাজনৈতিক প্রয়োজন থেকে আওয়ামী লীগের জন্ম। বিএনপি কোনো প্রতিনিধিত্বশীল রাজনৈতিক দল নয়, একটি ভুঁইফোড় দল। আওয়ামী লীগের জন্ম আন্দোলন থেকে। বিএনপির জন্ম ব্যক্তিবিশেষের ক্ষমতালোভ থেকে। বিভিন্ন ডান ও বামের দলছুট কিছু নেতাকর্মী ক্ষমতালোভে এই দলে এসে জুটেছে। এই দলের তাই কোনো সামাজিক, রাজনৈতিক বিবর্তন ও বিকাশ নেই। গণতন্ত্রের ছদ্মাবরণে সাম্প্রদায়িকতা ও ধর্মান্ধতার অতীতমুখী একই নীতির ওপর দাঁড়িয়ে আছে। সেখান থেকে এগোনোর শক্তি তার নেই। এই দলটিও নব্য বুর্জোয়াদের দখলে। কিন্তু এই বুর্জোয়াদের শিকড় দেশের মাটির চেয়ে বিদেশের মাটিতে বেশি প্রোথিত। গ্গ্নোবাল ক্যাপিটালিজমের যে অংশটি ধর্ম ও আগ্রাসনকে আশ্রয় করে আধিপত্য বিস্তার করতে চায়, এই দলটি মূলত গ্গ্নোবাল ক্যাপিটালিজমের সেই অংশের সমর্থন ও অনুগ্রহভোগী।” অন্যদিকে গাফফার চৌধুরী এও বলছেন, “দীর্ঘ কৌশলের কথা জানা যায়, আওয়ামী লীগ সেই কৌশল বহুবার গ্রহণ করেছে। মৌলিক নীতি সাড়ে ছয় দশকে আওয়ামী লীগের কাঠামো ও নেতৃত্ব বারবার পরিবর্তিত হয়েছে। কিন্তু নীতি কি পরিবর্তিত হয়েছে? দলটির চরিত্র পাল্টেছে, কিন্তু নীতি? এক পা এগিয়ে যাওয়ার জন্য দু’ পা পিছিয়ে যাওয়ার যে লেনিনীয় থেকে একেবারে পিছিয়ে যেতে পারেনি। এই নীতিটি হলো একটি অসাম্প্রদায়িক গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র গঠন।এই নীতি বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী থেকে শেখ হাসিনার এই জন্মকাল থেকে বর্তমানকাল পর্যন্ত আওয়ামী লীগ খুব একটা পেছনে সরতে পেরেছে, তা মনে হয় না। মওলানা ভাসানীর নেতৃত্বে আওয়ামী মুসলিম লীগ যখন একটি সাম্প্রদায়িক দল হিসেবে জন্ম নেয়, তখন যেমন সে অসাম্প্রদায়িক রাজনীতির ক্ষেত্র প্রস্তুত করেছে, তেমনি ভাসানী-মুজিব নেতৃত্বে দলটি আনুষ্ঠানিকভাবে অসাম্প্রদায়িক দল হওয়ার পর প্রকাশ্যেই সাম্প্রদায়িকতাবিরোধী রাজনৈতিক কার্যক্রম গ্রহণ করেছে। সুতরাং ৬৫ বছরের ইতিহাসে আওয়ামী লীগ একাধিকবার চরিত্র পাল্টেছে; নীতি পাল্টায়নি বলা চলে। ভাসানী থেকে শেখ হাসিনাথ আওয়ামী লীগের দীর্ঘ ৬৫ বছরের রাজনীতির চার অধ্যায়ের প্রত্যেকটি অধ্যায়ের ভিন্ন চরিত্র-বৈশিষ্ট্য আছে। কিন্তু তার মৌলিক নীতির কোনো পরিবর্তন হয়নি। এই নীতি বাংলাদেশকে অসাম্প্রদায়িক ও গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র ব্যবস্থায় ধরে রাখা। আওয়ামী লীগ তার এই নীতি ও বাঙালিত্ব নিয়ে আরও বহুকাল বেঁচে থাকবে এবং জাতিকে নেতৃত্ব দেবে।” অন্যদিকে চলতি ক্ষমতায় থাকা প্রথমে মহাজোট আদলে এবং এখন ‘হাসিনা সরকার’ হয়ে ক্ষমতায় এই ঐতিহ্য আওয়ামী লীগ সম্পর্কে অভিযোগ উঠছে, দলটি প্রচন্ড অজনপ্রিয় কিন্তু কৌশলে টিকে আছে। সামনে থেকে মোটামোটি ভাল নেতৃত্ব গুনে দেশ পরিচালনা করছেন বংগবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা। দলের তৃনমূল পর্যায়ে সাংগঠনিক তৎপরতা চোখে পড়েনা। যেন সকাল হলেই থানা পর্যায় এর স্বার্থ সংশ্লিষ্ট অফিস ভবন থেকে দেশের সচিবালয়ে ভীড় করছে অগনিত কর্মী- যাদের প্রধান লক্ষ্য ঠিকাদারী, দালালী ব্যবসা!
এদিকে আওয়ামী লীগের একাল আর সেকালের সাংগঠনিক তৎপরতার বিস্তর ফারাকের করুণ চিত্র ফুটে উঠে উঠেছে দলটির লাখো-কোটি নেতাকর্মীর সামনে। গণমানুষের দল আওয়ামী লীগ ক্ষমতার এই দু’মেয়াদে যে কতটা তৃণমূলের নেতাকর্মীসহ গণমানুষের কাছ থেকে দূরে সরে গেছে তা চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দিতে হয় না। সামান্য একটু বিশ্লেষণ করলেই তা স্পষ্ট হয়ে যায়।
জননেতা ডটকমের গবেষণায় দেখা গেছে,আওয়ামী লীগের একাল-সেকালের সাংগঠনিক চিত্রও দিনদিন পাল্টে যাচ্ছে । আগে আওয়ামী লীগের গঠনতন্ত্রে ছিল একটিমাত্র সাংগঠনিক সম্পাদকের পদ। মাত্র একজন সাংগঠনিক সম্পাদকই সারাদেশে ছুটে বেড়িয়েছেন, প্রান্ত থেকে কেন্দ্র পর্যন্ত দলকে শক্তিশালী করে গড়ে তোলার পাশাপাশি নেতাকর্মীদের বেঁধেছেন অটুট বন্ধনে। শুধু সংগঠনকে সারাদেশে শক্তিশালী করতে ‘৯৬ সালের পর গঠনতন্ত্র সংশোধন করে একটির বদলে সাত বিভাগে সাতজন সাংগঠনিক সম্পাদকের পদ সৃষ্টি করা হয়। ওই সাত বিভাগে সাংগঠনিক সম্পাদকের দায়িত্ব পান বাঘা বাঘা সাবেক ছাত্রনেতারা। সাধারণ সম্পাদক হিসেবে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু বছরের পর বছর কখনও গাড়ি, কখনও পায়ে হেঁটে কিংবা সাইকেলে বা নৌকায় চড়ে সারাদেশ চষে বেড়িয়ে আওয়ামী লীগকে শুধু দেশেই নয়, উপমহাদেশের মধ্যে সর্ববৃহৎ রাজনৈতিক দলে পরিণত করেছিলেন। তাঁরই কন্যা শেখ হাসিনা ‘৭৫ পরবর্তী বহুধা বিভক্ত ও বিধ্বস্ত আওয়ামী লীগের হাল ধরেছিলেন ’৮১ সালে দেশে ফিরে। ’৮১ থেকে ’৯৬- এই ১৫টি বছর ঝড়-ঝঞ্ঝা, প্রকৃতি দুর্যোগ, বার বার প্রাণনাশের চেষ্টায় একের পর এক ভয়াল হামলা উপেক্ষা করে সারাদেশ চষে বেড়িয়েছেন। শুধু দলকেই শক্তিশালী করেননি, সারাদেশ ছুটে বেরিয়ে গণমানুষের আস্থা-বিশ্বাস অর্জনেও সক্ষম হন। প্রতিদিন ঘণ্টার পর ঘণ্টা সময় দিয়েছেন নেতা-কর্মীদের। সে সময় বৈরী পরিবেশ, ভঙ্গুর যোগাযোগ ব্যবস্থা আর এনালগ যুগে ওই সময় সাংগঠনিক সম্পাদক হিসেবে তোফায়েল আহমেদসহ দলের কেন্দ্রীয় নেতারা বছরের ৯ মাসই মফস্বলে থেকে সাংগঠনিক তৎপরতা চালিয়েছেন। সাধারণ সম্পাদক প্রয়াত আবদুর রাজ্জাকও বছরের ৬ মাসই সাংগঠনিক কাজে ছুটে বেড়িয়েছেন দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে।
কিন্তু বাস্তবতা বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়, আওয়ামী লীগ সৃষ্টি থেকে ‘৯৫ সাল পর্যন্ত একজন কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক দিনের পর দিন, মাসের পর মাস সারা বাংলা চষে বেড়িয়ে যেভাবে তৃণমূল থেকে সংগঠনকে মজবুত ও চাঙ্গা করে গড়ে তোলার চেষ্টা করেছেন, বর্তমান ডিজিটাল যুগে এবং উন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থা থাকা সত্ত্বেও সাত সাংগঠনিক সম্পাদক তাঁর ছিটেফোটাও করতেও ব্যর্থ হয়েছেন। পৌনে ৬ বছরে এই সাত সাংগঠনিক সম্পাদকের অর্জন হচ্ছে ৭৩টি সাংগঠনিক জেলার মধ্যে মাত্র ১৩টি জেলার সম্মেলন করার সক্ষমতা।
অন্যদিকে গাফফার চৌধুরী বলছেন, “আওয়ামী লীগ দীর্ঘ দুঃসময় কাটিয়ে আবারও জেগে উঠেছে এবং জেগে উঠেছে বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে। এই জেগে ওঠার রহস্যটা কী? আমি আগেই লিখেছি, বাঙালি উঠতি মধ্যবিত্তের শ্রেণীচরিত্র আওয়ামী লীগেও বর্তমান। এই মধ্যবিত্তের ভালো-মন্দ, সুবিধাবাদিতা, আপস-সংগ্রাম সবই আছে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক চরিত্রে। কিন্তু আওয়ামী লীগ একটি খুঁটির জোরে বেঁচে গেছে। এই খুঁটিটি হলো তার জন্মসূত্রে পাওয়া সংগ্রামের নীতি। বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা যখন আবার এসে এই নীতির খুঁটি জড়িয়ে ধরেছেন, তখনই আওয়ামী লীগ আবার জেগে উঠেছে।”
গাফফার চৌধুরী দাঁড় করাতে চাইছেন, “আওয়ামী লীগ এখন আর একটি রাজনৈতিক প্লাটফর্ম নয়। এখন একটি রাজনৈতিক পার্টি। একটি গণভিত্তিক বড় পার্টি। এই পার্টিতে ভালো-মন্দ লোক, চোর, সাধু সব রকমের নেতাকর্মী-সমর্থক আছে। বঙ্গবন্ধুর আমলের আর্থ-সামাজিক অবস্থান এখন নেই। একটি চরিত্রহীন নব্যপুঁজিপতি শ্রেণী দেশে অসম্ভব ক্ষমতাশালী হয়ে উঠেছে। জঙ্গিবাদ, মৌলবাদ তাদের আশ্রিত। এমনকি বুদ্ধিজীবী শ্রেণীর একটা বড় অংশ আত্মবিক্রীত। বহির্বিশ্বে সমাজতন্ত্রী শিবিরটি নেই। বিশ্ব পুঁজিবাদ সর্বগ্রাসী এবং সর্বত্র তার আগ্রাসী ভূমিকা। এশিয়ায় গণতন্ত্রের সবচেয়ে বড় ঘাঁটি ভারতে সেক্যুলার শক্তির রাষ্ট্রক্ষমতা থেকে পতন ঘটেছে। তারপরও বাংলাদেশে শেখ হাসিনা ভয়ঙ্কর ঝড়ো বাতাসের মুখে গণতন্ত্রের নিবুনিবু বাতি আগলে আছেন। আওয়ামী লীগ তার নেতৃত্বে সব ত্রুটি-বিচ্যুতি, স্খলন-পতন সত্ত্বেও এখনও গণতন্ত্র ও সেক্যুলারিজমের ঘাঁটি আগলে আছে। এটা শুধু উপমহাদেশে নয়, সারা দক্ষিণ এশিয়ায় একুশ শতকের একটি বড় ঘটনা। আওয়ামী লীগ ৬৫ বছর বয়স পূর্ণ করেছে। হয়তো শতবর্ষেও পৌঁছবে। বাঙালির জীবনধারায় আওয়ামী লীগ যেহেতু অভিন্ন প্রতিভূ ও প্রতিনিধি, সেহেতু আওয়ামী লীগের সামনে অতীতের মতো আরও হয়তো বিপর্যয় আছে, ধ্বংস নেই। বরং ধ্বংসের মুখেই আওয়ামী লীগ নতুন করে জেগে ওঠে। তার মধ্যে সংগ্রামী প্রেরণা দেখা দেয়। হাসিনা এখনও এই প্রেরণার উৎস। এখানেই তার নেতৃত্বের বৈশিষ্ট্য। ভাসানী থেকে শেখ হাসিনাথ আওয়ামী লীগের দীর্ঘ ৬৫ বছরের রাজনীতির চার অধ্যায়ের প্রত্যেকটি অধ্যায়ের ভিন্ন চরিত্র-বৈশিষ্ট্য আছে। কিন্তু তার মৌলিক নীতির কোনো পরিবর্তন হয়নি। এই নীতি বাংলাদেশকে অসাম্প্রদায়িক ও গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র ব্যবস্থায় ধরে রাখা। আওয়ামী লীগ তার এই নীতি ও বাঙালিত্ব নিয়ে আরও বহুকাল বেঁচে থাকবে এবং জাতিকে নেতৃত্ব দেবে।”
জননেতা ডট কম এর গবেষণায় এটা অবশ্য ঠিক গাফফার চৌধুরী যেমন যুক্তি দাঁড় করাচ্ছেন তা কিছুটা হলেও অর্থবহতায় পৌঁছায়। যেমন তিনি বলছেন, অনেকেই মনে করেন, মওলানা ভাসানীর সঙ্গে শেখ মুজিবও আওয়ামী লীগ ত্যাগ করে ন্যাপে যোগ না দেওয়ায় দেশের ক্ষতি হয়েছে। এই অভিযোগটি সঠিক নয়। পরবর্তীকালে ইতিহাস প্রমাণ করেছে, দলের এবং দেশের সেই ক্রাইসিস মুহূর্তে শেখ মুজিব আওয়ামী লীগ ছেড়ে না গিয়ে বিরাট রাজনৈতিক বিচক্ষণতা দেখিয়েছেন। তিনি দল ছেড়ে ন্যাপে যোগ দিলে আওয়ামী লীগ সম্পূর্ণভাবে ডানপন্থিদের কব্জায় গিয়ে শহীদ সোহরাওয়ার্দীর মৃত্যুর পর সামরিক শাসক ও পশ্চিমা সাম্রাজ্যবাদীদের দ্বারা বহুল ব্যবহৃত হয়ে মুসলিম লীগের দশাপ্রাপ্ত হতো এবং তিনি নিজেও কমিউনিস্টদের দ্বারা প্রভাবিত ও পরিচালিত ন্যাপের অতি বাম তত্ত্বকথার রাজনীতিতে বন্দি হয়ে অলি আহাদ, মোহাম্মদ তোয়াহা প্রমুখ তখনকার অত্যন্ত সম্ভাবনাময় তরুণ নেতার ট্র্যাজিক পরিণতি বরণ করতেন। কিন্তু শেখ মুজিব তা হতে দেননি। তার রাজনৈতিক প্রাগমেটিজম তাকে রক্ষা করেছে। তিনি আওয়ামী লীগকে সোহরাওয়ার্দী যুগের আপসবাদী রাজনীতির লেগামি থেকে মুক্ত করে মধ্যবাম রাজনীতির সংগ্রামী ধারায় নিয়ে আসেন। তার নেতৃত্বের দিকে দেশের তরুণ প্রজন্ম বিরাটভাবে আকৃষ্ট হয়। মুজিব নেতৃত্বের ডায়নামিক্সের কাছে পরাজিত হয়ে প্রবীণ ডান নেতারা জোট বেঁধে দল থেকে বেরিয়ে যান। আওয়ামী লীগের চরিত্র বদল ঘটে। বাংলাদেশে যে শিক্ষিত নিম্নমধ্যবিত্ত শ্রেণীর ততদিনে বিপুলভাবে আবির্ভাব ঘটেছে এবং পাকিস্তানের রাষ্ট্রকাঠামোতে যারা ছিল বৈষম্যপীড়িত ও সুযোগ-সুবিধা বঞ্চিত, আওয়ামী লীগ তাদের লড়াকু প্রতিষ্ঠান হয়ে ওঠে।
কিন্তু গাফফার চৌধুরী যখন বলছেন, বঙ্গবন্ধু শোষকদের স্বার্থের পাহারাদার পশ্চিমা গণতন্ত্রের বদলে শোষিতের গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে চেয়েছিলেন। তা যদি মেনেও নেয়া হয় তাঁর ধারাবাহিকতায় কত টুকু রয়েছে হাসিনা সরকার। প্রভাবশালী প্রতিবেশী রাষ্ট ভারতের একটি বিশেষ দলের বা চিরন্তন গোষ্ঠীর আধিপত্যবাদী নীতির মিত্রতায় ক্ষমতায় আসার বন্দোবস্ত হয়তো হলো কিন্তু রাজনৈতিক ঐতিহ্য, দর্শন, সাংগঠনিক সমসাময়িক পরিক্রমা বলে না- সঠিক পথেই রয়েছে আওয়ামী লীগ। দল হিসাবে আওয়ামী লীগই কেবল অহংকার দেখাতে পারে তা যেমন ঠিক কিন্তু গণতান্ত্রিক আবহে গোপন স্বৈরতান্ত্রিক শাসন পদ্ধতি ভোগাতে পারে দলটিকে। বঙ্গবন্ধুর জন্মের পর প্রায় ১০০ বছর তো হয়ে এলো- প্রতিবাদের কন্ঠ হয়তো একটি অভিজাত ক্লাব “বিএনপি” থেকে আসবে না কিন্তু নেতৃত্বের প্রশ্নে বঙ্গবন্ধু মানের কাছাকাছি কিংবা তাঁকেও ছাপিয়ে যাওয়ার মতো নেতৃত্ব এসে যেতে পারে, তা না ভাবার কারণ কোথায়!
প্রথম প্রকাশ ্্ http://jononeta.com