শহরের সমস্ত নৈশ প্রহরীরা তখন অসভ্য শয়ানে গ্যাছে পরিশ্রান্ত শকুনের মতন
আর এই ফাঁকে তাড়া খাওয়া শেয়ালের মতন ভাগাড়ের মালিকেরা
সাবাড় করার সন্ধি করছিল;
জলের সন্তরণে নগর পুড়ে ছাই হবার আগেই সমস্ত
নগরবাসী তল্পিতল্পাসহ গ্রামে ভীড় জমালেন
আর গ্রামবাসীরা দ্যাখলেন; তাদের
তল্লাটে অনাহূত অতিথিদের কারোরই ধড়ে মাথা নেই;
সমব্যথিত গ্রামবাসীরা মুণ্ডুহীন মারা খাওয়া নগরবাসীদের শরীর ঢেকে দিলে
শহরের সমস্ত কিশোরেরা আত্মহত্যার জন্য দলে দলে প্রস্তুতি নিলেন
আর তখন আলোর শরীরের ফোয়ারা বেয়ে নেমে আসা গাঢ়
অন্ধকারে নিশি জাগা ডাহুকেরা মৃত্যুকে আলিঙ্গন করছিল সাদরে।
সকলেই তখন সমস্বরে বলাবলি করছিলেন-
কিছু একটা হচ্ছে-
কী হচ্ছে; যদিও সেটা কেউই স্পষ্ট বলতে পারেননি
কিছু একটা হচ্ছে সেটা টের পেয়ে পালিয়ে গেলো-
ভাগাড়ের শকুন;
শহরের নেড়িকুত্তা;
গঞ্জের সমস্ত বণিকেরা-
এমন কী বেশ্যাপাড়ার সমস্ত খদ্দেরেরা।
তখন অসভ্য শয়ান ছেড়ে জেগে ওঠা শহরের সমস্ত নৈশ প্রহরীরা দ্যাখলেন-
শহর এখন শকুনের দখলে।
সেখানে আর কোন নৈশ প্রহরীর দরকার পড়ল না
নৈশ প্রহরীর মালিকেরা প্রহরীর শরীর থেকে
চোখ
বুকের জমিন আর
উরুর থকথকে মাংস
খাবলে খুবলে খেতে শুরু করল
আর হাড়-গুড় দিয়ে বাঁশি বাজাচ্ছিল
যুবকেরা।
সর্বশেষ এডিট : ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ৯:১৪