আপাতস্বস্তির সংবাদ হইছে, রানা গ্রেপ্তার। অপরাধীকে আইনের আওতায় আনা গেলো।
তো, অফিসিয়ালি, কতটা অপরাধে রানা অপরাধী? তিনি দুই নম্বুরী কইরা উচা বিল্ডিং উঠাইছেন। এইটা যৌথ অপরাধ। এই অপরাধে রানার সঙ্গী বিভিন্ন সরকারী প্রতিষ্ঠান। বরং, এই ক্ষেত্রে রানার চেয়ে এইসব প্রতিষ্ঠানের দায় বেশি।
জোর কইরা কর্মীদের গার্মেন্টসের কর্মীদের ভাঙ্গা বিন্ডিঙ্গের ভিতরে ঢুকাইছেন তিনি। এই অপরাধও যৌথ। গার্মেন্টসমালিকদের চাপে পইড়া তিনি কাম করছেন অনুমান করি। নাইলে, কর্মীরা ভিতরে ঢুকলেই তার কি আর না ঢুকলেই কি? পাঁচটা গার্মেন্টসের মালিক তো রানা একা না। ব্রাক ব্যাংকের লোকজন তো আগেই ভাইগা গেছেন, তাদের তো ভিতরে ঢুকাইতে পারেন নাই সোহেল রানা।
দুই নম্বুরী কইরা উচা বিল্ডিং বানানোর শাস্তি আর কি? জোড় কইরা শ্রমিক ঢুকানোর শাস্তি কতটুকু? হাজার হাজার মানুষের জীবনহানীর জন্য পাতা এই ফাদ যে কালপ্রিট রানার সর্বোচ্চ শাস্তিযোগ্য অপরাধ, সেইটা কোর্টের কাছে প্রমান করা প্রায় অসম্ভব হইয়া দাঁড়াবে আইনজীবিদের কাছে অনুমান করি।
এই দায় সরকারের, তার প্রতিষ্ঠানগুলার, এই দায় একই সাথে বিজিএমইর। সাভার হত্যাকান্ডের জন্য দায়ী সকল প্রতিষ্ঠানের উপযুক্ত শাস্তি দাবী করি।
সেইসাথে, ক্ষতিগ্রস্থদের উপযুক্ত ক্ষতিপূরন দেয়া আবশ্যক। সরকার চাইলেই সোহেল রানার সব সম্পত্তি অধিগ্রহন করতে পারে। তার ব্যাঙ্ক একাউন্ট অলরেডী জব্দ করা হইছে শুনতে পাই। বিজিএমইর অর্থায়নে রানার এইসব স্থাবর সম্পত্তিতে লাভজনক প্রতিষ্ঠান নির্মান কইরা ক্ষতিগ্রস্থদের জন্য কল্যান ট্রাস্ট গঠনের উদ্যোগ সরকার নিতে পারেন।
যদিও, এই উদ্যোগ ক্ষতিগ্রস্থদের ক্ষতের তুলনায় খুবই সামান্য, তবুও ক্ষতিগ্রস্থ ও তার স্বজনদের অর্থনৈতিক এই নিশ্চয়তাটুকু ক্ষুদ্র হইলেও একটা কার্যকর সমাধান হইতে পারে।