দেশে লিবারেল ধর্মভিত্তিক রাজনীতি জারি থাকলে চরমপন্থী ধর্মভিত্তিক দল তেমন পাত্তা পায় না। কারন, মানুষ ধর্মপ্রান, ধর্মান্ধ না। ফলে, হিজবুত তাহরির বা বাংলা ভাইদের নিষিদ্ধ করা যতটা যৌক্তিক, জামাতরে নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত ততটা নয়।
চরমপন্থী জঙ্গি ধর্মভিত্তিক রাজনৈতিক শক্তির উত্থান ঠেকাইতে চাইলে এইসব লিবারেল দলগুলারে এনকারেজ করা কর্তব্য। জাতীয় কিংবা আন্তর্জাতিক পাওয়ার স্ট্রাকচারও এই নীতিতে চলে। কিন্তু, মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতা করা এই দল লিবারেল হওয়া স্বত্ত্বেও এখন অস্তিত্বের সংকটে আছে মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতাকারী ব্যাক্তিদের দলের প্রধান বানায়া রাখনের কারনে।
প্রাসঙ্গিক যে, জামাতের মতো লিবারেল ধর্মভিত্তিক দল আর নাই। রাজনীতির স্বার্থে গঠন্তনতন্ত্র থেকা আল্লার নাম বাদ দেওয়া সহ মহিলাগো লগে জোট বাধতেও আপত্তি করে নাই তারা।
এই পরিস্থিতিতে হেফাজতে ইসলাম একটা ভালো অলটারনেটিভ হইতে পারে অনুমান করি।
তো, পাওয়ার স্ট্রাকচার চাইলে সহজেই এই হেফাজতিদের পলিটিক্যাল পাওয়ার হিসাবে এনকারেজ করতে পারে। তাতে জামাতরে নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্তে ক্ষতির পরিমান কমে। যুদ্ধাপরাধীদের ফাঁসি দেয়া গেলে বাকী জামাতীরা এই জমায়েতে যোগ দিয়া তাদের ধর্মব্যাবসা নিশ্চিন্তে চালাইতে পারে।