শপথ, আনমনা নদীর!
অনিরাময়যোগ্য আর অপ্রিয় অসুখ সব ভাসিয়ে দিয়ে এসেছি শুশুক এর পিঠে।
ক্লান্ত আকাশের নীলে যখন কাজল মিশেছে, তখনই কে জানি এসে চুমু খেয়ে গেলো বলে, গোধূলীর রং হয়েছে অদ্ভূত লাল!
শপথ, নিঝুম অরন্যের অন্ধ দোয়েলের!
এই যে অন্ধকারে ক্যানভাস বসিয়েছি,
চুপিচুপি সবুজ অরণ্যচারী
পাখি সব ফিরে ফিরে আসে, ওরা স্মৃতির পাখি!
সমস্ত রাতকে ওরা মরুভূমি ভেবে আমার ক্যানভাস ছেড়ে পালায় ...
যাবার বেলায় নিয়ে যায় নীলাভ জলে শায়িত শঙ্খ!
শপথ, নক্ষত্রের যত ভ্রান্তির!
হিমশীতল সুরসন্ধ্যায় ভুলে যাওয়া স্বপ্নদলের নির্মিত প্যারাডক্সে, তোমার ছবি এঁকেছি যত্ন করে!
পথ হারিয়ে, দীর্ঘাকায় মায়া - দৃশ্যের নীরবতা ভেঙ্গেছি দুর্বোধ্য তোমায় ভেবে!
তবুও মেঘে মেঘে ভ্রমণকালে জেনেছি,
মৃতদের চোখে ও গল্প থাকে, এমনি অনেক অনেক গল্পেই ওরা ঘুমিয়ে থাকে! আমি বেচেঁ থাকি, শতবর্ষ পুরোনো বৃষ্টিদগ্ধ ছাই হয়ে ...
শপথ, প্রিয়তম নীলকন্ঠীর!
জল মাতাল চোখের দৃষ্টি রেখা ধরে, একদিন তুমি মেঘ ছুয়ে দেবে ...
তারপর ও তুমি জানবেনা , যতোবার স্বপ্ন দেখেছি ঠিক ততোবার তুমি রাত্রি হয়েছিলে! যতবার স্বপ্ন ভেঙ্গেছে ততোবার তুমি নক্ষত্র হয়ে আমায় ডেকেছো!
শপথ, সহস্র বছর ধরে লালন করা সমস্ত আবেগের!
আমার বুকের ভিতরে ছিন্ন সুতোর ঘুড়ি উড়ে
ঘুড়ির গায়ে বিশটি বিকেল আঁকা !
লুকিয়ে তোমায় দেখা বিশটি বিকেল ....
আমার ঘুড়িটি আজ বিকেলে আকাশ ছুঁয়ে এসেছে,
আমি নিশ্চিত তুমি তা কোনদিন জানবেনা !
সর্বশেষ এডিট : ১৬ ই আগস্ট, ২০১৫ রাত ১০:৪০